‘‌বাবা, আমি দেখতে পাচ্ছি না’‌

‘‌বাবা, আমি দেখতে পাচ্ছি না’‌
আবদুল মইন আল হাসান নামে শিশুটির বয়স দশের গণ্ডিও পার হয়নি। আর এর মধ্যেই যুদ্ধের ভয়াবহতার শিকার হতে হল তাকে। মেনে নিতে হল অন্ধত্বকে।
সম্প্রতি বোমাবর্ষণে আবদুলের গোটা বাড়িটা উড়ে গিয়েছিল। গুরুতর আহত অবস্থায় তুরস্কের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। এরপর হাসপাতালের বেডে যখন আবদুলের ঘুম ভাঙে, তখন সে আর কিছু দেখতে পাচ্ছিল না। এরপরই বাবাকে ডাকতে থাকে ছোট্ট আবদুল। 
কাতর কণ্ঠে বলে ওঠে, ‘‌বাবা, আমি কিছুই দেখতে পাচ্ছি না।’ ‌এরপর অসহায় বাবা আবদুলকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু কিছুতেই পেরে উঠছিলেন না। আর এই গোটা মুহূর্তটি ক্যামেরাবন্দি করেন একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্য। সোশ্যাল মিডিয়ায় মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায় ভিডিওটি। 
অনেকেই আবদুলের চিকিৎসার জন্য এগিয়ে আসেন। ইতিমধ্যে ৯৯০ পাউন্ড সংগ্রহও করা হয়েছে। গত কয়েকদিনে সিরিয়ার ইদলিবে বোমাবর্ষণে ১৩ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এর আগে গত রবিবার মারা গিয়েছিলেন ৪০ জন। 
আবদুলের ভিডিওটি ভাইরাল হলেও লাভ কিছুই হবে না। কারণ রাতে গুলি‌ ও বোমার শব্দে ঘুমাতে যাওয়া, আর সকালে সেই শব্দেই ঘুম ভাঙা। এটাই সিরিয়ায় সাধারণ মানুষের অভ্যাস হয়ে গেছে। আট থেকে আশি, রেহাই পাচ্ছেন না কেউ। মৃত্যু সবসময় শিয়রে দাঁড়িয়ে। কোন বোমায় নাম লেখা রয়েছে জানে না কেউই। 

বিডি প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর

Comments

Popular posts from this blog

অবিবাহিত মেয়ের বুকে দুধ, এই ভিডিওটি অবশ্যই একা একা দেখবেন !

টুইন টাওয়ারে ৯/১১ জঙ্গি হামলার ৫টি 'চমকপ্রদ' তথ্য

তৈরি করুন শীতের ভাপা পিঠা