‘রাখাইনে জাতিগত নির্মূলের দায় নির্ধারণে দায়িত্ব রয়েছে জাতিসংঘের’
জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সহিংস ঘটনাকে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার জাতিগত নির্মূলের প্রকৃষ্ট উদাহরণ হিসাবে আখ্যা দিয়েছেন। যার দায় নির্ধারণে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দায়িত্ব রয়েছে। সোমবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) এর রিপোর্টের ওপর এক সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে বক্তৃতায় একথা বলেন তিনি।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭২তম অধিবেশনে আইসিসি’র রিপোর্টের ওপর এই আলোচনা সভায় তিনি আরও বলেন, ‘মিয়ানমারের নব্য গণতন্ত্রের সুযোগে এর নিরাপত্তা বাহিনী সৃষ্ট চলমান এই সহিংসতা ও জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতকরণের বিষয়গুলো আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের রোম প্রবিধানের গুরুত্বকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।’
‘মিয়ানমারে সংঘটিত নৃশংসতার ঘটনা গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধ হিসাবে বিবেচিত হতে পারে’ মর্মে জাতিসংঘ মহাসচিবের গণহত্যা প্রতিরোধ বিষয়ক বিশেষ উপদেষ্টা আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডামা ডিয়েং এর সাম্প্রতিক বক্তব্যের বিষয়টিও এ আলোচনা সভায় তুলে ধরেন রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন।
যুদ্ধাবস্থায় যৌন সহিংসতার ঘটনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গতবছর প্রথমবারের মতো যে রায় দিয়েছিল তার উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত মাসুদ বলেন, ‘যুদ্ধাবস্থায় যৌন সহিংসতা ও এর যথাযথ বিচারের বিষয়টিকে বাংলাদেশ সবসময়ই গুরুত্ব দিয়ে আসছে। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত ধর্ষণ ও যৌন সহিংসতার প্রকৃত বিচার করার যে অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের রয়েছে তা আইসিসি’র সাথে বিনিময় করতে বাংলাদেশ সদা প্রস্তুত রয়েছে।’
সাধারণ আলোচনার শুরুতেই আইসিসি চেয়ারম্যান সিলভিয়া ফার্নানদেজ দ্য গার্মেনডি গত এক বছরে তাদের কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন, যেখানে তিনি সাংস্কৃতিক সম্পত্তি ধ্বংস করার জন্য প্রদত্ত রায়ের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন। আইসিসি বর্তমানে ১০টি কেসের তদন্ত করছে এবং ৪টি কেসের ক্ষেত্রে ভিকটিম সাপোর্ট ও ক্ষতিপূরণের বিষয় নিয়ে আলোচনা করছে।
ইত্তেফাক/এমআই
Comments