সেনাবাহিনী প্রত্যাহার হলে নিরাপত্তাশূন্যতা তৈরি হবে — মেজর জেনারেল (অব.) আবদুর রশীদ

সেনাবাহিনী প্রত্যাহার হলে নিরাপত্তাশূন্যতা তৈরি হবে
নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) আবদুর রশীদ বলেন, পার্বত্য জেলাগুলো থেকে সেনা প্রত্যাহার করা হলে নিরাপত্তাশূন্যতা তৈরি হবে। স্থানীয় জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থেই সেখানে সেনা সদস্যদের উপস্থিতি প্রয়োজন। পার্বত্য শান্তিচুক্তির দুই দশক উপলক্ষে বৃহস্পতিবার রাতে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়ার অভিযোগ একপক্ষীয় বলে মনে করি না। সন্তু লারমা সাহেব দীর্ঘদিন থেকে এই অভিযোগ করে আসছেন। সরকারের পক্ষ থেকেও অভিযোগ আছে। আমি মনে করি, এই চুক্তি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সরকারের আন্তরিকতার অভাব নেই। কিন্তু কোনো চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য উভয় পক্ষের ঐকমত্যের প্রয়োজন হয়। কেউ একপক্ষীয় মতামত নিয়ে অনড় থাকলে চুক্তি বাস্তবায়ন এগোয় না। মেজর জেনারেল (অব.) আবদুর রশীদ বলেন, সংখ্যাগতভাবে শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের অগ্রগতি অনেক। কিন্তু মূল সমস্যা ভূমি জটিলতা।
সেটা এগোয়নি।
পার্বত্য জেলা থেকে বাঙালি প্রত্যাহারের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, সন্তু লারমা সাহেব উনার মতো করে প্রস্তাব রাখতেই পারেন। কিন্তু সেটা মোটেই বাস্তবসম্মত নয়। আমি মনে করি, সরকার তাদের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়েই চুক্তিটি করেছিল। তিনি বলেন, চুক্তি অনুযায়ী পার্বত্য জেলা থেকে বেশকিছু সেনাক্যাম্প প্রত্যাহার করা হয়েছে। স্থানীয় জনগণের স্বার্থেই সব ক্যাম্প প্রত্যাহার করা মোটেও সমীচীন হবে না। সেনাক্যাম্প সেখানে রাখা হয়েছে বেসামরিক জনগণের নিরাপত্তার জন্য। সব সেনা সরিয়ে নিলে পার্বত্য জেলায় নিরাপত্তাশূন্যতা তৈরি হবে। কারণ, এমনিতেই পাহাড়ে সুষ্ঠু পরিস্থিতি নেই।
Bangladesh Pratidin

Comments

Popular posts from this blog

অবিবাহিত মেয়ের বুকে দুধ, এই ভিডিওটি অবশ্যই একা একা দেখবেন !

টুইন টাওয়ারে ৯/১১ জঙ্গি হামলার ৫টি 'চমকপ্রদ' তথ্য

তৈরি করুন শীতের ভাপা পিঠা