স্বামীকে তালাক দিলেন দুই নারী
স্বামীর অত্যাচারে অতীষ্ঠ হয়ে উঠছিলেন তারা। মুখ খুলে কিছু বলতে পারতেন না। নারকীয় হয়ে উঠছিল তাদের জীবন। সহ্যেরও একটা সীমা আছে। অবশেষে স্বামীর অত্যাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে স্বামীকে তালাক দিলেন উত্তর প্রদেশের দুই নারী।
প্রথমজন নিশা হামিদ। স্বামী জাভেদ আনসারীর সঙ্গে ছিল ১৩ বছরের সংসার। তার ইতি টানলেন অবশেষে তালাকের মাধ্যমে। নিশার আইনজীবী কাজী জুবের আহমেদ জানান, দিনের পর দিন তার মক্কেলের ওপর অমানুষিক অত্যাচার করতো জাভেদ। জাভেদ আনসারিকে বারবার জানানো হলেও কোন সুরাহা মেলেনি। ফলে দীর্ঘ ১৩ বছরের সংসারের বিচ্ছেদ ঘটান তার মক্কেল।
একই দিনে বরেলি আদালতে এমন আরো একটি ঘটনা ঘটে। বাড়ির অমতে ২০১৪ সালে পালিয়ে আবরাজকে বিয়ে করেন ইয়াসমিন। ভালোবাসার এই বিয়েতে বেশীদিন সুখ স্থায়ী হয়নি। বিয়ের কিছুদিন পরে অত্যাচার নেমে আসে ইয়াসমিনের ওপর। ইয়াসমিন বারবার চেষ্টা করছিলেন সংসারকে টিকিয়ে রাখতে। কিন্তু দিনে দিনে তার ওপর অত্যাচারের মাত্রা বাড়তে থাকে। কোন উপায় না দেখে ইয়াসমিন স্বামীকে তালাক দেওয়ার পথ বেছে নেন।
উত্তর প্রদেশের দুই এ মহিলা মুসলিম তালাক-ই-তাফিজ আইনকে বিচ্ছেদের হাতিয়ার বানিয়েছিলেন। 'অল মুসলিম ল বোর্ডে'র সদস্য খলিদ রশিদ মাহালি এটিকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, কেবল পুরুষরা মহিলাদের তালাক দিবে এমনটা না। 'তালাক-ই-তাফিজ' এমন একটি পদ্ধতি যা মুসলিম আইনে মহিলাদের বিবাহ বিচ্ছেদে সকল প্রকার স্বাধীনতা দিয়েছে। অবশ্য উভয় পক্ষের মতামত নিয়ে বিবাহ বিচ্ছেদ করতে হয়।
ইত্তেফাক/নূহু
Comments