পাবনা সরকারি মহিলা কলেজ / শ্রেণিকক্ষ দখল করে অধ্যক্ষের বসবাস
- Get link
- X
- Other Apps
তিলতলা অনার্স ভবন। প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় মেয়েদের ক্লাস হয়। তৃতীয় তলার প্রবেশ-ফটক বন্ধ। এই তলাটি দখল করে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন কলেজের অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান আলী। অথচ শ্রেণিকক্ষ-সংকটে ঠিকমতো ক্লাস করতে পারছেন না শিক্ষার্থীরা। ঘটনাটি পাবনা সরকারি মহিলা কলেজের।
অভিযোগ উঠেছে, সরকারি বাসাভাড়া বাঁচাতে অধ্যক্ষ শাহজাহান শ্রেণিকক্ষ দখল করে বসবাস করছেন। আর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের যোগসাজশে বরাদ্দকৃত বাসভবনটি সংস্কারের নামে প্রায় দেড় বছর ধরে ফেলে রাখা হয়েছে।
কলেজের একাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কলেজটি প্রতিষ্ঠা হয় ১৯৬৫ সালে। বর্তমানে একাদশ, দ্বাদশ, ডিগ্রি পাস কোর্স ও ছয়টি বিষয়ে অনার্স পড়ানো হয়। শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৪ হাজার। একটি চারতলা ও একটি তিনতলা একাডেমিক ভবনে শিক্ষার্থীদের ক্লাস করানো হয়। চারতলা ভবনটিতে প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডসহ একাদশ-দ্বাদশ ও ডিগ্রি পাস কোর্স এবং তিনতলা ভবনটি ব্যবহৃত হয় অনার্স ভবন হিসেবে। ভবনটির প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় বাংলা, ইংরেজি, দর্শন ও ইতিহাস বিভাগের ক্লাস হয়। তৃতীয় তলা বরাদ্দ ছিল রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও অর্থনীতি বিভাগের জন্য। কিন্তু তৃতীয় তলাটি প্রায় এক বছর ধরে অধ্যক্ষ বাসভবন হিসেবে ব্যবহার করায় রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও অর্থনীতি বিভাগের ক্লাস হচ্ছে চারতলা ভবনের দ্বাদশ শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে। এর ফলে প্রায় এক বছর ধরে ক্লাসবঞ্চিত দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা।
কয়েকজন শিক্ষক ও শিক্ষার্থী বলেন, অধ্যক্ষ শাহজাহান কলেজে যোগ দিয়েছেন ২০১৬ সালের ৫ ডিসেম্বর। অধ্যক্ষের জন্য কলেজের পাশে একটি বাসভবন রয়েছে। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ভবনটি নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু অধ্যক্ষ ওই বাসভবনটি ব্যবহার করেন না। শুরু থেকেই অনার্স ভবনের তৃতীয় তলা দখল করে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন। তৃতীয় তলার তিন কক্ষের একটিতে তিনি স্ত্রী ও এক ছেলেকে নিয়ে থাকেন ও একটিতে প্রাইভেট পড়ান।এই দুটি কক্ষে তিনি খাবার টেবিল, আলমারি, খাট, পড়ার টেবিলসহ বিভিন্ন আসবাবও সাজিয়ে রেখেছেন। বারান্দায় চলে রান্নাবান্না। পাশের একটি কক্ষে রেখেছেন এক অফিস সহকারীকে। তিনিও অধ্যক্ষের ফুটফরমাশ খাটতে সেখানে বসবাস করছেন। মূলত সরকারি বরাদ্দকৃত বাড়িভাড়া বাঁচাতে অধ্যক্ষ শ্রেণিকক্ষ দখল করে আছেন। তাঁকে সহযোগিতা করছেন শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। অধ্যক্ষের জন্য বরাদ্দকৃত বাড়িভাড়ার কিছু অংশ তাঁদের পকেটে যাচ্ছে। এ ছাড়া তাঁর জন্য বরাদ্দকৃত বাসভবনে প্রায় ১২ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০১৬ সালের জুন থেকে ২০১৭ সালের জুন মাস পর্যন্ত সংস্কারকাজ চালানো হলেও এখনো তা শেষ হয়নি।
অভিযোগ উঠেছে, সরকারি বাসাভাড়া বাঁচাতে অধ্যক্ষ শাহজাহান শ্রেণিকক্ষ দখল করে বসবাস করছেন। আর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের যোগসাজশে বরাদ্দকৃত বাসভবনটি সংস্কারের নামে প্রায় দেড় বছর ধরে ফেলে রাখা হয়েছে।
কলেজের একাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কলেজটি প্রতিষ্ঠা হয় ১৯৬৫ সালে। বর্তমানে একাদশ, দ্বাদশ, ডিগ্রি পাস কোর্স ও ছয়টি বিষয়ে অনার্স পড়ানো হয়। শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৪ হাজার। একটি চারতলা ও একটি তিনতলা একাডেমিক ভবনে শিক্ষার্থীদের ক্লাস করানো হয়। চারতলা ভবনটিতে প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডসহ একাদশ-দ্বাদশ ও ডিগ্রি পাস কোর্স এবং তিনতলা ভবনটি ব্যবহৃত হয় অনার্স ভবন হিসেবে। ভবনটির প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় বাংলা, ইংরেজি, দর্শন ও ইতিহাস বিভাগের ক্লাস হয়। তৃতীয় তলা বরাদ্দ ছিল রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও অর্থনীতি বিভাগের জন্য। কিন্তু তৃতীয় তলাটি প্রায় এক বছর ধরে অধ্যক্ষ বাসভবন হিসেবে ব্যবহার করায় রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও অর্থনীতি বিভাগের ক্লাস হচ্ছে চারতলা ভবনের দ্বাদশ শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে। এর ফলে প্রায় এক বছর ধরে ক্লাসবঞ্চিত দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা।
কয়েকজন শিক্ষক ও শিক্ষার্থী বলেন, অধ্যক্ষ শাহজাহান কলেজে যোগ দিয়েছেন ২০১৬ সালের ৫ ডিসেম্বর। অধ্যক্ষের জন্য কলেজের পাশে একটি বাসভবন রয়েছে। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ভবনটি নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু অধ্যক্ষ ওই বাসভবনটি ব্যবহার করেন না। শুরু থেকেই অনার্স ভবনের তৃতীয় তলা দখল করে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন। তৃতীয় তলার তিন কক্ষের একটিতে তিনি স্ত্রী ও এক ছেলেকে নিয়ে থাকেন ও একটিতে প্রাইভেট পড়ান।এই দুটি কক্ষে তিনি খাবার টেবিল, আলমারি, খাট, পড়ার টেবিলসহ বিভিন্ন আসবাবও সাজিয়ে রেখেছেন। বারান্দায় চলে রান্নাবান্না। পাশের একটি কক্ষে রেখেছেন এক অফিস সহকারীকে। তিনিও অধ্যক্ষের ফুটফরমাশ খাটতে সেখানে বসবাস করছেন। মূলত সরকারি বরাদ্দকৃত বাড়িভাড়া বাঁচাতে অধ্যক্ষ শ্রেণিকক্ষ দখল করে আছেন। তাঁকে সহযোগিতা করছেন শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। অধ্যক্ষের জন্য বরাদ্দকৃত বাড়িভাড়ার কিছু অংশ তাঁদের পকেটে যাচ্ছে। এ ছাড়া তাঁর জন্য বরাদ্দকৃত বাসভবনে প্রায় ১২ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০১৬ সালের জুন থেকে ২০১৭ সালের জুন মাস পর্যন্ত সংস্কারকাজ চালানো হলেও এখনো তা শেষ হয়নি।
কয়েকজন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর অভিযোগ, অধ্যক্ষ শুধু শ্রেণিকক্ষ দখলই নয়, বিভিন্নভাবে কলেজের অর্থ নয়ছয় করছেন। ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রীদের কাছ থেকে ব্যবহারিক পরীক্ষার নামে ১০০ টাকা ও আইসিটি ল্যাব উন্নয়নের নামে ২০০ টাকা করে আদায় করেছেন। ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রীদের কাছ থেকে ক্লাস পরীক্ষার ফি বাবদ ১০০ টাকা আদায় করেছেন, আরও ১০০ টাকা করে নিচ্ছেন। কিন্তু এসব টাকার কোনো রসিদ দেওয়া হচ্ছে না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কলেজ শিক্ষক সমিতির এক নেতা বলেন, এটা যে মেয়েদের কলেজ, তা তিনি ভাবেনই না। অন্য কলেজের ছেলেদের তৃতীয় তলায় প্রাইভেট পড়ান।
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর পাবনার নির্বাহী প্রকৌশলী আ ট ম মারুফ আল ফারুক বলেন, গত জুন মাসেই অধ্যক্ষের জন্য বরাদ্দকৃত বাসভবনটির সংস্কারকাজ শেষ হয়েছে। ইলেকট্রিসিটির কিছু কাজ এখনো চলছে, কাজ শেষ হলেই হস্তান্তর করা হবে। অধ্যক্ষ শাহজাহান বলেন, ‘বাসভবনটি সংস্কারের জন্য আগের অধ্যক্ষ সেখানকার আসবাবপত্র এনে অনার্স ভবনের তৃতীয় তলায় রেখেছিলেন। তিনিও সেখানে থাকতেন। ফলে আমিও থাকি। প্রাইভেট পড়ানো বাদ দিয়েছি। বাসভবনটির সংস্কারকাজ শেষ হলে চলে যাব।’
- Get link
- X
- Other Apps
Comments