ভুয়া দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সেজে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ
ভুয়া দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সেজে শুক্রবার নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ এবং এ কাজে সহযোগিতা করার অভিযোগে ৩জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। মাগুরা সদর উপজেলার নির্বাহী কর্তকর্তা আবু সুফিয়ানের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত এ কারাদণ্ড প্রদান করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সদর উপজেলার আবালপুরের ভুয়া দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সাহেব আলী এবং তাকে সহায়তাকারী একই গ্রামের সাফায়াত হোসেন ও শহরের পুলিশ লাইন পাড়ার শিমুল হোসেন। এদের মধ্যে সাহেব আলীকে ২ মাস ও অপর ২জনকে ১ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
সরকারি একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের অধীনে অনুষ্ঠিত নিয়োগ পরীক্ষায় মাগুরা শহরের স্টেডিয়াম পাড়া মহিলা মাদ্রাসা কেন্দ্রে এ ঘটনাটি ঘটে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও মাগুরা সদর উপজেলার নির্বাহী কর্তকর্তা আবু সুফিয়ান জানান, সাহেব আলী সরকারি একটি খামার একটি প্রকল্পের মাঠ সহকারী পদের একজন পরীক্ষার্থী। সে নিজেকে সম্পূর্ণ দৃষ্টি প্রতিবন্ধী পরিচয় দিয়ে পরীক্ষা দেবার জন্য সাফায়াত হোসেনকে শ্রুতি লেখক হিসাবে মনোনীত করে। সরকারি নিয়মানুযায়ী যে যোগ্যতার পরীক্ষা তার চেয়ে কর্ম যোগ্যতায় শিক্ষাথীকে শ্রুতি লেখক হিসাবে মনোনয়ন দিতে হয়। সাহেব আলী এক্ষেত্রে সাফায়াতকে পাবনা জেলার একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র দেখিয়ে সনদ জমা দেয়। কিন্তু আসলে সাফায়াত মাগুরা সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের অনার্স ৩য় বর্ষের ছাত্র। এছাড়া সাহেব আলী দৃষ্টি প্রতিবন্ধী নয়। সে দেখতে পায়।
কেন্দ্রে পরীক্ষা দেবার সময় দায়িত্বরতদের কাছে প্রতারণার বিষয়টি ধরা পড়লে তারা জেলা প্রশাসক আতিকুর রহমানকে বিষয়টি জানান। জেলা প্রশাসক ঘটনাস্থলে এসে এটির তদন্তকালে সাহেব আলী ও সাফায়েত তাদের দোষ স্বীকার করে।
ইত্তেফাক/আরকেজি
Comments