সাগরতলে মাছের সঙ্গে ঘুমাতে চান? শুনে হয়তো হাসবেন। বলবেন, জনপ্রিয় কোনো ছায়াছবির গাঁজাখুরি গল্প। বাস্তবে সত্যিই আছে এমন হোটেল। কোথায়? মালদ্বীপের রাঙ্গালি দ্বীপে। সাগরতলে আবাসিক হোটেল গড়েছে তারা। যুক্তরাষ্ট্রের বহুজাতিক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান হিলটন ওয়ার্ল্ডওয়াইড পরিচালিত হোটেল ও রিসোর্ট প্রতিষ্ঠান কনরাড মালদ্বীপ রাঙ্গালি দ্বীপে বিলাসবহুল দোতলা আবাসিক হোটেলটি বানিয়েছে। হোটেলটি চালুও হয়েছে।
বলা হচ্ছে, পানির নিচে কাচঘেরা আবাসিক হোটেলে থাকার ব্যবস্থা সারা বিশ্বের মধ্যে এটিই প্রথম। ছবি: কনরার্ড হোটেলবলা হচ্ছে, পানির নিচে আবাসিক হোটেলে থাকার ব্যবস্থা সারা বিশ্বের মধ্যে এটিই প্রথম। আন্ডার সি হোটেলের দিক দিয়ে এটি বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন একটি আবাসিক হোটেল। দোতলা হোটেলের ওপরের তলা পানির ওপরে হলেও নিচের তলার পুরোটাই পানির নিচে। সেখানে সাড়ে ১৬ ফুট আয়তনের রুমের সঙ্গে আছে শৌচাগার। হোটেলে যাঁরা থাকবেন, তাঁরা অনুভব করবেন যেন মাছের সঙ্গেই ঘুরছেন, ফিরছেন ও ঘুমাচ্ছেন। কাচঘেরা ঘর থেকে ভারত মহাসাগরে মাছ ও জলজ প্রাণী দেখতে পারবেন ঘুমানোর সময়।
শুধু ঘুমানোর জন্য কক্ষ নয়, আছে শৌচাগারও। ছবি: কনরার্ড হোটেল‘মুরাকা’ নামের হোটেলটি বানাতে খরচ পড়েছে ১ কোটি ৫০ লাখ ডলারের বেশি। মালদ্বীপের ভাষায় মুরাকা শব্দের অর্থ প্রবাল। নিচতলায় বসে প্রবাল, মাছের খেলা আর সুপ্রসন্ন ভাগ্য হলে অক্টোপাসও দেখা যাবে। হোটেলের ওপরের তলা দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত রাখা হলেও নিচের তলা শুধুই অতিথিদের জন্য। সাগরতলের আবাসিক হোটেলে একসঙ্গে নয়জনের থাকার ব্যবস্থা আছে।
সাগরতলের হোটেলটিকে এর মধ্যে উদ্ভাবনী প্রকল্প বলা হচ্ছে। কনরাড মালদ্বীপের মুখপাত্র বলছেন, ‘আমরা আমাদের অতিথির কাছে সমুদ্রের অভিজ্ঞতা তুলে ধরার জন্য মুরাকায় থাকতে উৎসাহিত করছি। কারণ, এটি মালদ্বীপের একটি অসাধারণ সমুদ্রপথের সঙ্গে আপনাকে পরিচয় করিয়ে দেবে।’
Comments