আসনওয়ারি সব দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রতীক নিয়ে একটি পোস্টার করার প্রস্তাব দিতে পারে আ.লীগ
- Get link
- X
- Other Apps
দলটির একাধিক শীর্ষ নেতা প্রথম আলোকে এ কথা বলেছেন। ১৮ অক্টোবর নির্বাচন কমিশনের নির্বাচনী আইন সংস্কারবিষয়ক সংলাপে আওয়ামী লীগের অংশ নেওয়ার তারিখ নির্ধারিত আছে।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) বিদ্যমান বিধান অনুযায়ী সংসদসহ অন্যান্য স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচনে দলীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নিজেদের উদ্যোগে পোস্টার ছেপে থাকেন। নির্ধারিত আইন মেনে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণার কাজও দলগুলোকে করতে হয়।
আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকদের বেশির ভাগ আগামী সংসদ নির্বাচনে প্রতিটি আসনে সব প্রার্থীর জন্য একটিমাত্র পোস্টার করার পক্ষে বলে জানা গেছে। প্রস্তাবটি গৃহীত হলে সংসদের ৩০০ আসনের প্রতিটিতে একটি করে পোস্টার ছাপা হবে। সেখানে সব দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর নাম, ছবি ও প্রতীক থাকবে। নির্বাচন কমিশন পোস্টার ছাপানোর কাজ ও খরচ করবে। অর্থাৎ ৩০০ আসনের জন্য নির্বাচন কমিশনকে ৩০০ ধরনের পোস্টার ছাপতে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে মাঠপর্যায়ে পোস্টার সাঁটানোর কাজ কমিশনের কাছে, নাকি দলের কাছে ন্যস্ত থাকবে, সে বিষয়ে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী মহল এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি।
জানা যায়, বিষয়টি নিয়ে দলটিকে আরও একাধিক বৈঠকে বসতে হবে। তা ছাড়া পুরো প্রস্তাবের বিষয়ে দলের একাধিক নেতার আপত্তিও আছে। একই সঙ্গে প্রস্তাবটি গ্রহণের ক্ষেত্রে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার মতামতকেও গুরুত্ব দেওয়া হবে।
জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ফারুক খান প্রথম আলোকে বলেন, সব নির্বাচনেই পোস্টার লাগানো নিয়ে এক দলের সঙ্গে অন্য দলের সমর্থকদের মারামারি-হানাহানির ঘটনা ঘটে। অনেক প্রার্থী পোস্টার ছাপানো ও সাঁটানো শর্তাবলি মানেন না। এ কারণে নির্বাচনের মাঠপর্যায়ে শান্তি-শৃঙ্খলা নষ্ট হয়। তা ছাড়া প্রার্থীদের অনেক টাকারও অপচয় হয়। সে জন্য আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনকে আসনওয়ারি একটিমাত্র পোস্টার ছাপানোর প্রস্তাব দেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে।
সংলাপে আওয়ামী লীগ সংবিধানের বিদ্যমান আইন অনুযায়ী নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা, নির্বাচনী আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাস না করা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য হিসেবে সেনাবাহিনীর নাম আইনে অন্তর্ভুক্ত না করার বিষয়কে গুরুত্ব দেবে।
জানা যায়, বিষয়টি নিয়ে দলটিকে আরও একাধিক বৈঠকে বসতে হবে। তা ছাড়া পুরো প্রস্তাবের বিষয়ে দলের একাধিক নেতার আপত্তিও আছে। একই সঙ্গে প্রস্তাবটি গ্রহণের ক্ষেত্রে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার মতামতকেও গুরুত্ব দেওয়া হবে।
জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ফারুক খান প্রথম আলোকে বলেন, সব নির্বাচনেই পোস্টার লাগানো নিয়ে এক দলের সঙ্গে অন্য দলের সমর্থকদের মারামারি-হানাহানির ঘটনা ঘটে। অনেক প্রার্থী পোস্টার ছাপানো ও সাঁটানো শর্তাবলি মানেন না। এ কারণে নির্বাচনের মাঠপর্যায়ে শান্তি-শৃঙ্খলা নষ্ট হয়। তা ছাড়া প্রার্থীদের অনেক টাকারও অপচয় হয়। সে জন্য আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনকে আসনওয়ারি একটিমাত্র পোস্টার ছাপানোর প্রস্তাব দেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে।
সংলাপে আওয়ামী লীগ সংবিধানের বিদ্যমান আইন অনুযায়ী নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা, নির্বাচনী আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাস না করা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য হিসেবে সেনাবাহিনীর নাম আইনে অন্তর্ভুক্ত না করার বিষয়কে গুরুত্ব দেবে।
সব দলের জন্য একটিমাত্র পোস্টার ছাপানোর তত্ত্বটি এ টি এম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশনও দিয়েছিল। তাদের প্রস্তাবে নির্বাচনে সব দলের প্রচার-প্রচারণার দায়দায়িত্ব কমিশনের কাছে ন্যস্ত করার কথা বলা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত জনবল-সংকটের কারণে এবং যথেষ্ট প্রস্তুতি না থাকায় কমিশন তাদের এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে যায়।
আওয়ামী লীগের এই প্রস্তাব সম্পর্কে জানতে চাইলে সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, প্রস্তাবটি খুবই ভালো। কিন্তু এ প্রস্তাব গ্রহণ করা হলে সংসদসহ সব ধরনের নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণাসহ যাবতীয় ব্যয়ভার কমিশনকে বহন করতে হবে। শুধু পোস্টার নয়, দলীয় সভা-সমাবেশও এক মঞ্চে অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করতে হবে। মাইকে প্রচার চালানো এবং রেডিও-টেলিভিশনসহ সব ধরনের গণমাধ্যমে প্রচারের ক্ষেত্রেও কর্তৃত্ব কমিশনের হাতে নিতে হবে। সে জন্য কমিশনের যে ধরনের প্রস্তুতি ও জনবল থাকার দরকার, তা আছে বলে মনে হয় না। তা ছাড়া সংসদ নির্বাচনে এ পদ্ধতি প্রয়োগ করার আগে তা পরীক্ষামূলকভাবে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে করাই শ্রেয় হবে।
আওয়ামী লীগের এই প্রস্তাব সম্পর্কে জানতে চাইলে সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, প্রস্তাবটি খুবই ভালো। কিন্তু এ প্রস্তাব গ্রহণ করা হলে সংসদসহ সব ধরনের নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণাসহ যাবতীয় ব্যয়ভার কমিশনকে বহন করতে হবে। শুধু পোস্টার নয়, দলীয় সভা-সমাবেশও এক মঞ্চে অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করতে হবে। মাইকে প্রচার চালানো এবং রেডিও-টেলিভিশনসহ সব ধরনের গণমাধ্যমে প্রচারের ক্ষেত্রেও কর্তৃত্ব কমিশনের হাতে নিতে হবে। সে জন্য কমিশনের যে ধরনের প্রস্তুতি ও জনবল থাকার দরকার, তা আছে বলে মনে হয় না। তা ছাড়া সংসদ নির্বাচনে এ পদ্ধতি প্রয়োগ করার আগে তা পরীক্ষামূলকভাবে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে করাই শ্রেয় হবে।
- Get link
- X
- Other Apps
Comments