যৌতুকের জন্য স্ত্রীর পেটে লাথি, গর্ভস্থ শিশু নষ্ট

Woman provoked in India
ছবি : সংগৃহীত
যৌতুকের ৫ লক্ষ টাকা বাবার বাড়ি থেকে এনে দিতে না পারায় ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর পেটে লাথি মেরে গর্ভস্থ শিশুকে নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে এক স্বামীর বিরুদ্ধে। তবে এমন ঘটনা প্রথম নয়। বছর দুয়েক আগে বিয়ে হওয়া ওই গৃহবধূ প্রথম বার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পরেও একই ঘটনা ঘটেছিলো। তাঁর স্বামী একই ভাবে পেটে আঘাত করায় সে বারও গর্ভস্থ সন্তান নষ্ট হয় যায় বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ জমা পড়েছে।
পুলিশ জানায়, ২০১৬ সালে হাওড়া টিকিয়াপাড়ার বাসিন্দা প্রিয়াঙ্কা সাউয়ের সঙ্গে বালির বীরেশ্বর চ্যাটার্জি লেনের বাসিন্দা রাজেশ সাউয়ের বিয়ে হয়। প্রিয়াঙ্কার বাড়ির লোকের দাবি, বিয়েতে ৩ লক্ষ টাকা যৌতুক দেওয়া হয়। উপহার দেওয়া হয় কয়েক ভরি সোনার গয়না। কিন্তু বিয়ের কয়েক মাস পর থেকেই ফের পণের দাবিতে শ্বশুরবাড়ির লোকজন প্রিয়াঙ্কার উপরে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন শুরু করেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
প্রিয়াঙ্কার মা মানসী সাউ অভিযোগ করেছেন, বিয়ের আগে রাজেশের ব্যবসা আছে বলে জানালেও পরে জানতে পারি সে কিছুই কাজ করে না। পরে জানা যায়, তাঁর সঙ্গে এক তরুণীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কও রয়েছে। আমার মেয়ে এ কথা জানার পরে মানসিক ভাবে খুব ভেঙে পড়েছিলো।
প্রিয়াঙ্কার পরিবারের লোকজন জানান, বিয়ের পরেই এক বার অন্তঃসত্ত্বা হন প্রিয়াঙ্কা। আর তা  জানতে পেরেই রাজেশ স্ত্রীর পেটে সজোরে লাথি মারলে প্রচণ্ড রক্তপাত হয়ে শিশুটি নষ্ট হয়ে যায়। মাস ছয়েক আগে প্রিয়াঙ্কা আবার গর্ভবতী হন। অভিযোগ, তা জানার পর থেকেই বাপের বাড়িতে যেতে দিতেন না শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তাঁকে দেখতে বাপের বাড়ির লোকেরা প্রায়ই বালিতে তাঁর কাছে যেতেন।
গত রবিবারও প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন বোন প্রিয়া। পুলিশের কাছে প্রিয়ার অভিযোগ, তিনি বোনের বাড়িতে গিয়ে দেখেন প্রিয়াঙ্কাকে অশ্রাব্য গালিগালাজ করছেন শ্বশুর, শাশুড়ি, ননদ ও স্বামী। প্রিয়া বলেন, ‘আমাকে দেখতে পেয়েই ওঁরা যেন আরও উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। এর পরে আমার সামনেই দিদির ঘাড়ে পিঠে-পেটে লাথি মারতে শুরু করেন জামাইবাবু। আটকাতে গেলে আমাকে ঠেলে সরিয়ে দেওয়া হয়। ওই দিন কোনও রকমে দিদিকে নিয়ে হাওড়ায় ফিরি। রাতেই গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করি।’
এ বিষয়ে প্রিয়াঙ্কা হাওড়া পুলিশকে বলেন, ‘রাজেশ পেটে লাথি মেরে আমার সন্তানকে ফের মেরে ফেলেছে। এর আগেও এমন করেছে। ওর গোটা পরিবারের যেন কঠিন শাস্তি হয়।’
তবে রাজেশের বাবা মনোজ সাউ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘এ সব মিথ্যা কথা। প্রিয়াঙ্কা প্রায়ই বাপের বাড়ি চলে যেত বলে আমার ছেলে রাগ করে গালিগালাজ করত। মারধর কখনও করেনি। পেটের সন্তান কী করে নষ্ট হয়েছে, আমরা জানি না।’
এ প্রসঙ্গে হাওড়ার পুলিশ কমিশনার দেবেন্দ্র সিংহ বলেন, ‘প্রথমে স্ত্রী নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়েছিলো। কিন্তু ওই তরুণীর গর্ভস্থ সন্তান নষ্ট হয়ে যাওয়ায় নতুন ধারা যোগ করা হচ্ছে।’ সুত্র : আনন্দবাজার
বাংলা/এমআর

Comments

Popular posts from this blog

অবিবাহিত মেয়ের বুকে দুধ, এই ভিডিওটি অবশ্যই একা একা দেখবেন !

টুইন টাওয়ারে ৯/১১ জঙ্গি হামলার ৫টি 'চমকপ্রদ' তথ্য

তৈরি করুন শীতের ভাপা পিঠা