ভাজাপোড়ায় শীতল হয় বায়ুমণ্ডল?

ফাস্ট ফুড ও অন্যান্য ভাজাপোড়া খাবার পছন্দ করা ব্যক্তিরা হয়তো খুশিই হবেন খবরটা শুনে। যুক্তরাজ্যের একদল বিজ্ঞানী দাবি করেছেন, এসব খাবার কেবল পেটের পরিধি আর শরীরের চর্বিই বাড়ায় না, বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা কমাতেও এগুলোর ভূমিকা থাকতে পারে।
গবেষণাটি করেছেন যুক্তরাজ্যের রিডিং বিশ্ববিদ্যালয়, ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয় ও বাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা। যুক্তরাজ্যভিত্তিক নেচার পাবলিশিং গ্রুপের বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী নেচার কমিউনিকেশনস-এ গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে।
বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, রান্নার সময় চর্বির কণাগুলো বাষ্পীভূত হয়ে বাতাসের সঙ্গে মেশে। এই কণাগুলো বায়ুমণ্ডলে এক জটিল কাঠামো তৈরি করে, যা আর্দ্রতাকে আকর্ষণ করে। ফলে সৃষ্টি হয় মেঘমালার। বৃষ্টি হয়, শীতল হয় পরিবেশ। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, এতে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন কিছুটা হলেও বাধাগ্রস্ত হয়।
লন্ডনের মতো বড় শহরগুলোয় ভাজাপোড়া খাবারের রান্না বেশি হয়। এ কারণে এসব শহরের বাতাসে চর্বির ক্ষুদ্র কণিকার পরিমাণ বেশি। হিসাবটা যদি পৃথিবীজুড়ে করা হয়, তাহলে এই কণিকা নিঃসরণের হার আরও অনেক বেশি হবে। কাজেই এর প্রভাবও অনেক বড় বলে মনে করছেন গবেষকেরা।
রিডিং বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা ও বায়ুমণ্ডলীয় রসায়নের অধ্যাপক ক্রিশ্চিয়ান পফ্রাং বলেন, ‘আমরা বলছি না যে এসব খাবার তৈরি ও খাওয়া বাড়িয়ে দিলে জলবায়ু পরিবর্তন রোধে উল্লেখযোগ্য কিছু একটা করা হবে। তবে এটাও অস্বীকার উপায় নেই যে মেঘ তৈরিতে চর্বির একটা ভূমিকা থাকতে পারে।’
গবেষণার সময় পরীক্ষাগারে বিজ্ঞানীরা লবণাক্ত পানির কণা আর অলিক অ্যাসিডের কণা ভাসান। অলিক অ্যাসিড একধরনের ফ্যাটি অ্যাসিড। এই দুই ধরনের কণা স্বয়ংক্রিয়ভাবে একত্র হয়ে ক্রিস্টালের মতো একটি কাঠামো তৈরি করে, যা স্পঞ্জের মতো জলীয় কণা আকর্ষণ করে। বিজ্ঞানীরা এবার পরীক্ষাগারের বাইরে বিষয়টি যাচাইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এরপরই পরিষ্কার হবে, পরিবেশে আসলেই খাবার ভাজাপোড়ার সময় তৈরি চর্বির ক্ষুদ্র কণার কোনো প্রভাব রয়েছে কি না।
সব

Comments

Popular posts from this blog

অবিবাহিত মেয়ের বুকে দুধ, এই ভিডিওটি অবশ্যই একা একা দেখবেন !

টুইন টাওয়ারে ৯/১১ জঙ্গি হামলার ৫টি 'চমকপ্রদ' তথ্য

তৈরি করুন শীতের ভাপা পিঠা