গুলেনকে ‘অপহরণের পরিকল্পনা’, অস্বীকার তুরস্কের

বিতর্কিত ধর্মীয় নেতা ফেতুল্লাহ গুলেনকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে অপহরণ করে তুরস্কে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন দেশটির কর্মকর্তারা।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাবেক নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিনের সঙ্গে তুর্কি কর্মকর্তারা এ পরিকল্পনা করেছিলেন বলে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে এ দাবি করা হয়েছে।
তবে তুরস্ক এ ‘অপহরণের পরিকল্পনার’ অভিযোগ অস্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়- তুর্কি পরিকল্পনা অনুযায়ী, এ বছর মার্চ মাসে গুলেনকে ধরে একটি ব্যক্তিগত বিমানে তুলে দেয়া হবে এবং তাকে তুরস্কের ইমরালি দ্বীপের একটি কারাগারে রাখা হবে।
সিআইএর সাবেক পরিচালক জেমস উলসি বলেন, বিনিময়ে ফ্লিনকে এক কোটি ৫০ লাখ ডলার দেয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। নিউইয়র্কের একটি হোটেলে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের অভিযোগের তদন্ত করতে গিয়ে এসব তথ্য বেরিয়ে আসে।
এসব অভিযোগ ওয়াশিংটনের তুর্কি দূতাবাস ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা, হাস্যকর ও ভিত্তিহীন’ বলে দাবি করেছে।
এক বিবৃতিতে দূতাবাস বলেছে, তুরস্ক ফেতুল্লাহ গুলেনকে বিচারের জন্য ফেরত চায় কিন্তু আইনবিরুদ্ধ কোনো পথে নয়।
ফ্লিনের আইনজীবীও এ রকম দাবির কথা জোর দিয়ে অস্বীকার করেছেন। ফ্লিন পরে রাশিয়া-সংশ্লিষ্টতার এক অভিযোগ ওঠার পর পদত্যাগ করেন।
গত বছর জুলাই মাসে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগানের বিরুদ্ধে যে অভ্যুত্থান হয়েছিল তার পেছনে ফেতুল্লাহ গুলেনের ভূমিকা ছিল বলে দাবি করে দেশটি।
এরদোগান একাধিকবার বিচারের জন্য গুলেনকে তুরস্কের হাতে তুলে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। গুলেন যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ায় বসবাস করেন।
logo

Comments

Popular posts from this blog

অবিবাহিত মেয়ের বুকে দুধ, এই ভিডিওটি অবশ্যই একা একা দেখবেন !

টুইন টাওয়ারে ৯/১১ জঙ্গি হামলার ৫টি 'চমকপ্রদ' তথ্য

তৈরি করুন শীতের ভাপা পিঠা