যে কারণে মিয়ানমারে ‘রোহিঙ্গা’ বলেননি পোপ

মিয়ানমারে পোপ ফ্রান্সিস তাঁর ভাষণে একবারও ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি উচ্চারণ করেননি। তবে তিনি ‘প্রতিটি জাতিগোষ্ঠীর প্রতি শ্রদ্ধা’ রাখার দাবি জানিয়েছেন। এ নিয়ে বেশ সমালোচনার শিকার হয়েছেন তিনি। তবে কেন এই বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তা ঘটনার এক সপ্তাহ পর ব্যাখ্যা দিলেন পোপ।
পোপ ফ্রান্সিস বলেছেন, ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি আগেই উচ্চারণ করলে মিয়ানমারের নেতাদের সঙ্গে সংলাপের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। আর ঝুঁকিটি তিনি নিতে চাননি বলেই শব্দটি উচ্চারণ করেননি।
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল শনিবার বাংলাদেশ সফর শেষে ফিরে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পোপ ফ্রান্সিস তাঁর ওই সিদ্ধান্তের এমন ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
পোপ বলেন, ‘আমি যদি শব্দটি উচ্চারণ করতাম, তাহলে মিয়ানমারের নেতারা মুখের ওপর সব আলোচনার পথ বন্ধ করে দিতেন। বিষয়টি সম্পর্কে আমি ভাবছি, তা কিন্তু সবার জানা। ব্যক্তিগত ওই বৈঠকগুলো আমি ভেস্তে যেতে দিতে চাইনি। বৈঠকগুলো হওয়ায় আমি বেশ সন্তুষ্ট। আর “রোহিঙ্গা” শব্দটি উচ্চারণ না করেও ওই বৈঠকেই মূল বার্তাটি আমি পৌঁছে দিতে পেরেছি।’
পোপ ফ্রান্সিস বলেন, রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনার জন্যই তিনি মিয়ানমার সফর করেছিলেন। যাওয়ার ইচ্ছা থাকলেও সংগত কারণেই শরণার্থীশিবির সফর করা তাঁর পক্ষে সম্ভব হয়নি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আয়োজকেরা যখন তাঁর সঙ্গে রোহিঙ্গা সদস্যদের সাক্ষাৎ করানোর জন্য নিয়ে এসেছিলেন, তখন তাঁদের যথাযথ সম্মান দিয়ে নিয়ে আসা হয়নি। বিষয়টি তাঁকে কষ্ট দিয়েছে। তিনি সাক্ষাৎ করতে আসা সব রোহিঙ্গা সদস্যদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন। নিজেও স্বতঃস্ফূর্তভাবে মন্তব্য করেছেন।
পোপ বলেন, ‘তাঁদের (রোহিঙ্গা) কথা শুনে আমি কেঁদেছি। তবে আমি তা গোপন রাখার চেষ্টা করেছি। কারণ, রোহিঙ্গারা তাঁদের দুর্দশার কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেছিলেন।’
পোপ সাংবাদিকদের বলেন, মিয়ানমারের সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইংয়ের সঙ্গে আলোচনা ‘ভালো’ হয়েছে। ওই বৈঠকে সত্য প্রকাশে তিনি কোনো সমঝোতায় যাননি। তাঁর দেওয়া বার্তা সাদরে গ্রহণ করেছেন মিন অং।
গত ২৮ নভেম্বর মিয়ানমার সফরে যান পোপ ফ্রান্সিস। সেখানে সরাসরি রোহিঙ্গাদের কথা উল্লেখ না করলেও ভাষণে জাতিগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষার প্রতি পোপ তাঁর শক্ত অবস্থান তুলে ধরেন। পোপ বলেন, মিয়ানমারকে অবশ্যই শান্তিপূর্ণ হতে হবে। সমাজের প্রতিটি সদস্যের মর্যাদা ও অধিকারের ভিত্তিতে এই শান্তি আনতে হবে।
ভাষণ দেওয়ার আগে পোপ ফ্রান্সিস মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সু চিও তাঁর ভাষণে সরাসরি রোহিঙ্গা মুসলিমদের কথা উল্লেখ করেননি। তবে তিনি স্বীকার করেন যে রাখাইনের পরিস্থিতি ‘বিশ্বের ব্যাপক মনোযোগ আকর্ষণ’ করেছে।
সব

Comments

Popular posts from this blog

অবিবাহিত মেয়ের বুকে দুধ, এই ভিডিওটি অবশ্যই একা একা দেখবেন !

টুইন টাওয়ারে ৯/১১ জঙ্গি হামলার ৫টি 'চমকপ্রদ' তথ্য

তৈরি করুন শীতের ভাপা পিঠা