রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে যাচ্ছে ইইউ প্রতিনিধি দল রোহিঙ্গা হত্যাযজ্ঞ নিয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনে জাতিসংঘের উদ্বেগ
ফাইল ছবি
রোহিঙ্গাদের দুর্দশা পর্যবেক্ষণ করতে সোমবার কক্সবাজার যাচ্ছেন ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের চারটি প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) পার্লামেন্টের ১১ সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত চারটি টিমের মধ্যে একটি টিমের সদস্যরা শনিবার ঢাকায় পৌঁছেছে। বাকি তিনটি টিমের সদস্যদের রবিবার সকালে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের মানবাধিকার বিষয়ক সাবকমিটির নেতৃত্ব দেবেন পিয়ের অ্যান্টোনিও প্যানজেরি। এই টিমের অন্য সদস্যরা হলেন, জখিম জেলার, সোরায়া পোস্ট, বারবারা লোচবিলার। ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটি’র প্রতিনিধি হিসেবে আসছেন উরমাস পায়েট। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া বিষয়ক টিমের সদস্য হিসেবে আসছেন মার্ক তারাবেল্লা। এছাড়া দক্ষিণ এশীয় দেশগুলো সম্পর্কিত প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন জিন ল্যামবার্ট। এ দলে আরো আছেন জেমস নিকোলসন, রিচার্ড করবেট, ওয়াজিদ খান এবং সাজ্জাদ করিম।
ইইউ প্রতিনিধি দলের সদস্যরা সফরকালে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং মানবাধিকার অধিকার নিয়েও আলোচনা করবেন। বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে ইইউ প্রতিনিধি দলের কয়েকন সদস্য মিয়ানমারে সফরে যেতে পারেন। সেখানে মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের জন্য নিরাপদ প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা পর্যবেক্ষণ করবেন তারা।
রোহিঙ্গা হত্যাযজ্ঞ নিয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনে জাতিসংঘের উদ্বেগ মিয়ানমারে রোহঙ্গাি হত্যাযজ্ঞের ওপর বার্তা সংস্থা রয়টার্স যে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। সংস্থাটি বলেছে, রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর হত্যাযজ্ঞ নিয়ে নিয়ে বিস্তারিত তদন্ত জরুরি।
শুক্রবার জাতিসংঘের মুখপাত্র ফারহান হক সাংবাদিকদের বলেন, সর্বশেষ ওই রিপোর্টের ব্যাপারে আমরা অবগত রয়েছি। রিপোর্টে হত্যাযজ্ঞের যে বিবরণ উঠে এসেছে তা উদ্বেগজনক। রাখাইনে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের যে ব্যাপকতর তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে এ থেকে আরো একবার স্পষ্ট হলো। তিনি আরও বলেন, মিয়ানমারে রয়টার্সের দুই সাংবাদিকের মুক্তি দাবি করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস। এজন্য তিনি মিয়ানমারের ওপর চাপ অব্যাহত রেখেছেন।
প্রসঙ্গত, রয়টার্সের এক বিশেষ প্রতিবেদনে উত্তর রাখাইনের ইন দিন গ্রামে ১০ জন রোহিঙ্গাকে হত্যা ও গণকবর দেওয়ার ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা তুলে ধরা হয়েছে। এদের মধ্যে অন্তত দুজনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করা হয়। অন্যদের গুলি করে নিরাপত্তা বাহিনী। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞের অংশ হিসেবে এই গণহত্যা চালানো হয়েছে এমন প্রমাণ পাওয়া গেলে এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বিচার করা সম্ভব।
ইত্তেফাক/এমআই
Comments