স্বামীকে ছেড়ে প্রেমিককে বিয়ে, অতঃপর...



শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার জয়নগর এলাকায় এক গৃহবধূ (২৭) গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মামলা হওয়ার পর পুলিশ তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে। আরেক আসামি পলাতক রয়েছেন।
পুলিশ এবং ওই গৃহবধূর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার মালয়েশিয়াপ্রবাসী এক ব্যক্তির স্ত্রী শিশুসন্তান নিয়ে ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে থাকতেন। ওই গৃহবধূর সঙ্গে মোবাইলে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার জয়নগর খাঁকান্দি গ্রামের আক্তার সরদারের (২৩) পরিচয় হয়। গত বছরের নভেম্বরে ওই গৃহবধূকে বিয়ে করেন আক্তার। বিয়ের পর ওই গৃহবধূ তাঁর স্বামী আক্তারের বাড়িতে চলে যান। বিয়ের পর থেকেই ওই গৃহবধূকে নির্যাতন শুরু করে আক্তারের পরিবার। এ নিয়ে গত ২৭ জানুয়ারি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান একটি সালিস করেন। সালিসের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওই গৃহবধূর সঙ্গে আক্তারের বিচ্ছেদ হয়। পরে ওই গৃহবধূ ঢাকায় ফিরে আসেন।
গত ৩১ জানুয়ারি ওই গৃহবধূকে ফোন করে কিছু গয়না ফেরত নেওয়ার জন্য তাঁকে জাজিরায় আসতে বলেন আক্তার। ওই গৃহবধূ বিকেল চারটার দিকে জাজিরার মঙ্গল মাঝি লঞ্চঘাটে পৌঁছান। সেখান থেকে আক্তারের বন্ধু জসীম মুন্সি, ইব্রাহীম মোল্লা ও সাখাওয়াত হোসেন তাঁকে জাজিরার কাজিরহাট বাজারে নিয়ে আসেন। সেখানে এসে যোগ দেন আক্তার। বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে রাত নয়টার দিকে মুখ বেঁধে ওই গৃহবধূকে তাঁরা জয়নগর খাঁকান্দি গ্রামের একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে যান। সেখানে ওই চার ব্যক্তি তাঁকে ধর্ষণ করেন। পরের দিন অচেতন অবস্থায় গ্রামবাসী ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান।
এরপর ওই গৃহবধূ চারজনকে আসামি করে জাজিরা থানায় মামলা করেন। পরের দিন শুক্রবার শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ওই গৃহবধূর শারীরিক পরীক্ষা করা হয়। শনিবার পুলিশ এজাহারভুক্ত আসামি আক্তার সরদার, জসীম মৃধা ও সাখাওয়াত হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। রোববার তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। আসামি ইব্রাহীম মোল্লা পলাতক রয়েছেন।
ওই গৃহবধূ প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রেমের ফাঁদে ফেলে আক্তার আমার কাছ থেকে অনেক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। বিশ্বাস করে স্বামী-সন্তান ছেড়ে ওর ঘরে গিয়েছিলাম। কিন্তু সে আমার চরম সর্বনাশ করে দিল। আমি কখনো ভাবতে পারিনি সে তার বন্ধুদের নিয়ে আমাকে চরম অবমাননা করবে। আমি সব হারিয়ে ফেললাম। আল্লাহ যেন তাদের শাস্তি দেন।’
জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক বলেন, ‘গৃহবধূর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছি। তিনজনই ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন। এজাহারভুক্ত আসামি ইব্রাহীম মোল্লাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
সব

Comments

Popular posts from this blog

অবিবাহিত মেয়ের বুকে দুধ, এই ভিডিওটি অবশ্যই একা একা দেখবেন !

টুইন টাওয়ারে ৯/১১ জঙ্গি হামলার ৫টি 'চমকপ্রদ' তথ্য

তৈরি করুন শীতের ভাপা পিঠা