মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট সোলিহ’র শপথ অনুষ্ঠানে মোদী
ফাইল ছবি
মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সোলিহ’র শপথ অনুষ্ঠান হয়েছে গতকাল শনিবার। এতে অন্যান্য অতিথিদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। গত সাত বছরের মধ্যে মালদ্বীপে এটাই কোনো ভারতীয় রাষ্ট্রপ্রধানের সফর। এর আগে ২০১১ সালে মালদ্বীপ গিয়েছিলেন তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। এই অনুষ্ঠানে মোদীর উপস্থিত থাকা চীনের প্রভাব বলয় থেকে মালদ্বীপের বেরিয়ে আসার ইঙ্গিত বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
শপথ অনুষ্ঠান শেষ হবার পর প্রেসিডেন্ট সোলিহ’র সঙ্গে একান্তে সাক্ষাত করেন মোদী। আগের সরকারের সময়ে চীনের কাছ নেওয়া বিপুল ঋণ পরিশোধে এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের সহায়তা চেয়েছেন সোলিহ। মালদ্বীপের নির্বাচনে সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিনের পরাজয় আঞ্চলিক কৌশলগত রাজনৈতিক সহযোগী হিসেবে চীনকে সরিয়ে সেই স্থান দখলে নিতে ভারতের পথ প্রশস্ত করেছে। আবদুল্লাহ ইয়ামিনের সময়ে চীনের সঙ্গে মালদ্বীপের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে। আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বির সঙ্গে সম্পর্ক হওয়ায় ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে ঘাটতি তৈরি হয় মালদ্বীপের। ফলে শনিবারের শপথ অনুষ্ঠানে মোদির উপস্থিতি সেই পরিস্থিতি অবসানের ইঙ্গিত দিচ্ছে। দিল্লি ও বেইজিংয়ের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েনের জের ধরে বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে আরেক দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ রাষ্ট্র শ্রীলঙ্কাতেও চলছে রাজনৈতিক সংকট। সোলিহ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েই মালের হয়ে ‘ইন্ডিয়া ফার্স্ট’ নীতির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আমাদের নিকটতম প্রতিবেশি হিসেবে ভারতের সঙ্গে জোরালো সম্পর্ক প্রয়োজন। চীনের কাছ থেকে নেওয়া লাখ লাখ ডলারের বিনিয়োগ ও ঋণ সোলিহ’র কর্মকর্তারা পর্যালোচনা শুরু করায় বেইজিংয়ের কাছে বিষয়টি অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ইত্তেফাক/আরকেজি
Comments