ছাগলনাইয়ায় ৩১ প্রাইমারি স্কুলে নেই প্রধান শিক্ষক

ফেনীর ছাগলনাইয়ার ৩১টি প্রাইমারি স্কুলে প্রধান শিক্ষকের পদে কোন লোক নেই। শিক্ষার মানোন্নয়নে মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা এলেও প্রধান শিক্ষক পদায়নের ক্ষেত্রে সন্তোষজনক কোন অগ্রগতি নেই বলে জানা গেছে। সহকারী শিক্ষক দিয়ে চলছে প্রধান শিক্ষকের দাফতরিক কার্যক্রম। প্রধান শিক্ষকের পাশাপাশি সহকারী শিক্ষকের অনেক পদ পূর্ণ হয়ে রয়েছে। প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য থাকার কারণে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত পাঠদানে ব্যাঘাত ঘটছে। শিক্ষক শূন্যতার কারণে সমাপনী পরীক্ষার ফলাফলে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।
শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ৭৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। তার মধ্যে ৩১টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদ খালি রয়েছে।৭৮টি বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের অনুমোদিত পদের সংখ্যা ৪২৯ টি। সেখানে ১৬২ জন পুরুষ ও ১৮৬ জন মহিলা সহকারী শিক্ষক দায়িত্ব পালন করছেন।
যে সকল বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে সেগুলো হলো- পূর্ব দেবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর যশপুর, এলনা পাথর, উত্তর সতর নদীর কুল, পূর্ব সোনাপুর, হরিপুর আলী আকবর, বাথানিয়া, দক্ষিণ সতর নদীর কুল,হিছাছড়া, নিজপানুয়া কাশিপুর নিচিন্তা, লক্ষীপুর, উত্তর কুহুমা, পশ্চিম মধুগ্রাম, জগন্নাথ সোনাপুর, চম্পকনগর, দারোগার হাট, দক্ষিণ মন্দিয়া, করৈয়া, পাঠানগড় জাফর ইমাম, মধুগ্রাম, আলহাজ মুন্সি চাঁনমিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ দৌলতপুর, পূর্ব শিলুয়া এবং মধ্য নিচিন্তা হাজী আনোয়ার হোসেন মজুমদার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
পশ্চিম মধুগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শাহনুর আলম মজুমদার জানান, প্রধান শিক্ষক না থাকায় আমি দায়িত্ব পালন করছি। এতে করে শ্রেণি পাঠদান ও স্কুল পরিচালনায় নানা সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া দাফতরিক কাজে প্রায়ই উপজেলায় যেতে হয়।
বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি (একাংশ) আবু রৌশন জানান, প্রধান শিক্ষকদের মাসিক সভা, প্রতিবেদন তৈরি ও দাফতরিক কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। প্রধান শিক্ষক না থাকায় বিদ্যালয়গুলোতে সহকারী শিক্ষকেরা এ দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ফলে তাদের একসঙ্গে পাঠদান ও দাফতরিক কাজ এবং বিভিন্ন সভায় যোগ দিতে হয়। এতে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। নষ্ট হচ্ছে বিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা। জরুরী ভিত্তিতে শূন্য পদগুলোতে শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানান।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. মহিউদ্দিন জানান, সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষকের পদোন্নতির বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের শূন্য পদের বিপরীতে শিক্ষকের চাহিদা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।
মানবকণ্ঠ/বিএএফ
Comments