নড়াইলে মাছের খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে শামুক
জেলায় মাছের ঘেরগুলোকে খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে শামুক। শামুকের ভেতরের মাংস সাদা মাছ ও চিংড়ির জন্য স্বাস্থ্যসম্মত খাবার হওয়ায় ঘের মালিকরা ক্রয় করছেন। অনেকে এ মৌসুমে দিনে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা আয় করছেন শামুক বিক্রি করে।
জানা গেছে, নড়াইলে চিংড়ি ও সাদা মাছের ঘের রয়েছে ৬ হাজার ৩০টি। মৎস্য চাষের সাথে কমপক্ষে ১২ হাজার মানুষ জড়িত রয়েছে। বর্ষা মৌসুমে প্রায় ৩ থেকে ৪ মাস এসব মৎস্য ঘেরগুলোতে খাবারের জন্য শামুক ব্যবহার করেন ঘের মালিকরা।
শামুক মাছের জন্য পুষ্টিকর খাবার হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বর্ষার কারণে বাড়ির পাশের খাল-বিল, নদী-নালা গুলোতে প্রচুর শামুক পাওয়া যায়। এসব শামুক খাল-বিল থেকে তুলে এনে অনেকে বিক্রিও করছেন। অনেক পরিবারের সদস্যরা তাদের নিজেদের ঘেরের জন্য শামুক কুড়িয়ে ঘেরে দিচ্ছেন।
প্রতিকেজি আস্ত শামুক বিক্রি হয় ৫ থেকে ৭ টাকা করে। আর শামুকের ভেতরের অংশ বের করতে এক টাকা পঞ্চাশ পয়সা থেকে দুই টাকা করে দিতে হয় কেজি প্রতি। শামুকে খোলা বিক্রি হয় প্রতি বস্তা ৮০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্তু। বর্ষা মৌসুমে জেলায় কমপক্ষে ২ হাজার মানুষ শামুক কুড়িয়ে বিক্রি করে থাকেন।
জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানাগেছে, জেলায় মাছের ঘের রয়েছে ৬ হাজার ৩০টি, এর আয়তন ২ হাজার ৩শ’ ৩১ হেক্টর। জেলায় বছরে মাছের চাহিদা রয়েছে ১৫ হাজার ৯ শ’ ২৪ মেট্রিকটন উৎপাদন হয় ২২ হাজার ৪শ’ ৯৫ মেট্রিকটন। চলতি বছরে মাছের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫ হাজার মেট্রিকটন।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা হরিপদ মণ্ডল বলেন, শামুকে প্রোটিন, লিপিড, কার্বারাইডেড থাকে যা মাছের জন্য উপকারী। তাই ঘের মালিকরা এটি মাছের খাবার হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। জেলার অনেকেই এ মৌসুমে শামুক কুড়িয়ে বিক্রি করে অতিরিক্ত অর্থ আয় করে থাকেন বলেও জানান তিনি।
ইত্তেফাক/এমআর
Comments