জর্ডানে ব্রিটিশ দূতাবাসে চাকরি পেল বিড়াল!
- Get link
- X
- Other Apps
জর্ডানে ব্রিটিশ দূতাবাসে চাকরি পেয়েছে একটি বিড়াল। ভুল শুনছেন? মোটেই নয়। সত্যিই জর্ডানে ব্রিটিশ দূতাবাসে ‘চিফ মাউসার’ বা ‘প্রধান ইঁদুর শিকারি’ হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছে একটি বিড়াল। আগে উদ্ধারকারী বিড়াল হিসেবে কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে তার।
‘লরেন্স অব আবদুন’, মোটাসোটা কালো–সাদা রঙের বিড়ালটিকে নিয়োগ দেওয়ার পর তার টুইটার অ্যাকাউন্টও খোলা হয়েছে। এর মধ্যে তার অনুসারীর সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে আড়াই হাজার।
লরেন্স নামটি রাখা হয়েছে টমাস অ্যাডওয়ার্ড লরেন্সের নাম অনুসারে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে টমাস অ্যাডওয়ার্ড লরেন্স আরবের হয়ে অটোমান সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে লড়েছিলেন। তাঁকে ‘লরেন্স অব অ্যারাবিয়া’ও বলা হতো। জর্ডানে ব্রিটিশ দূতাবাস অবস্থিত আম্মানের পার্শ্ববর্তী শহর আবদুনে। সেখান থেকেই ‘আবদুন’ শব্দটি এসেছে। গত মাসে পশু–প্রাণী আশ্রয়কেন্দ্র থেকে নিয়ে আসা হয় ‘লরেন্স অব আবদুন’কে।
জর্ডানে ব্রিটিশ দূতাবাসের কূটনীতিক লরা ডাউবান টুইটে বলেন, ‘মাউসিং ডিউটি ছাড়াও টুইটারে অনুসরণকারীদের কাছে পৌঁছে গেছে ও। খুবই মজার যে ব্রিটিশ নাগরিকেরা জর্ডানে দেশের দূতাবাসকে এখন একটি অন্য দৃষ্টিতে দেখবে। লরেন্সের টুইটার অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে আমরা জর্ডানের এমন দিক দেখানোর চেষ্টা করছি, যা সত্যিই ভীষণ ভালো, শান্তিপূর্ণ, সমৃদ্ধ।’ এখানে ব্রিটিশ পর্যটকদের পরিদর্শনে আসা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এর আগে গত বছর ইঁদুরের উৎপাত ঠেকাতে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র কার্যালয়ে নিয়োগ দেওয়া হয় পালমারস্টোন নামের এক বিড়ালকে। টুইটারে এক বছরে ওই বিড়ালের অনুসারী ৫৭ হাজার। মন্ত্রণালয় থেকে নিয়মিত পালমারস্টোনের কাজের আপডেট দেওয়া হয়।
এর আগে ২০১১ সালে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে ইঁদুর মারতে ল্যারি নামের একটি বিড়ালকে নিয়োগ দেওয়া হয়। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ওই সময় বলেছিলেন, ল্যারি ইঁদুর ধরতে খুবই পরিশ্রম করে যাচ্ছে। ল্যারি নামের ওই বিড়ালটির টুইটার অ্যাকাউন্টও আছে। গত বছর পর্যন্ত টুইটারে তার অনুসারীর সংখ্যা ছিল ৪৭ হাজার ৫০০।
- Get link
- X
- Other Apps
Comments