জাতিসংঘ অধিবেশনে ট্রাম্প ও রুহানির বাকযুদ্ধ
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে একের প্রতি অপরে তীব্র নিন্দার তীর ছুড়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রূহানি। মঙ্গলবার অধিবেশনে দেওয়া নিজ নিজ বক্তব্যে একে অপরের তীব্র সমালোচনা করেছেন তারা।
ট্রাম্প তার বক্তব্যে, বৈশ্বিক বাণিজ্য থেকে ইরানকে একঘরে করে দেওয়ার আহবান জানিয়েছেন। আর রুহানি তার বক্তব্যে, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞাকে অর্থনৈতিক সন্ত্রাসবাদ বলে বর্ণনা করেছেন।
কয়েক সপ্তাহ ধরে আন্তর্জাতিক মহলে জল্পনা চলছিল যে, মঙ্গলবার জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে দুই নেতার মধ্যে কোন বৈঠক হতে পারে। কিন্তু আদতে বৈঠকের জায়গায় চলেছে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়।
প্রথম আঘাতটা হানেন ট্রাম্প। তার বক্তব্যে তিনি বলেন, ইরান হচ্ছে বিশ্বের মধ্যে সন্ত্রাসবাদের সবচেয়ে বড় পৃষ্ঠপোষক। তিনি বলেন, ইরান সরকারের আগ্রাসন ও বিস্তারের এজেন্ডার কারণে তাদের প্রতিবেশীদের চড়া দাম দিতে হয়েছে। তিনি ইরানী নেতাদের বিরুদ্ধে প্রক্সি-যুদ্ধ লড়ার জন্য মার্কিন কোষাগার থেকে শত শত কোটি ডলার জালিয়াতি করার অভিযোগ আনেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ইরানের স্বৈরতান্ত্রিক সরকার (জালিয়াতি করা) অর্থ ব্যবহার করে পারমাণবিক ক্ষমতাসম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি, অভ্যন্তরীণ নিরোধ বৃদ্ধি, সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন এবং সিরিয়া ও ইয়েমেনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে। আমরা সকল জাতির প্রতি আহবান জানাই তারা যেন ইরান সরকারের বিরুদ্ধে তাদের আগ্রাসন অব্যাহত রাখে।
ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দেন যে, আগামী মাসের ৫ তারিখ দ্বিতীয় দফা নিষেধাজ্ঞা আরোপ হলে ইরান আরো অর্থনৈতিক সংকটের সম্মুখীন হবে।
এদিকে, নিজের বক্তব্যে ট্রাম্পের বক্তব্যের পাল্টা জবাব দেন রুহানি। তিনি বলেন, ট্রাম্প প্রশাসনের ইরানের ওপর আরো অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি অর্থনৈতিক সন্ত্রাসবাদ ও ইরানে সরকার পতনের একটি চেষ্টা।
তিনি বলেন, এটা হাস্যকর যে ইরান সরকারের পতন ঘটানোর জন্য মার্কিন সরকার তাদের পরিকল্পনা লুকানোর প্রয়োজনও করে না। অথচ সেই সরকারকেই আলোচনার নিমন্ত্রণ জানায়। -আল জাজিরা
ইত্তেফাক/ জেআর
Comments