ঘরে ঢুকে চোখে জল মালালার
- Get link
- X
- Other Apps
ছয় বছর পর নিজ দেশে ফিরলেন মালালা ইউসুফজাই। সোয়াত উপত্যকার মিঙ্গোরায় নিজেদের বাড়িটিতে ঢুকেই চোখে জল আসে মালালার। বাড়িটির ঘরে ঘরে হাতড়ে বেড়ান পুরোনো দিনের গন্ধ। খুঁজে ফেরেন পুরোনো বন্ধুদের। জানতে চান এ বাড়ির চাচা, ও বাড়ির মামার খোঁজখবর।
২০১২ সালের ৯ অক্টোবর তালেবান জঙ্গিরা গুলিবিদ্ধ করে মালালাকে। এরপর এই প্রথম তাঁর দেশে ফেরা।
মিঙ্গোরাতে নিজেদের পুরোনো বাড়ি ও সেনাবাহিনী পরিচালিত ক্যাডেট কলেজ পরিদর্শন করেন মালালা ও তাঁর পরিবার।
মালালা আর তাঁর মা তোপাকাই ইউসুফজাই খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে সব প্রতিবেশীদের খোঁজ জানতে চান হাক্কানির কাছে।
চাচা হাক্কানির সঙ্গে বাড়ির এক ঘর থেকে আরেক ঘরে ঘুরে বেড়ান মালালা। ঘরগুলো কীভাবে সাজানো ছিল, তাঁরা কী করতেন, এসব বলতে থাকেন। যেন পুরোনো দিনগুলোকে খুঁজে ফেরেন। তবে নিরাপত্তাকর্মীদের উপস্থিতির কারণে সহজ হতে পারছিলেন না মালালা। তাই একপর্যায়ে চাচাকে বলেন, আবার যখন আসবেন, তখন সঙ্গে কোনো নিরাপত্তাকর্মী থাকবেন না।
গত বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শহীদ খোকন আব্বাসির বাড়িতে সম্মাননা জানানো হয় মালালাকে। মালালার মনে হয়েছিল, তাঁর স্বপ্ন যেন সত্যি হয়ে যাচ্ছে।
স্বদেশে ফেরা উপলক্ষে গত শুক্রবার মালালাকে নিয়ে সম্পাদকীয় প্রকাশ করেছে ডন পত্রিকাও।
তালেবান জঙ্গিরা গুলিবিদ্ধ করার পর মালালা যুক্তরাজ্যে ছিলেন। সুস্থ হতে কিছুটা সময় লাগে তাঁর। এরপর পরিবার নিয়ে মালালা বার্মিংহামে থাকতে শুরু করেন। এখন তিনি অক্সফোর্ডে পড়াশোনা করছেন।
নারীশিক্ষায় ভূমিকা রাখার জন্য সবচেয়ে কম বয়সে নোবেল শান্তি পুরস্কার পান মালালা।
রয়টার্স জানিয়েছে, চার দিনের সফরের পরে মালালা তাঁর বাবা, মা ও ভাইয়ের সঙ্গে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে গতকাল সোমবার লন্ডনে গেছেন।
সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে আসা ও সঙ্গে নিরাপত্তাকর্মী থাকায় অনেকেই মালালার সফর নিয়ে সমালোচনা করছেন। তবে অনেকে এও বলছেন, তালেবান জঙ্গিদের হামলার ভয় এখনো রয়েছে। তাই নিরাপত্তাব্যবস্থা জরুরি। আবার অনেকে এও মনে করছেন, মালালার দেশে আসায় প্রমাণিত হয়, পাকিস্তানের নিরাপত্তাব্যবস্থা আগের চেয়ে ভালো।
- Get link
- X
- Other Apps
Comments