এখন ব্যস্ত আনোয়ারার শুঁটকিপল্লি
- Get link
- X
- Other Apps
বাছামিয়া মাঝির ঘাট থেকে উত্তরে দোভাষিবাজার পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার পথ। চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপকূলের এই সৈকতজুড়ে শুঁটকিপল্লি। রুপালি বালুর মধ্যে কালো জাল ফেলা। সেই জালের ওপর কালো পলিথিনের মুখবন্ধ ব্যাগ সারি ধরে রাখা আছে।
কেউ কেউ সাগর থেকে আনা মাছ শুকাচ্ছেন, কেউ শুকানো মাছ কুড়াচ্ছেন। আর কেউ শুকানো মাছ বাছাই করছেন। পুরুষ শ্রমিকের পাশাপাশি নারী ও শিশু শ্রমিককে এসব কাজ করতে দেখা গেছে।
শ্রমিক নবী হোসেন মাছ বাছতে বাছতেই বললেন, ‘দৈনিক ৪০০ টাকা মজুরিতে কাজ করছি। সংসার চলে এই টাকায়।’
কেউ কেউ সাগর থেকে আনা মাছ শুকাচ্ছেন, কেউ শুকানো মাছ কুড়াচ্ছেন। আর কেউ শুকানো মাছ বাছাই করছেন। পুরুষ শ্রমিকের পাশাপাশি নারী ও শিশু শ্রমিককে এসব কাজ করতে দেখা গেছে।
শ্রমিক নবী হোসেন মাছ বাছতে বাছতেই বললেন, ‘দৈনিক ৪০০ টাকা মজুরিতে কাজ করছি। সংসার চলে এই টাকায়।’
আনোয়ারা সদর থেকে ১৬ কিলোমিটার দক্ষিণে এই এলাকা। ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু ও মোরার ক্ষত এখনো শুকায়নি বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী এই এলাকায়। উপকূলের রায়পুর ইউনিয়নের দক্ষিণে বার আউলিয়া থেকে উত্তরে বাছা মিয়া মাঝির ঘাট এলাকা পর্যন্ত তিন কিলোমিটার এলাকায় বেড়িবাঁধের চিহ্নটুকুও নেই। কয়েক দিন আগেও সাগরের জোয়ারের পানি এলাকায় প্রবেশ করেছে। তবে সম্প্রতি বর্ষা শেষ না হতেই এসব এলাকায় শুঁটকি শুকানোর ব্যস্ততা শুরু হয়েছে। নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে শুরু হওয়া শুঁটকি আহরণ ও শুকানোর এ কাজ চলবে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
দূরদূরান্ত থেকে অনেক মাছ ব্যবসায়ী আসেন এই এলাকায়। তাঁদের একজন কক্সবাজারের পেকুয়ার ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম বললেন, ‘কয়েক বছর ধরে শুঁটকির কারবার করছি। প্রতিবছরের এ মৌসুমে এখনো এসে ব্যবসা করি। আমরা এক ঢালায় (১৫ দিনে) খরচ বাদ দিয়ে একেক ব্যবসায়ীর ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা লাভ হয়।’
রায়পুরের গহিরা এলাকার ব্যবসায়ী মো. নাছির বলেন, এখানে এক ঝুড়ি মাছ ২০০ থেকে ৮০০ টাকায় কিনে নিয়ে বাছাই করে শুকানো হয়। প্রতি ঝুড়িতে ১০ থেকে ১২ কেজি মাছ থাকে। এতে চিংড়ি, লটিয়া, কাটামাছ, হুনদারাসহ কয়েক জাতের মাছ থাকে।
ব্যবসায়ী আবদুল আজিজ বলেন, এখানে উৎপাদিত মাছ চট্টগ্রাম নগরের চাকতাই পাইকারি হাটে বিক্রি করা হয়।
- Get link
- X
- Other Apps
Comments