দোমা ছাড়তে চুক্তিতে পৌঁছেছে বিদ্রোহীরা

সিরিয়ার পূর্ব গৌতার দোমা শহরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে আহত এক কন্যাশিশু। ছবি: এএফপি
সিরিয়ায় সরকারবিরোধীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা পূর্ব গৌতার সর্বশেষ শহর দোমা থেকে গুরুতর আহত ব্যক্তিদের সরিয়ে নিতে একটি চুক্তি হয়েছে। আহত ব্যক্তিদের সেখান থেকে ইদলিবে নেওয়া হবে। যদিও এই অঞ্চল এখনো বিদ্রোহীদের দখলে।
বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনের জানানো হয়, গতকাল শনিবার বিদ্রোহী গোষ্ঠী জইশ আল-ইসলাম ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সিরীয় সরকারের মিত্র রাশিয়ার সেনাবাহিনীর একটি সমঝোতা চুক্তি হয়েছে।
দামেস্কের উপকণ্ঠে বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত সর্বশেষ এ ঘাঁটির পুনর্নিয়ন্ত্রণ নিতে রাশিয়ার সহায়তায় সিরিয়ার সরকারি বাহিনী গত ১৮ ফেব্রুয়ারি পূর্ব গৌতায় অভিযান শুরু করে। ২০১৩ সাল থেকে পূর্ব গৌতা এলাকাটি বাশার আল-আসাদবিরোধী বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানায়, ‘ইদলিবে যেতে ইচ্ছুক কয়েক শ’ বেসামরিক লোককে সেখানে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে একটি আংশিক চুক্তি হয়েছে।’
সংস্থাটির প্রধান রামি আব্দেল রহমান বলেন, ‘একটি সম্পূর্ণ চুক্তির জন্য আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।’
বিমান হামলায় বিধ্বস্ত দোমা শহর। ৫ মার্চ, ২০১৮। ছবি: রয়টার্সবিমান হামলায় বিধ্বস্ত দোমা শহর। ৫ মার্চ, ২০১৮। ছবি: রয়টার্সপূর্ব গৌতার সবচেয়ে জনবহুল শহর দোমার নিয়ন্ত্রণ বিদ্রোহীদের হাতে রয়েছে। তবে সিরিয়ার সেনাবাহিনী ও এর সহযোগীরা বর্তমানে শহরটিকে ঘিরে রেখেছে। এ আলোচনা সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর আক্রমণের হাত থেকে দোমাকে বাঁচিয়ে রেখেছে।
এদিকে গৌতা ত্যাগ নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে কোনো চুক্তিতে পৌঁছানোর কথা অস্বীকার করেছে সিরীয় বিদ্রোহীরা। তবে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, গতকালের এই চুক্তি অনুযায়ী গুরুতর আহত নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। চুক্তির ফলে বিদ্রোহীরা আশাবাদী, মস্কোর নিরাপত্তাব্যবস্থার অধীনে দোমাতে তারা থাকার অধিকার পাবে।
এরই মধ্যে দেশটির সরকারের তত্ত্বাবধানে এ পর্যন্ত কয়েক হাজার বিদ্রোহী গৌতা ছেড়ে গেছে বলে জানিয়েছে সিরীয় সরকার। পূর্ব গৌতার প্রধান চারটি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে আসাদ সরকারের একটি চুক্তি হয়। ওই চুক্তি অনুযায়ী অস্ত্র সমর্পণের পাশাপাশি পরিবারসহ গৌতা ছেড়ে যেতে রাজি হয় বিদ্রোহীরা।
ব্যাপক বোমা হামলার ঘটনার ছয় সপ্তাহ পর নিরাপদে শহর ছাড়ার চুক্তির আওতায় হাজারো বিদ্রোহী ইদলিবে ঠাঁই নিয়েছে। সিরিয়ার সেনারা বিদ্রোহীদের দোমা ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে, নয়তো ব্যাপক প্রতিরোধের মুখে পড়তে হবে বলে হুঁশিয়ার করেছে।
হামলার হাত থেকে বাঁচতে অনেকে বেসমেন্টে আশ্রয় নেয়। ছবি: এএফপিহামলার হাত থেকে বাঁচতে অনেকে বেসমেন্টে আশ্রয় নেয়। ছবি: এএফপিসেখানে খাদ্য, জ্বালানি ও ওষুধের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। অবিরাম বিমান হামলার কারণে অনেকে মাটির নিচে আশ্রয় নিয়েছে।
সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, গৌতার ঘটনায় ১ হাজার ৬০০-র বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ আহত হয়েছে।
প্রথম আলো

Comments

Popular posts from this blog

অবিবাহিত মেয়ের বুকে দুধ, এই ভিডিওটি অবশ্যই একা একা দেখবেন !

টুইন টাওয়ারে ৯/১১ জঙ্গি হামলার ৫টি 'চমকপ্রদ' তথ্য

তৈরি করুন শীতের ভাপা পিঠা