একটি দেশের মালিক তিনি!
- Get link
- X
- Other Apps
একটি দেশের মালিক কে? এ প্রশ্নের উত্তর দেওয়াটা কঠিন। কিন্তু কেউ যদি বলে বসেন, তিনি গোটা একটা দেশের মালিক—প্রথম রাজা? আর প্রেসিডেন্ট তাঁর বাবা? দেশটির আছে নিজস্ব জাতীয় পতাকাও। কী, গল্প মনে হচ্ছে? মোটেও না। শুনুন তাহলে।
সম্প্রতি ভারতের ইনদোরের এক তরুণ এমন দাবি করে ওই দেশের নাগরিক হওয়ার জন্য সবাইকে আহ্বান জানিয়েছেন। তাঁর নাম ‘রাজা সুজশ দীক্ষিত’। নামের আগে রাজকীয় কেতাবে ‘হিজ হাইনেস’ কথাটা লাগান তিনি।
টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, মিসর ও সুদানের মধ্যবর্তী ৮০০ বর্গমাইল এলাকাকে সুজশ নিজের রাজ্য বলে দাবি করেছেন। ওই রাজ্যের নাম রেখেছেন ‘কিংডম অব দীক্ষিত’। নিজের ফেসবুক পেজে এই ঘোষণা দিয়ে রীতিমত হইচই ফেলে দিয়েছেন তিনি।
গত ৬ নভেম্বর নিজের ফেসবুক পেজে সুজশ লিখেছেন, ‘‘নিজেকে ‘কিংডম অব দীক্ষিত’ এর রাজা হিসেবে ঘোষণা করছি। আজ থেকে আমি রাজা সুযশ। দাবিদারহীন বীর তাউইল অঞ্চল আজ থেকে আমার দেশ। আমি এই দেশ ও দেশের নাগরিকদের উন্নয়নে কাজ করে যাব।’ ’
প্রতিবেদনে জানানো হয়, ২৪ বছর বয়সী সুজশ একটি তথ্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী হিসেবে কাজ করছেন। ঘোরাঘুরি তাঁর নেশা। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরতে ঘুরতেই কথিত একটি দেশের মালিক বনে গেছেন তিনি। তাঁর দেশটিতে এখন পর্যন্ত নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আট শতাধিক মানুষ অনলাইনে আবেদনও করে ফেলেছেন।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, মিসর ও সুদানের মধ্যবর্তী বীর তাউইল নামের ওই অঞ্চলটি কারও দখলে নেই। এলাকাটি দুর্গম। অনেক কষ্ট করে দিন কুড়ি আগে একজন চালককে রাজি করিয়ে ওই এলাকায় গিয়েছিলেন সুজশ। গিয়ে জানতে পারেন, কোনো দেশই এলাকাটির দাবিদার নয়। এক সময় ওই এলাকায় মানুষের বাস ছিল। কিন্তু বহু বছর ধরে কোনো মানুষ আর এখানে থাকেন না। খোঁজ নিয়ে জেনেছেন, ২০১৪ সালে মার্কিন নাগরিক জেরেমি হিটন নামের এক ব্যক্তি এই এলাকার রাজা হওয়ার দাবি করেছিলেন। পরে তিনি তা ছেড়ে চলে যান। প্রাচীন রীতি অনুযায়ী, কোনো এলাকা নিজের বলে দাবি করলে সেখানে শস্য ফলাতে হয়। আর এ কারণেই ওই এলাকায় শষ্য লাগিয়ে তা নিজের বলে দাবি করেছেন। পরে তিনি লাল ও হলুদ রঙের পতাকা টাঙিয়ে দিয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সুজশ বর্তমানে ভারতে ফিরেছেন। আগামী বছর তিনি আবার সেখানে যাবেন। ততদিন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল রহমান রাফাই দেখভাল করবেন।
সুজশের বাবা রাজেশ কুমার দীক্ষিত সাবেক বিজ্ঞানী ও নিউ হুকার সায়েন্স কলেজের একটি বিভাগের প্রধান। তাঁর মা সঙ্গীতা গৃহিণী।
নিউইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাবা রাজেশ কুমার দীক্ষিতের জন্মদিনে সুজশ বিশেষ উপহার দিতে চেয়েছিলেন। এ কারণেই তিনি বাবার জন্মদিনে দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা করেছেন। দেশটির স্বীকৃতি চাইতে শিগগির জাতিসংঘে আবেদন করবেন তিনি।
- Get link
- X
- Other Apps
Comments