বিশৃঙ্খলায় বেহাল যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা
- Get link
- X
- Other Apps
সিটি করপোরেশন নির্বাচন হয়েছে আড়াই বছরেরও বেশি সময় আগে। এই সময়ে রাজধানীর অনেক স্থানে লেগেছে উন্নয়নের ছোঁয়া। আবার কোথাও এখনো তেমন কোনো কাজ হয়নি। এ নিয়ে ভোটারদের মধ্যে আছে নানা ক্ষোভ-আক্ষেপ। এলাকার সমস্যা, সম্ভাবনা, অভাব-অভিযোগ, সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে নিয়মিত আয়োজন ওয়ার্ডের চালচিত্র
এলাকাটি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের আওতাধীন। এই ওয়ার্ডে নেই কোনো খেলার মাঠ। সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশনের (এসটিএস) নির্মাণকাজ শেষ হয়নি। ওয়ার্ডবাসীর অন্যতম দাবি: কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণের কাজ এখনো শুরু হয়নি। ওয়ার্ডে নেই কোনো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। আছে জলাবদ্ধতার সমস্যা।
যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা-সায়েদাবাদে যানজট: যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা থেকে বিভিন্ন এলাকায় যাওয়ার প্রতিটি সড়কের মুখে আছে লেগুনার অবৈধ স্ট্যান্ড। সড়ক দখল করে সেখানে প্রায় সব সময়ই দাঁড়িয়ে থাকে লেগুনা। এতে চৌরাস্তার মুখে সৃষ্টি হয় যানজটের।
উত্তর যাত্রাবাড়ীর বাসিন্দা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আশা ছিল, উড়ালসড়ক হওয়ার পর যানজট কমবে। কিন্তু এখন দেখি দিন দিন যানজট বাড়ছে।’ তিনি বলেন, রাস্তা, ফুটপাত সব দখল হচ্ছে। এগুলো দেখার কি কেউ নেই?
এদিকে সায়েদাবাদ আন্তজেলা বাস টার্মিনালের সামনে সড়কে দূরপাল্লার বাস দাঁড় করিয়ে যাত্রী তোলা হয়। এতে সড়কে সৃষ্টি হয় যানজটের।
ফুটপাত দখল, মূল সড়কেও দোকান: যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা থেকে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল পর্যন্ত ফুটপাত দিয়ে পথচারীদের হাঁটার উপায় নেই। ফুটপাত দখল করে বসানো হয়েছে অস্থায়ী দোকান। এমনকি দোকান বসানো হয়েছে মূল সড়কেও। এতে পথচারীদের ঝুঁকি নিয়ে মূল সড়ক দিয়ে হাঁটতে হয়।
অল্প বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা: ওয়ার্ডের পূর্ব পাশের সীমানায় থাকা দেব-ধোলাই খাল দখলে চলে গেছে। খালটি দিয়ে ঠিকমতো পানি সরতে পারে না। এতে অল্প বৃষ্টিতেই ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
এলাকার লোকজন বলেন, ওয়ার্ডের বিভিন্ন জায়গা থেকে বৃষ্টির পানি নামতে দুই থেকে তিন দিন লেগে যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, কাজলা ব্রিজ থেকে কাজলার পাড় নতুন রাস্তা পর্যন্ত খালের ওপর ৫৭টি বাঁশের সাকো নির্মাণ করা হয়েছে। খালের ওপর কাঠ-বাঁশের মাচা করে নির্মাণ করা হয়েছে অন্তত ৩৪টি দোকান। এ ছাড়া খালে ফেলা হচ্ছে আবর্জনা।
আরও নানা সমস্যা: শিশু-কিশোর-তরুণদের খেলার জন্য ওয়ার্ডে কোনো মাঠ নেই। এলাকায় নেই কমিউনিটি সেন্টার-পার্ক।
যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা থেকে কাজলার মৃধাবাড়ি পর্যন্ত সড়কের বিভিন্ন অংশে গর্তে ভরা। বৃষ্টি হলে সড়ক যান চলাচলের প্রায় অনুপযোগী হয়ে পড়ে। রোদে প্রচণ্ড ধুলায় ভোগান্তি পোহাতে হয়।
বিবিরবাগিচা এলাকায় পয়োনালা তৈরির কাজে দীর্ঘসূত্রতার কারণে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এলাকার লোকজনকে। স্থানীয় বাসিন্দা রায়হানুল ইসলাম বলেন, বিবিরবাগিচা ১ নম্বর গেট থেকে ৪ নম্বর ফটক পর্যন্ত পয়োনালা নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে গত জানুয়ারি মাসে। কিন্তু এত দিনে ১০ ভাগ কাজও শেষ হয়নি। এতে স্থানীয় বাসিন্দাদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
‘এলাকাবাসীর প্রাণের দাবি পূরণ হয়নি’
ডিএসসিসির ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. আবুল কালাম অনু। ওয়ার্ডের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গতকাল বুধবার তিনি প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেন।
প্রথম আলো: ওয়ার্ডে কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণের ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নিয়েছেন কি?
কাউন্সিলর: কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ এলাকাবাসীর প্রাণের দাবি। কিন্তু আমরা এখনো সেটা নির্মাণ করতে পারিনি। কমিউনিটি সেন্টারের জন্য জায়গা পাওয়া গেছে।
প্রথম আলো: উড়ালসড়কে নিচের ময়লা-আবর্জনা ফেলা বন্ধে আপনারা কোনো উদ্যোগ নিয়েছেন?
কাউন্সিলর: উড়ালসড়কের নিচে শৌচাগার, যাত্রীদের বিশ্রাম ও পার্কিংয়ের জায়গা করা হবে। তখন আর সেখানে ময়লা ফেলা যাবে না।
- Get link
- X
- Other Apps
Comments