অর্ধ শতাব্দীর ব্যবধানে ভারতের চাকমা ও হাজংরা নাগরিকত্ব পেলেন / কলকাতা প্রতিনিধি | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭, বুধবার
বারে বারে আদালতের রায় নিয়ে গড়িমসি করার পর অবশেষে ভারতের অরুণাচল প্রদেশে বসবাসকারী লক্ষাধিক চাকমা ও হাজংদের ভারতীয নাগরিকত্ব দেয়া হল । আজ বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই নাগরিকত্ব দেয়ার সিদ্ধান্ত নেযা হয়। এই বৈঠকে অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী েেপমা খান্ডু যথারীতি নাগরিকত্ব দানের বিরোধীতা করেনে। তিনি বলেছেন, চাকমা ও হাজং জনগোষ্ঠীর লক্ষাধিক মানুষ অরুণাচল প্রদেশে রয়েছেন। তাদের নাগরিকত্ব দেয়া হলে রাজ্যের জনবিন্যাস বদলে যাবে এবং অর্থনীতির উপর প্রভাব পড়বে। রাজ্যের মানুষ এতে খুশি হবেন না এবং অশান্তি হতে পারে বলেও মুখ্যমন্ত্রী আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
১৯৬৪ সাল থেকে উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন উদ্বাস্তু শিবিরে রয়েছেন চাকমা ও হাজংরা। পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে এই চাকমারা পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছিলেন। কিছু এসেছিলেন কাপ্তাই লেকের জন্য বাস্তুচ্যুত হয়ে। অন্যদিকে হাজংরা ময়মনসিংহ থেকে চলে এসেছিলেন ভারতে। তারা উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে এবং পশ্চিমবঙ্গে আশ্রয় নিয়েছেন। তবে সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় তারা রয়েছেন অরুণাচল প্রদেশেই। চাকমারা ধর্মবিশ্বাসে বৌদ্ধ এবং হাজংরা হিন্দু। পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং লাগোয়া মায়ানমারই তাদের আদি ভূমি। কিন্তু ধর্মবিশ্বাসের কারণে পূর্ব পাকিস্তানে চাকমা ও হাজংদের নিপীড়নের শিকার হতে হয়েছে। রাজ্য সরকারের মতে, ১৯৬৬ থেকে ১৯৬৭ সালে চাকমা ও হাজং শরণার্থীর সংখ্যা ছিল পাঁচ হাজার। তা এখন বেড়ে এক লক্ষ হয়েছে।
অরুণাচল প্রদেশের রাজনৈতিক দল ও সংগঠনগুলো বরাবরই বহিরাগত চাকমা ও হাজংদের নাগরিকত্ব দেয়ার তীব্র বিরোধী ছিলেন। তাই বিষয়টি থমকে ছিল। কে›ন্দ্র ও রাজ্যেও ছিল ভিন্ন দলের সরকার। কিন্তু এখন কেন্দ্রে মোদীর সরকার, রাজ্যও বিজেপির হাতে। তাই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ বলবৎ করা সম্ভব হয়েছে।
Comments