রেড স্কয়ার : যেখানে শায়িত আছেন 'বিপ্লবের জনক'

রেড স্কয়ার : যেখানে শায়িত আছেন 'বিপ্লবের জনক'
মস্কোর রেড স্কয়ার দেখতে যাওয়া বেশ খরচবহুল। তবে যারা বিলাসী ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন, তাদের জন্যে সেরা গন্তব্য হতে পারে।
সেখানকার নজরকাড়া স্থাপত্যশৈলী আপনাকে বিস্মিত করবে। তবে সেখানে এমন কিছু যার আকর্ষণে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকরা ছুটে আসেন। এখানে শায়িত রয়েছে কমিউনিস্ট নেতা ভ্লাদিমির লেনিনের মরদেহ।  
যে বিপ্লবী চেতনায় লেনিন পৃথিবীর ইতিহাস বদলে দিয়েছিলেন, শত বছর পরও তার মরদেহ একনজর দেখতে মানুষের আগ্রহ এতটুকু কমেনি। সেই লাল পতাকার বিল্পব কিংবা রাশিয়ার এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গে এই মানুষটির সম্পর্ক নতুন করে বলার কিছু নেই। তবে এখন লেনিনের দেখা পাওয়া বেশ নিয়ন্ত্রিত।  
বেশ কয়েকটি মেটাল ডিটেক্টরের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। তবু তাকে দেখতে প্রতিদিন এত মানুষ দাঁড়ায় যে সেই লাইন ক্রেমলিনের দেওয়ার পর্যন্ত পৌঁছায়। অবশেষে দর্শনার্থীরা সিঁড়ি বেয়ে নিচের দিকে নেমে একটা সমাধির সামনে দাঁড়ান।
ওটা পাথরের তৈরি। গাঢ় পলিশ করা পাথর। উপস্থিত রক্ষী সবাইকে যার যার পকেট থেকে দুই হাত বের করতে নির্দেশনা দেন। এরপর দর্শনার্থীরা কিউব আকৃতির এক চেম্বারের চারপাশে জড়ো হন। এখানেই শায়িত আছেন খোদ ভ্লাদিমির লেনিন।  
শায়িত আছেন 'বিপ্লবের জনক' লেনিন

দেখার সৌভাগ্য হলে একটু চমকে যাবেন। বিশাল এই বিপ্লবীর দেহটা অনেক ছোট বলে মনে হবে। এমনিতেও তিনি ৫ ফুট ৫ ইঞ্চি উচ্চতার মানুষ ছিলেন। আর সেখানে দেখলে মনে হবে মাদাম তুসো জাদুঘরের কোনো মোমের মূর্তি দেখছেন।  
বুলেটপ্রুফ কাচ আর ঝকঝকে পোশাকে, যেমন নতুন স্যুট পরে শুয়ে রয়েছেন তিনি। কক্ষের গাঢ় লাল এবং আঁধারি আলোয় তার ত্বক থেকে আলো চুইয়ে পড়ছে বলে মনে হবে।  
খুব বেশি সময় দেখার সুযোগ মিলবে না। তার কফিনের চারপাশে দর্শনার্থীরা 'ইউ' আকৃতিতে চলমান থাকেন। সেখানে কোনো কথা বলা যাবে না। কোনো ছবি তোলা যাবে না। কোনো ফোন ব্যবহার করা যাবে না। এগুলো খুবই সতর্কতার সঙ্গে দেখা হয়।  
এ বছরের নভেম্বর মাসটি সেই অক্টোবর রেভ্যুলেশনের শততম বার্ষিকী হিসেবে মহিমান্বিত হবে। রেড স্কয়ারে লেনিনের মৃত্যুর ৯৩ বছর পরও তার মরদেহ এখানেই শায়িত রয়েছে। বিপ্লবের জনকের এই সমাধি কিন্তু ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের তালিকাভুক্ত হয়েছে। সেই সঙ্গে পর্যটকদের সেরা গন্তব্য বলেও বিবেচিত হয়।  
লেনিনের মরদেহ ছাড়াও রেড স্কয়ারের আশপাশে দেখার সুন্দর স্থানের অভাব নেই। চারদিকে নান্দনিক সব ভাস্কর্য চোখে পড়বে। আছে মুজিওন পার্ক অব আর্টস। গোর্ক পার্ক দিয়ে হাঁটার সময় কমিউনিস্ট নেতার অনেক মূর্তি দেখতে পাবেন। এদিকে সেদিকে যেখানেই যান না কেন, সব জায়গাকেই ভ্রমণের স্থান বলে মনে হবে। চারদিকে হাজার হাজার পর্যটককে ঘুরে বেড়াতে দেখবেন।  
সূত্র : সিএনএন  
logo

Comments

Popular posts from this blog

অবিবাহিত মেয়ের বুকে দুধ, এই ভিডিওটি অবশ্যই একা একা দেখবেন !

টুইন টাওয়ারে ৯/১১ জঙ্গি হামলার ৫টি 'চমকপ্রদ' তথ্য

তৈরি করুন শীতের ভাপা পিঠা