ইতিহাসের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায় ২.৬ ডিগ্রি
তীব্র শৈত্যপ্রবাহে দেশের উত্তরের শেষ প্রান্ত পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় গতকাল সোমবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যায়। আবহাওয়া অধিদপ্তরে ১৯৪৮ সাল থেকে তাপমাত্রার রেকর্ড আছে। সেই হিসাব বলছে এটি গত ৬৯ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এর আগে ১৯৬৮ সালে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। এত দিন পর্যন্ত সেটাই ছিল দেশের সবচেয়ে কম তাপমাত্রার রেকর্ড।
গতকাল আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্তব্যরত পূর্বাভাস কর্মকর্তা আব্দুর রহমান এ তথ্য দিয়ে বলেন, আরো দুই থেকে তিন দিন এ অবস্থা থাকবে। ১০ তারিখের পর থেকে সারা দেশে তাপমাত্রা বাড়বে। জোরাল পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে কনকনে ঠান্ডা বাতাস হু হু করে ধেয়ে আসায় তাপমাত্রা নেমে যাচ্ছে। গতকাল দেশের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে নীলফামারীর সৈয়দপুরে। এরপরই রয়েছে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় সর্বনিম্ন ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজারহাটে ৩ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনাজপুরে ৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানী ঢাকায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলেছে। এখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাওয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। ঘন কুয়াশায় যানবাহন, নৌ ও বিমান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। নষ্ট হচ্ছে খেতের ফসল। কাজে যেতে পারছেন না শ্রমজীবী মানুষ। শীতার্ত মানুষ ভিড় করছেন গরম কাপড়ের দোকানে। বলা বাহুল্য শীতের কাপড়েরর দাম কয়েকগুণ বেড়ে গেছে।
আমাদের পঞ্চগড় প্রতিনিধি জানান, গত কয়েকদিন ধরে ক্রমাগত তাপমাত্রা কমছিল। গতকাল পঞ্চগড়ে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। নিম্নআয়ের মানুষ বিশেষ করে দিনমজুর, রিকশা-ভ্যান চালক ও খেটে খাওয়া মানুষ দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে। ঘর থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না। কাজকর্ম না থাকায় পরিবার পরিজন নিয়ে অনেকেই বিপাকে পড়েছেন। পঞ্চগড়ের সিভিল সার্জন ডা. জহিরুল ইসলাম জানান, হাসপাতালগুলোতে শিশু ও বৃদ্ধ রোগীদের ভিড় বেড়েছে। ঘন কুয়াশা ও শৈত্য প্রবাহ অব্যাহত থাকলে আলু ও গমসহ রবিশষ্য ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। তবে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. শামছুল হক জানান, কৃষকরা বোরো বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিয়েছেন, ফলে বীজতলা ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশঙ্কা নেই। মাঝে মাঝে ঘনকুয়াশা কেটে গিয়ে সূর্যের মুখ দেখা যাচ্ছে এ কারণে অন্যান্য রবিশষ্য ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশঙ্কা নেই বলেও জানান তিনি।
নীলফামারী প্রতিনিধি জানান, সোমবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঠান্ডায় মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারছে না। ফসলের খেতে কাজ করতে পারছে না কৃষি শ্রমিক।
স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর জানান, দিনাজপুরে গতকাল সোমবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে এসেছে ৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। কনকনে ঠান্ডায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ।
নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) সংবাদদাতা জানান, কয়েকদিনের টানা শৈত্যপ্রবাহে দুর্ভোগ বেড়েই চলছে। ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। প্রচন্ড শীতে মড়ক দেখা দিয়েছে বিভিন্ন হাঁস-মুরগীর খামারে।
গাইবান্ধা প্রতিনিধি জানান, গাইবান্ধায় প্রচন্ড শীতে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা স্থবির হয়ে পড়েছে। শহরের কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলোতে প্লে-শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত মর্নিং শিফটের শিক্ষা কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার দাবি জানিয়েছেন অভিভাবকরা।
রংপুর প্রতিনিধি জানান, গতকাল রংপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঘন কুয়াশার কারণে রংপুর অঞ্চলের আলু চাষিরা মৌসুমের শুরুতেই ছত্রাকজনিত আরর্লি ব্লাইট ভাইরাস আক্রমণে আলু ক্ষেতে পচন ধরার ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।।
নাটোর প্রতিনিধি জানান, তীব্র শীতের কারণে হাট-বাজারের অধিকাংশ দোকান বন্ধ করা হচ্ছে সন্ধ্যার দিকে এবং পরের দিন দোকান খুলছে সকাল ১১টার দিকে। পাড়া-মহল্লায় সন্ধ্যাতেই নেমে আসে গভীর রাতের নিস্তব্ধতা। স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমে গেছে।
স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী জানান, গতকাল সোমবার রাজশাহীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৫ দশকি ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা নিচে নামার পাশাপাশি উত্তরের হিমেল হাওয়ার কারণে ঠান্ডার অনুভূ িকয়েকগুণ বেড়ে যায়। একেবারে প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না সাধারণ মানুষ।
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, কনকনে ঠান্ডায় বাতাসে সিরাজগঞ্জে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে ঘন কুয়াশায় ছেয়ে যাচ্ছে চারিদিক।
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি জানান, মেঘনা উপকূলীয় জেলা লক্ষ্মীপুরে গত কয়েক দিনের শীতের তীব্র্র্র্র্র্র্র্রতা, ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় স্থবির হয়ে পড়েছে জন-জীবন। ঘন কুয়াশার কারণে দিনের বেলাতেও হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। সন্ধ্যার পর দোকান-পাট বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি জানান, সোমবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। দুপুরের আগে অনেক যায়গায় সূর্যের দেখা মিলেনি।
জীবননগর (চুয়াডাব্দা) সংবাদদাতা জানান, গতকাল সাৈমাবার চুয়াডাব্দা জৈলায় ৫ দশমিক ৬ ডিগিণ্ঠ সৈলসিয়াস তাপমাষ্ণা রৈকডট্ট করা হএয়এছ। ঠাক্ম্ভ্রাজনিত রাৈএগ অএনক রাৈগী উপএজলা ’ঙ্কার্’ঞ্ঝ কমএক্রদ্দএন্স ভতিট্ট হএয়এছ।
গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) সংবাদদাতা জানান, ঘন কুয়াশার কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে গতকাল সোমবার ভোর সাড়ে ৫টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত সকল ফেরিসার্ভিস বন্ধ ছিল। এসময় আমানত শাহ্, কপোতী ও শাহ্ আলী নামের তিনটি ফেরি মাঝনদীতে আটকা পড়ে থাকে। ফেরি সার্ভিস বন্ধ থাকায় ঘাটে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। দুর্ভোগের শিকার হন মানুষ।
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ঘনকুয়াশার কারণে আড়াই ঘন্টা ফেরিসার্ভিস বন্ধ থাকায় দৌলতদিয়া ঘাটে অনেক গাড়ি আটকে পড়ে। ছোট-বড় মোট ১৫টি ফেরি সার্বক্ষণিক সচল রেখে গাড়িগুলো দ্রুত পারাপার করা হচ্ছে।ত্
মাগুরা প্রতিনিধি জানান, মাগুরায় শৈত্য প্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে । শীতের তীব্রতা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে । সকালে কুয়াশার কারণে যানবাহন চলাচলে ব্যাহত হচ্ছে।
নরসিংদী প্রতিনিধি জানান, হঠাত্ শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় ডায়রিয়া ও ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রায় শতাধিক রোগী নরসিংদী সদর হাসপাতাল ও জেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
এছাড়া কমলগঞ্জ(মৌলভীবাজার), চরফ্যাশন (ভোলা), আমতলি (বরগুনা) বদলগাছী (নওগাঁ), কালাই (জয়পুরহাট), আড়াইহাজার (নারায়নগঞ্জ), কামারখন্দ (সিরাজগঞ্জ), ফুলবাড়ি (দিনাজপুর), বদরগঞ্জ (রংপুর), দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা), সদরপুর (ফরিদপুর), ঝিনাইগাতী (শেরপুর), মহাদেবপুর (নওগাঁ), ধামইরহাট (নওগাঁ), মাদারীপুর, উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ), রাণীনগর (নওগাঁ), ফুলবাড়ি (কুড়গ্রাম) থেকে আমাদের প্রতিনিধি ও সংবাদদাতারা শৈত্যপ্রবাহ ও মানুষের দুর্ভোগের সংবাদ পাঠিয়েছেন।
ইত্তেফাক/নূহু
গতকাল আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্তব্যরত পূর্বাভাস কর্মকর্তা আব্দুর রহমান এ তথ্য দিয়ে বলেন, আরো দুই থেকে তিন দিন এ অবস্থা থাকবে। ১০ তারিখের পর থেকে সারা দেশে তাপমাত্রা বাড়বে। জোরাল পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে কনকনে ঠান্ডা বাতাস হু হু করে ধেয়ে আসায় তাপমাত্রা নেমে যাচ্ছে। গতকাল দেশের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে নীলফামারীর সৈয়দপুরে। এরপরই রয়েছে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় সর্বনিম্ন ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজারহাটে ৩ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনাজপুরে ৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানী ঢাকায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলেছে। এখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাওয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। ঘন কুয়াশায় যানবাহন, নৌ ও বিমান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। নষ্ট হচ্ছে খেতের ফসল। কাজে যেতে পারছেন না শ্রমজীবী মানুষ। শীতার্ত মানুষ ভিড় করছেন গরম কাপড়ের দোকানে। বলা বাহুল্য শীতের কাপড়েরর দাম কয়েকগুণ বেড়ে গেছে।
আমাদের পঞ্চগড় প্রতিনিধি জানান, গত কয়েকদিন ধরে ক্রমাগত তাপমাত্রা কমছিল। গতকাল পঞ্চগড়ে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। নিম্নআয়ের মানুষ বিশেষ করে দিনমজুর, রিকশা-ভ্যান চালক ও খেটে খাওয়া মানুষ দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে। ঘর থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না। কাজকর্ম না থাকায় পরিবার পরিজন নিয়ে অনেকেই বিপাকে পড়েছেন। পঞ্চগড়ের সিভিল সার্জন ডা. জহিরুল ইসলাম জানান, হাসপাতালগুলোতে শিশু ও বৃদ্ধ রোগীদের ভিড় বেড়েছে। ঘন কুয়াশা ও শৈত্য প্রবাহ অব্যাহত থাকলে আলু ও গমসহ রবিশষ্য ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। তবে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. শামছুল হক জানান, কৃষকরা বোরো বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিয়েছেন, ফলে বীজতলা ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশঙ্কা নেই। মাঝে মাঝে ঘনকুয়াশা কেটে গিয়ে সূর্যের মুখ দেখা যাচ্ছে এ কারণে অন্যান্য রবিশষ্য ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশঙ্কা নেই বলেও জানান তিনি।
নীলফামারী প্রতিনিধি জানান, সোমবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঠান্ডায় মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারছে না। ফসলের খেতে কাজ করতে পারছে না কৃষি শ্রমিক।
স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর জানান, দিনাজপুরে গতকাল সোমবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে এসেছে ৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। কনকনে ঠান্ডায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ।
নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) সংবাদদাতা জানান, কয়েকদিনের টানা শৈত্যপ্রবাহে দুর্ভোগ বেড়েই চলছে। ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। প্রচন্ড শীতে মড়ক দেখা দিয়েছে বিভিন্ন হাঁস-মুরগীর খামারে।
গাইবান্ধা প্রতিনিধি জানান, গাইবান্ধায় প্রচন্ড শীতে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা স্থবির হয়ে পড়েছে। শহরের কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলোতে প্লে-শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত মর্নিং শিফটের শিক্ষা কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার দাবি জানিয়েছেন অভিভাবকরা।
রংপুর প্রতিনিধি জানান, গতকাল রংপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঘন কুয়াশার কারণে রংপুর অঞ্চলের আলু চাষিরা মৌসুমের শুরুতেই ছত্রাকজনিত আরর্লি ব্লাইট ভাইরাস আক্রমণে আলু ক্ষেতে পচন ধরার ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।।
নাটোর প্রতিনিধি জানান, তীব্র শীতের কারণে হাট-বাজারের অধিকাংশ দোকান বন্ধ করা হচ্ছে সন্ধ্যার দিকে এবং পরের দিন দোকান খুলছে সকাল ১১টার দিকে। পাড়া-মহল্লায় সন্ধ্যাতেই নেমে আসে গভীর রাতের নিস্তব্ধতা। স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমে গেছে।
স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী জানান, গতকাল সোমবার রাজশাহীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৫ দশকি ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা নিচে নামার পাশাপাশি উত্তরের হিমেল হাওয়ার কারণে ঠান্ডার অনুভূ িকয়েকগুণ বেড়ে যায়। একেবারে প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না সাধারণ মানুষ।
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, কনকনে ঠান্ডায় বাতাসে সিরাজগঞ্জে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে ঘন কুয়াশায় ছেয়ে যাচ্ছে চারিদিক।
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি জানান, মেঘনা উপকূলীয় জেলা লক্ষ্মীপুরে গত কয়েক দিনের শীতের তীব্র্র্র্র্র্র্র্রতা, ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় স্থবির হয়ে পড়েছে জন-জীবন। ঘন কুয়াশার কারণে দিনের বেলাতেও হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। সন্ধ্যার পর দোকান-পাট বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি জানান, সোমবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। দুপুরের আগে অনেক যায়গায় সূর্যের দেখা মিলেনি।
জীবননগর (চুয়াডাব্দা) সংবাদদাতা জানান, গতকাল সাৈমাবার চুয়াডাব্দা জৈলায় ৫ দশমিক ৬ ডিগিণ্ঠ সৈলসিয়াস তাপমাষ্ণা রৈকডট্ট করা হএয়এছ। ঠাক্ম্ভ্রাজনিত রাৈএগ অএনক রাৈগী উপএজলা ’ঙ্কার্’ঞ্ঝ কমএক্রদ্দএন্স ভতিট্ট হএয়এছ।
গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) সংবাদদাতা জানান, ঘন কুয়াশার কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে গতকাল সোমবার ভোর সাড়ে ৫টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত সকল ফেরিসার্ভিস বন্ধ ছিল। এসময় আমানত শাহ্, কপোতী ও শাহ্ আলী নামের তিনটি ফেরি মাঝনদীতে আটকা পড়ে থাকে। ফেরি সার্ভিস বন্ধ থাকায় ঘাটে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। দুর্ভোগের শিকার হন মানুষ।
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ঘনকুয়াশার কারণে আড়াই ঘন্টা ফেরিসার্ভিস বন্ধ থাকায় দৌলতদিয়া ঘাটে অনেক গাড়ি আটকে পড়ে। ছোট-বড় মোট ১৫টি ফেরি সার্বক্ষণিক সচল রেখে গাড়িগুলো দ্রুত পারাপার করা হচ্ছে।ত্
মাগুরা প্রতিনিধি জানান, মাগুরায় শৈত্য প্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে । শীতের তীব্রতা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে । সকালে কুয়াশার কারণে যানবাহন চলাচলে ব্যাহত হচ্ছে।
নরসিংদী প্রতিনিধি জানান, হঠাত্ শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় ডায়রিয়া ও ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রায় শতাধিক রোগী নরসিংদী সদর হাসপাতাল ও জেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
এছাড়া কমলগঞ্জ(মৌলভীবাজার), চরফ্যাশন (ভোলা), আমতলি (বরগুনা) বদলগাছী (নওগাঁ), কালাই (জয়পুরহাট), আড়াইহাজার (নারায়নগঞ্জ), কামারখন্দ (সিরাজগঞ্জ), ফুলবাড়ি (দিনাজপুর), বদরগঞ্জ (রংপুর), দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা), সদরপুর (ফরিদপুর), ঝিনাইগাতী (শেরপুর), মহাদেবপুর (নওগাঁ), ধামইরহাট (নওগাঁ), মাদারীপুর, উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ), রাণীনগর (নওগাঁ), ফুলবাড়ি (কুড়গ্রাম) থেকে আমাদের প্রতিনিধি ও সংবাদদাতারা শৈত্যপ্রবাহ ও মানুষের দুর্ভোগের সংবাদ পাঠিয়েছেন।
ইত্তেফাক/নূহু
Comments