মার্কিন সামরিক সহায়তা বন্ধের প্রতিক্রিয়া বিশ্বাসঘাতকতা করেছে যুক্তরাষ্ট্র: পাকিস্তান
- Get link
- X
- Other Apps
পাকিস্তানকে ৯০ কোটি ডলার সামরিক সহায়তা বন্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইসলামাবাদ। যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ তুলে তারা বলেছে, এটি ‘স্বেচ্ছাচারমূলক ও একতরফা সিদ্ধান্ত’।
এদিকে ট্রাম্প প্রশাসনের একজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা গত শুক্রবার বলেছেন, পাকিস্তানকে ২০০ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা বন্ধ করা হতে পারে। আর্থিক অঙ্কের এই পরিমাণ প্রাথমিকভাবে অনুমিত ৯০ কোটি ডলারের দ্বিগুণের বেশি।
যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ করার আগে পাকিস্তানের বিরোধী দলগুলো সরকারের প্রতি প্রতিশোধ হিসেবে পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানায়। পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে কয়েক বছর ধরেই টানাপোড়েন চলছে। সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এক টুইটের জেরে দুই দেশের বাদানুবাদ ও উত্তেজনা তীব্র হয়। এরই ধারাবাহিকতায় মিত্রদেশটির বিরুদ্ধে নেওয়া এ সিদ্ধান্তকে এযাবৎকালের অন্যতম কঠোরতম পদক্ষেপ হিসেবে ধরা হচ্ছে।
গত সোমবার টুইটার বার্তায় ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বোকার মতো গত ১৫ বছরে ৩ হাজার ৩০০ কোটি ডলার পাকিস্তানকে সহায়তা দিয়েছে। বিনিময়ে তারা ‘মিথ্যা ও প্রতারণা’ ছাড়া কিছুই পায়নি। পরদিন মঙ্গলবার জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি বলেন, পাকিস্তানকে ২৫ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার অর্থসহায়তা দেবে না ওয়াশিংটন। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তারা বলেছেন, পাকিস্তান যাতে নিজ ভূখণ্ডকে সন্ত্রাসীদের নিরাপদ স্বর্গ হয়ে ওঠা ঠেকাতে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়, সে লক্ষ্যে এই সামরিক সহায়তা বন্ধ করা হচ্ছে।
তবে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেছে, শান্তি অর্জনে কাজ করতে হলে দরকার ধৈর্য ও অধ্যবসায়ের পাশাপাশি পারস্পরিক সম্মান প্রদর্শন এবং আস্থা। খামখেয়ালি সময়সীমা, একতরফা ঘোষণা ও লক্ষ্যস্থল পরিবর্তন অভিন্ন হুমকি মোকাবিলায় নেতিবাচক ফল বয়ে আনবে।
সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় নেওয়া পদক্ষেপের বিষয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন করে ইসলামাবাদ বলেছে, গত ১৫ বছরে প্রধানত নিজস্ব সম্পদ দিয়েই সে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে আসছে। এই সময়ে এই খাতে তারা ব্যয় করেছে ১২ হাজার কোটি ডলার।
- Get link
- X
- Other Apps
Comments