পরকীয়ার জেরেই বাড্ডায় জোড়া খুন: পুলিশ অভিযুক্ত শাহীন স্ত্রীসহ গ্রেফতার

পরকীয়ার জেরেই বাড্ডায় জোড়া খুন: পুলিশ
অনৈতিক প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে রাজধানীর বাড্ডায় বাবা-মেয়ে খুন হয়েছে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পুলিশের ধারণা, বাসায় সাবলেট নিয়ে ভাড়া থাকা শাহীন প্রথমে শ্বাসরোধ করে জামিলকে হত্যা করেন। এই হত্যার দৃশ্য জামিলের মেয়ে নুসরাত দেখে ফেলায় তাকেও খুন করেন শাহীন। তাকে সহায়তা করেন জামিলের স্ত্রী আরজিনা বেগম (নুসরাতের মা)।
এ হত্যাকাণ্ডে প্রধান অভিযুক্ত শাহীন মল্লিক ও তার স্ত্রী মাসুমা বেগমকে গতকাল শুক্রবার ভোর সাড়ে ৪টায় খুলনা নগরীর লবণচোরা থানার মোহাম্মদনগর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল বিকালে তাদেরকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। এদিকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহত জামালের ভাই শেখ শামীম হোসেন বৃহস্পতিবার রাতে বাড্ডা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামি করা হয়েছে জামালের স্ত্রী আরজিনা ও তার ‘প্রেমিক’ শাহীনকে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের বাড্ডা সিনিয়র সহকারী কমিশনার আশরাফুল কবির বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে নিহত জামিলের স্ত্রী  আরজিনার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে খুলনা থেকে শাহীন ও তার স্ত্রী মাসুমা বেগমকে গ্রেফতার করা হয়। এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে আরজিনা জানান, আগে তারা যে বাসার দ্বিতীয় তলায় ভাড়া থাকতেন, সেখানে তৃতীয় তলায় থাকতেন শাহীনরা। তখনই তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। ৪ মাস আগে বাসা বদলের সময় আরজিনাই কৌশল করে শাহীনদের সাবলেট ভাড়াটে হিসেবে নিয়ে আসেন। তিনি  বলেন, শাহীনের সঙ্গে আরজিনার প্রেমের বিষয়টি শাহীনের স্ত্রী মাসুমা শুরুতে জানতেন না। তিনি বিষয়টি পরে জানতে পারেন।
বাড্ডা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওয়াজেদ আলী বলেন, শাহীন ও তার স্ত্রীকে গতকাল ঢাকায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। শাহীন হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, সময় হলেই জানতে পারবেন। শাহীন কখন ঘটনাস্থল ( বাড্ডার বাসা) ত্যাগ করেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আজানের পরপরই এই দু’জন খুলনার বটিয়াঘাটায় তাদের গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। তবে গ্রেফতারের ভয়ে তারা সরাসরি না গিয়ে তারা ভেঙে ভেঙে খুলনায় পৌঁছান। তবে বাড়িতে পৌঁছানোর আগেই পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার সকাল ৬টার দিকে রাজধানীর উত্তর বাড্ডার ময়নারবাগের ৩০৬ পাঠান ভিলার ৩ তলার ভাড়া বাসা থেকে উদ্ধার করা হয় জামিল (৩৮) ও তার মেয়ের নুসরাতের মরদেহ। জামিলের বাড়ি গোপালগঞ্জ সদরের করপাড়া ইউনিয়নের বনপাড়া গ্রামে। পাঠান ভিলার ৩ তলায় দু’টি কক্ষে ভাড়া থাকতেন বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের গাড়ি চালক জামিল। গত কোরবানীর ঈদের পর স্ত্রী আরজিনা (৩০), মেয়ে নুসরাত (৭) ও ছেলে আলফিকে (৫) নিয়ে ওই বাসায় উঠেন জামিল।
ইত্তেফাক/এমআর

Comments

Popular posts from this blog

অবিবাহিত মেয়ের বুকে দুধ, এই ভিডিওটি অবশ্যই একা একা দেখবেন !

টুইন টাওয়ারে ৯/১১ জঙ্গি হামলার ৫টি 'চমকপ্রদ' তথ্য

তৈরি করুন শীতের ভাপা পিঠা