মোদীকে হত্যার ষড়যন্ত্র ফাঁস, তদন্ত চায় সন্দিহান কংগ্রেস
পুনে পুলিশের নরেন্দ্র মোদীকে খুনের চক্রান্ত উদঘাটনের দাবিতে সংশয় প্রকাশ করলেন কংগ্রেস নেতা সঞ্জয় নিরুপম। পুনে পুলিশ গত ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত এলগার পরিষদ ও তারপর পুনের ভিমা-কোরেগাঁওয়ের হিংসা, অশান্তির ব্যাপারে পাঁচজনকে গ্রেফতার করে তাদের মাওবাদী যোগ থাকার দাবি করেছে।
পাশাপাশি তারা আরো দাবি করেন, আটকদের অন্যতম রোনা উইলসনের কম্পিউটার থেকে উদ্ধার হওয়া একটি ই মেল বার্তায় পরিষ্কার, প্রধানমন্ত্রী মোদীকেও প্রয়াত রাজীব গান্ধীর কায়দায় তার কোনও রোড শোয়ের সময় খুনের ছক কষা হয়েছে।
রোনা ছাড়াও পুলিশ গ্রেফতার করে দলিত কর্মী সুধীর ধাওয়ালে, আইনজীবী সুরেন্দ্র গ্যাডলিং, মহেশ রাউত, সোমা সেনকে।
প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার পরিকল্পনার সত্যতা নিয়ে সন্দিহান নিরুপমের বক্তব্য, বলছি না যে, পুলিশের দাবি একেবারে মিথ্যা, কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে মোদীর এই পুরানো কৌশল। যখনই ওনার জনপ্রিয়তা ধাক্কা খায়, ওনাকে খুনের চক্রান্তের খবর ছড়ানো হয়। এবারের খবরটাও কতদূর সত্য, তদন্ত করে দেখা দরকার।
পুনে পুলিশ আড়ি পেতে মাওবাদীদের নিজেদের মধ্যে আদানপ্রদান করা যে বার্তা শুনেছে, তাতে বলা হয়েছে, কমরেডরা মোদী-রাজত্বের অবসান ঘটানোর সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দিয়েছেন। আমরা রাজীব গান্ধীর মতো ঘটনার কথা ভাবছি। ব্যর্থ হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা আছে। কিন্তু পার্টির অবশ্যই এ ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা করা উচিত। ওর রোড শোগুলিকে নিশানা করলে লাভ হতে পারে।
রোনার দিল্লির বাড়ি থেকে পাওয়া একটি চিঠিতেও নাকি রয়েছে, এম-ফোর রাইফেল, চার লাখ রাউন্ড গুলির জন্য ৮ কোটি টাকা দরকার।
এদিকে ইউএপিএ-তে অভিযুক্ত আটক ৫ জনের পুলিশি হেফাজতের আর্জি জানিয়ে জেলা সরকারি কৌঁসুলি উজ্জ্বলা পাওয়ার তাদের জেরায় উঠে আসা তথ্য পুনে আদালতে পেশ করেন। ১৪ জুন পর্যন্ত তাদের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত।
ইত্তেফাক/রেজা
Comments