যুক্তরাষ্ট্র সেনা কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় মর্মাহত মিয়ানমার
মিয়ানমারের রাখাইনে সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর সহিংসতা চালানোর জন্য গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের এক জেনারেলের ওপর টার্গেটেড নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপে মিয়ানমার সরকার মর্মাহত হয়েছে বলে দেশটির কার্যত সরকার প্রধান অং সান সু চির কার্যালয়ের মুখপাত্র জ হতয় জানিয়েছেন।
বাতা সংস্থা রয়টার্সকে তিনি বলেন, মেজর জেনারেল মং মং সোয়ের বিরুদ্ধে তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আমরা খুবই মর্মাহত। প্রসঙ্গত, মং মং সো নামের ওই সেনা কর্মকর্তা দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় কমান্ডের শীর্ষ পদে নিয়োজিত ছিলেন। রাখাইন প্রদেশ ওই কমান্ডের আওতাধীন। মং সোর নেতৃত্বেই সেখানে নিধনযজ্ঞ চালায় সেনাবাহিনী। জ হতয় বলেন, সেনাবাহিনীর নৃশংসতার নির্ভরযোগ্য তথ্য ও শক্ত প্রমাণ পেলে মিয়ানমার পদক্ষেপ নেবে।
রয়টার্সের দুই সাংবাদিক আবারো রিমান্ডে
মিয়ানমারে আটক আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্সের দুই সাংবাদিককে ১৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, বুধবার তাদের আদালতে তোলা হলে এ রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। আটক হওয়ার পর এই দুই সাংবাদিককে গতকাল প্রথমবারের মতো জনসমক্ষে আনা হয়। রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর সেনাবাহিনীর নির্যাতন নিয়ে সংবাদ সংগ্রহের তারা কিছু দলিল জোগাড় করেছিলেন। এজন্য তাদের অফিসিয়াল সিক্রেটস আইনে গ্রেফতার করা হয়। দুই জনই মিয়ানমারের নাগরিক। গোপনীয়তা লঙ্ঘনের অভিযোগে এ দুই জনকে আটক করা হয়েছে। গোপনীয়তা লঙ্ঘনের শাস্তি সর্বোচ্চ ১৪ বছরের কারাদণ্ড।
সংকট স্থায়ী সমাধানের আহ্বান অক্সফামের
রোহিঙ্গা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার আগে এই সংকটের দ্রুত ও স্থায়ী সমাধানের জন্য উদ্যোগ নিতে জাতিসংঘসহ বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা অক্সফাম। সংস্থাটি বলেছে, এখনো রোহিঙ্গারা তাদের বাড়ি ঘর ছেড়ে পালাচ্ছে। তারা যদি জরাজীর্ণ ও অস্বাস্থ্যকর ক্যাম্পে আশ্রয় নেয় তবে পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে। অক্সফাম আয়্যারল্যান্ডের প্রধান নির্বাহী জিম ক্লার্কেন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমালোচনা করে বলেন, তারা এই সংকটের সমাধান ও রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা এবং মর্যাদা নিশ্চিতে যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছে না। বিশ্ব সম্প্রদায়কে অবশ্যই দায় নিতে হবে এবং কূটনৈতিক পদক্ষেপের মাধ্যমে এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান বের করতে হবে।
ইত্তেফাক/আনিসুর
Comments