পৃথিবীর যত ভূতের আস্তানা

পৃথিবীর যত ভূতের আস্তানা
বিজ্ঞান ভূতের বিষয়টি মানতে নারাজ। কিন্তু তারপরও অনেকেই ভূতে বিশ্বাস করে। পৃথিবীতে এমন অনেক ভূতুড়ে ঘটনা ঘটে যার কোনো ব্যাখ্যা খুঁজে পাওয়া যায় না। সেই কারণেই হয়ত মানুষ ভূতে বিশ্বাস করে। যুগের পর যুগ ধরে মানুষের ভূতের বিশ্বাসের পেছনে বিশেষ কিছু কারণ রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো বংশ পরম্পরায় আবর্তিত লৌকিক কাহিনী, ভূতসাহিত্য এবং সেলুলয়েডে চিত্রায়ন। 
পৃথিবীর সকল দেশের সকল ভাষার সাহিত্যে ভূতের অস্তিত্ব রয়েছে, হলিউড থেকে টালিউড সব রূপালি পর্দাতেই ভূত নিয়ে অদ্ভূতুড়ে সব কল্পকাহিনী চিত্রায়ন করা হয়েছে। এমন সব ভূতুড়ে নানা ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে ভৌতিক জায়গানির্ভর একটি বই লিখেছেন লেখক ও ইতিহাসবিদ রবার্ট গ্রেনভিলে। বইয়ের নামটিও মজার- ‘হন্টেড প্লেস’।
তার বর্ণনায়, যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাটের ডার্বির টেক স্টারলিং অপেরা হাউজটি এক সময় বেশ জমজমাট ছিল। বিংশ শতকের প্রথম দিকের দারুণ জনপ্রিয় সেই অপেরা হাউজটি এখন পুরোপুরি বন্ধ। অপেরা হাউজটি বন্ধ হওয়ার প্রধান কারণ হিসেবে ভৌতিক সব কাণ্ডকারখানাকে দায়ী করা হয়।
বলা হয়, অপেরা হাউজের খালি চেয়ারগুলো ঘিরে নানা ভৌতিক ঘটনা ঘটে। অনেকেই সেই অপেরা হাউজে ভূতের দেখা পেয়েছেন। তবে স্টারলিং অপেরা হাউজটিকে ঘিরে গড়ে ওঠা ভৌতিক কাহিনীকে কেউ কেউ গুজব বলেও মনে করেন। অপেরা হাউজটি পরিত্যক্ত হয়ে যাওয়ার পর থেকেই ভূতের গল্প চারিদিকে বেশি ছড়িয়েছে।
স্কটল্যান্ডের এডিনবার্গের জৌলুসপূর্ণ রয়্যাল এক্সচেঞ্জ এক সময়ে ভৌতিক নানা ঘটনাপ্রবাহে বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৯২ সালে এক জাপানি মনোবিজ্ঞানী সেখানে ঘুরতে গিয়ে ভূতের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ইত্তেফাক/আনিসুর

Comments

Popular posts from this blog

অবিবাহিত মেয়ের বুকে দুধ, এই ভিডিওটি অবশ্যই একা একা দেখবেন !

টুইন টাওয়ারে ৯/১১ জঙ্গি হামলার ৫টি 'চমকপ্রদ' তথ্য

তৈরি করুন শীতের ভাপা পিঠা