মুক্তি পেলেন হাফিজ সাঈদ

পাকিস্তানভিত্তিক উগ্রবাদী সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়েবার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং ২০০৮ সালে ভারতের মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলার অন্যতম সন্দেহভাজন পরিকল্পনাকারী হাফিজ সাঈদ গৃহবন্দী অবস্থা থেকে মুক্তি পেয়েছেন। পাকিস্তানের একটি আদালতের নির্দেশের পর বৃহস্পতিবার রাতে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়।
বিবিসি ও এনডিটিভির খবরে বলা হয়, ১০ মাস গৃহবন্দী থাকার পর পাঞ্জাব সরকার মঙ্গলবার হাফিজ সাঈদকে প্রাদেশিক রিভিউ আদালতে হাজির করে আটকাদেশ বাড়ানোর আবেদন করেছিল। কর্তৃপক্ষ আদালতে জানিয়েছিল, যদি হাফিজ সাঈদকে মুক্তি দেওয়া হয় তাহলে পাকিস্তানের ওপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে। কিন্তু আদালত তাঁর আদেশে বলেন, হাফিজ সাঈদের বিরুদ্ধে যদি অন্য কোনো মামলার পরোয়ানা না থাকে, তবে তাঁকে মুক্তি দিতে হবে।
২০০৮ সালে মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলায় ১৬০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়। ছবি: এএফপিপাকিস্তানের ইসলামি সংগঠন জামায়াত উদ দাওয়ার (জেইউডি) প্রধান হাফিজ সাঈদকে পাকিস্তান সরকার অন্য কোনো মামলায় গ্রেপ্তার দেখায়নি। ফলে তিনি মুক্তি পেয়ে যান। এরপর এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ভারত বরাবরই তাঁর বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাসবাদের’ তকমা ব্যবহার করে আসছে। কিন্তু লাহোর আদালতের সিদ্ধান্ত প্রমাণ করেছে, ভারতের সব প্রচারণা মিথ্যা।
মার্কিন কর্তৃপক্ষ হাফিজ সাঈদের মাথার দাম এক কোটি ডলার ঘোষণা করেছিল। তাঁকে আন্তর্জাতিকভাবে উগ্রবাদী নেতা হিসেবে মনে করা হয়। সন্ত্রাসবাদ নিয়ে পাকিস্তানকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কড়া বার্তার পর আদালতের নির্দেশে জানুয়ারিতে লাহোরে গৃহবন্দী হন সাঈদ। তখন সাঈদ ও তাঁর চার সহযোগীকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে আটক করা হয় ৯০ দিনের জন্য। পরে দুবার আটকাদেশ বাড়ানো হয়।
ভারত নিজের ভূখণ্ডে বেশ কয়েক দফার হামলার জন্য হাফিজ সাঈদকে দায়ী করে আসছে। কিন্তু পাকিস্তান বলছে, তারা এখনো এমন কোনো প্রমাণ পায়নি যার ফলে সাঈদকে বিচারের মুখোমুখি করা যায়। পাকিস্তানের আদালতের এ সিদ্ধান্ত প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্কে আরও উত্তেজনা বাড়িয়ে দেবে বলে মনে করা হচ্ছে।
সব

Comments

Popular posts from this blog

অবিবাহিত মেয়ের বুকে দুধ, এই ভিডিওটি অবশ্যই একা একা দেখবেন !

টুইন টাওয়ারে ৯/১১ জঙ্গি হামলার ৫টি 'চমকপ্রদ' তথ্য

তৈরি করুন শীতের ভাপা পিঠা