দুটি মৃত্যুকে ‘হত্যা’ বলে অভিযোগ তুলেছে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি
- Get link
- X
- Other Apps
পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া জেলায় গত চার দিনে বিজেপির দুই কর্মীর রহস্যজনক মৃত্যু ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি। এই দুটি মৃত্যুকে ‘হত্যা’ বলে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি।
হত্যার শিকার বলে কথিত বিজেপির দুই কর্মী হচ্ছেন বলরামপুরের সুপুরডি গ্রামের ত্রিলোচন মাহাতো এবং ডাভা গ্রামের দুলাল কুমার।
বিজেপির কেন্দ্রীয় মুখপাত্র শাহনাজ হুসেন এই ‘হত্যার’ নিন্দা করে বলেছেন, ‘এটা তৃণমূল কংগ্রেস নয়, এটা তালিবান কংগ্রেস। মমতার দল টিএমসি এখন সন্ত্রাসবাদের প্রচার করছে।’
হত্যার শিকার বলে কথিত বিজেপির দুই কর্মী হচ্ছেন বলরামপুরের সুপুরডি গ্রামের ত্রিলোচন মাহাতো এবং ডাভা গ্রামের দুলাল কুমার।
বিজেপির কেন্দ্রীয় মুখপাত্র শাহনাজ হুসেন এই ‘হত্যার’ নিন্দা করে বলেছেন, ‘এটা তৃণমূল কংগ্রেস নয়, এটা তালিবান কংগ্রেস। মমতার দল টিএমসি এখন সন্ত্রাসবাদের প্রচার করছে।’
নিহত ত্রিলোচন মাহাতো কলেজের ছাত্র ছিলেন। ৩০ মে তাঁর মৃতদেহ দড়ি বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার হয় একটি গাছ থেকে। মৃতদেহের জামায় লেখা ছিল, বিজেপি করার শাস্তি। এরপর গতকাল শনিবার সকালে সেই বলরামপুরের ডাভা গ্রামের হাইটেনশন লাইনের তারে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় বিজেপির আরেক কর্মী দুলাল কুমারের (৩০) মৃতদেহ। দুলাল কুমার এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বুথ এজেন্ট ছিলেন বিজেপির। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলের গুন্ডারাই তাঁদের হত্যা করে গাছ এবং হাইটেনশন তারে ঝুলিয়ে রেখেছে।
এই ঘটনার প্রতিবাদে আজ রোববার পুরুলিয়ায় ১২ ঘণ্টার বনধ ডেকেছে বিজেপি। এই বনধে ব্যাপক সাড়া মিলেছে। সকাল থেকে পুরুলিয়ায় বন্ধ রয়েছে দোকানপাট, স্কুল-কলেজ ও হাটবাজার। চলছে না কোনো যানবাহন।
এদিকে বিজেপির এই দুই কর্মীর হত্যার খবর পাওয়ার পর বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে কোনো আইনশৃঙ্খলা নেই। মুখ্যমন্ত্রীর পদে থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মুখ্যমন্ত্রী সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছেন। বাংলার মাটিতে এ ধরনের ক্রূরতা এবং হিংসা অত্যন্ত অমানবিক ও লজ্জাজনক।
এই ঘটনার প্রতিবাদে আজ রোববার পুরুলিয়ায় ১২ ঘণ্টার বনধ ডেকেছে বিজেপি। এই বনধে ব্যাপক সাড়া মিলেছে। সকাল থেকে পুরুলিয়ায় বন্ধ রয়েছে দোকানপাট, স্কুল-কলেজ ও হাটবাজার। চলছে না কোনো যানবাহন।
এদিকে বিজেপির এই দুই কর্মীর হত্যার খবর পাওয়ার পর বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে কোনো আইনশৃঙ্খলা নেই। মুখ্যমন্ত্রীর পদে থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মুখ্যমন্ত্রী সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছেন। বাংলার মাটিতে এ ধরনের ক্রূরতা এবং হিংসা অত্যন্ত অমানবিক ও লজ্জাজনক।
গতকাল শনিবার কলকাতায় কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী প্রকাশ জাভরেকর বলেছেন, ‘আমরা চুপ থাকব না।’ এই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে গণ-আন্দোলন গড়ে তোলা হবে এবং আইনি ব্যবস্থা নেরওয়া হবে। আবার কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী স্মৃতি ইরানী বলেছেন, ‘ওরা বেছে বেছে বিজেপির কর্মীদের খুন করছে, এটা আমরা মেনে নেব না। আমরাও এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদী আন্দোলন গড়ে তুলব।’
আর পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাশ বিজয়বর্গীয় বলেছেন, ‘আমরা রাজ্য সরকার, রাজ্য পুলিশ এবং সিআইডিকে বিশ্বাস করি না। আমরা চাই জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এই ঘটনার পূর্ণ তদন্ত করুক।’
- Get link
- X
- Other Apps
Comments