সন্ত্রাসবাদে মদদ দেয়ার অভিযোগে 'ধূসর' তালিকায় পাকিস্তান

সন্ত্রাসবাদে মদদ দেয়ার অভিযোগে 'ধূসর' তালিকায় পাকিস্তান
প্যারিসে এফএটিএফ’র বৈঠক
সন্ত্রাসবাদে মদদ দেয়ার অভিযোগে পাকিস্তানকে অর্থনৈতিক সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক নজরদারির কথিত ধূসর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আগামী জুন মাস থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে। 
ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স বা এফএটিএফ'র সপ্তাহব্যাপী বৈঠকের পর স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকেলে এ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়।
পাকিস্তান বলছে, এফএটিএফ'র এ সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ভবিষ্যত সহযোগিতার ওপর প্রভাব ফলবে। 
এর আগে বুধবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য মার্কিন প্রচেষ্টা নস্যাৎ হয়ে যায়। চীন, তুরস্ক ও সৌদি আরব মার্কিন ওই প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল। আন্তর্জাতিক নজরদারি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আমেরিকা পেছনে থেকে কাজ করে আসছিল।   
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে বলে আসছেন- পাকিস্তান সন্ত্রাসীদেরকে অর্থ যোগান দিচ্ছে এবং জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব বাস্তবায়নের বিরুদ্ধে কাজ করেছে। এছাড়া, ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের স্বাধীনতাকামীদের প্রতি পাকিস্তানের সমর্থনের বিষয়টিও বিবেচনায় নিয়েছে এফএটিএফ। পাকিস্তান নিজেও এফএটিএফ’র সদস্য। দেশটির বিরুদ্ধে মার্কিন প্রচেষ্টায় যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে তার প্রতি ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানি সমর্থন দিয়েছে।
শুক্রবার এ সিদ্ধান্ত ঘোষণার আগে এফএটিএফ পাকিস্তানের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে একমত হয়েছিল কিন্তু শেষ পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেশটিকে ধূসর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। পাকিস্তানের পক্ষে বৈঠকে অংশ নেয়া একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগেও পাকিস্তান ২০১২ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত এফএটিএফ’র ধূসর তালিকায় ছিল।
এদিকে পাকিস্তান সরকার মনে করছে, প্যারিস বৈঠকের সিদ্ধান্তের কারণে দেশের অর্থনীতিতে বড় কোনো প্রভাব পড়বে না। পাকিস্তানের কার্যত অর্থমন্ত্রী বলছেন, ২০১২ থেকে ২০১৫ সালে এ তালিকায় থাকার সময় পাকিস্তান আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের সঙ্গে চুক্তি সই এবং আন্তর্জাতিক পুঁজিবাজারে স্বাধীনভাবে বন্ড ইস্যু করেছে।
পাকিস্তানের কর্মকর্তারা বলছেন, ইসলামাবাদ আন্তর্জাতিক রাজনীতির শিকার। এফএটিএফ’র নীতির বিরুদ্ধে গিয়ে নজিরবিহীনভাবে পাকিস্তানকে ধূসর তালিকাভুক্ত করা হয়েছে বলে তারা মনে করছেন। পাক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ড.মুহাম্মাদ ফয়সাল বলেছেন, আন্তর্জাতিক এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মারাত্মক উদ্বেগ ও আপত্তি রয়েছে।
এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্তভাবে কার্যকর হওয়ার আগে পাকিস্তান অন্তত তিন মাস সময় পাচ্ছে এবং এ সময়ের মধ্যে দেশটি যদি সুনির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি ও পরিকল্পনা দিয়ে আবেদন করে তাহলে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হতে পারে। তবে যদি এফএটিএফ’র সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয় তাহলে পাকিস্তানের ব্যাংকিং কার্যক্রম ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
বিডি প্রতিদিন/২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/আরাফাত

Comments

Popular posts from this blog

অবিবাহিত মেয়ের বুকে দুধ, এই ভিডিওটি অবশ্যই একা একা দেখবেন !

টুইন টাওয়ারে ৯/১১ জঙ্গি হামলার ৫টি 'চমকপ্রদ' তথ্য

তৈরি করুন শীতের ভাপা পিঠা