করতোয়ার কান্না থামাতে ২ লাখ মানুষের গণস্বাক্ষর
আমার নাম করতোয়া নদী। সচল, সজীব, নৈসর্গের প্রতীক আমি এখন হয়ে উঠেছি শ্রীহীন, স্থবীর এবং মৃতপ্রায়। আমার জলধারায় শিল্পবর্জ্য, সুয়ারেজের মলমূত্র, পলিথিন ব্যাগ নিক্ষিপ্ত হওয়ায় পরিবেশ হচ্ছে দূষিত। ময়লা আবর্জনার ভাগারে পরিণত হয়েছে আমার বক্ষ। আমার এই কান্না, দুঃখ-কষ্ট দেখার দরদি কেউ নেই।
কয়েক বছর আগে আমার গতিপথ সচল করে প্রাণ প্রবাহ ফিরে আনার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড একটি উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রস্তাব (ডিপিপি) সরকারের মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। কিন্তু সরকার মুখ ভার করে ফিরে নেয়। কাজের কাজ কিছুই হয়নি। সম্প্রতি কিছু সচেতন মানুষ আমার ছন্দময় গতি এবং প্রাণ প্রবাহ ফিরে আনার নানাভাবে আন্দোলন সংগ্রাম করছে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) বগুড়া শাখার সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জানান, তারা করতোয়ার জীবন বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য মাসব্যাপি ২ লাখ মানুষের গণস্বাক্ষর অভিযান শুরু করেছেন। এখন চলছে স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের স্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযান।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বগুড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান মাহমুদ জানান, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে করতোয়া খননের ডিপিপি ফেরত পাঠানো হয়েছে। খুব শিগগিরই নতুন ডিপিপি তৈরি করে অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
ইত্তেফাক/আরকেজি
Comments