চীন ও রাশিয়ার ভেটো মিয়ানমারের বিরুদ্ধে বিবৃতি দিতে পারল না জাতিসংঘ
- Get link
- X
- Other Apps
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে উদ্বেগ জানিয়ে গত শুক্রবার একটি বিবৃতি দিতে চেয়েছিল জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। কিন্তু নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্যের অন্যতম চীন ও রাশিয়া ভেটো দেওয়ায় তা আটকে গেছে।
জাতিসংঘে যুক্তরাজ্যের স্থায়ী প্রতিনিধি ম্যাথু রাইক্রফটকে উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়। ৫ স্থায়ী ও ১০ অস্থায়ী সদস্য নিয়ে গঠিত জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে এ মাসে সভাপতির দায়িত্ব পালন করছে যুক্তরাজ্য।
নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাজ্যের প্রস্তাবিত খসড়া বিবৃতিতে মিয়ানমারের কিছু অংশে নতুন করে সহিংসতায় উদ্বেগ জানানো হয় এবং এসব এলাকায় মানবিক সহায়তা নিশ্চিতের ওপর জোর দেওয়া হয়।
ম্যাথু রাইক্রফট নিউইয়র্কে সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিবৃতির ব্যাপারে আলোচনায় ঐকমত্য হয়নি। আমরা দেশটির শান্তিপ্রক্রিয়াকে সমর্থন করি এবং রাখাইন রাজ্যসহ দেশটিতে সবচেয়ে বেশি মানবিক সহায়তা দিয়ে থাকি।’
মিয়ানমারকে নিয়ে প্রস্তাবিত বিবৃতিতে ভেটো দেওয়ার বিষয়ে নিউইয়র্কে চীন ও রাশিয়ার মিশনের কাছে জানতে চেয়েছিল এএফপি। মিশন দুটি এ নিয়ে মন্তব্য করেনি।
গত বছরের অক্টোবরে একটি সীমান্তচৌকিতে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিক্রিয়ায় মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ব্যাপক হারে লোকজনের ওপর হত্যা, ধর্ষণ ও নানাভাবে নির্যাতন চালায় বলে পালিয়ে আসা নির্যাতিত ব্যক্তিদের কাছ থেকে জানা গেছে। তা ছাড়া জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের সদস্যরা তাঁদের প্রাথমিক তদন্তে ওই নির্যাতনকে মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
নিরাপত্তা পরিষদে সর্বসম্মতভাবে একটি বিবৃতি নেওয়া হলে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া যেত। বিবৃতিতে চীন ও রাশিয়ার ভেটো থেকে এটা স্পষ্ট যে, নিরাপত্তা পরিষদের অ্যাজেন্ডা থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিকে বাইরে রাখতে চায় ওই দুই প্রভাবশালী দেশ।
এদিকে রোহিঙ্গা নিপীড়নের ব্যাপারে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ওপর অভিযোগ তদন্তে অবিলম্বে মিয়ানমারে তথ্যানুসন্ধানী মিশন পাঠাতে জাতিসংঘকে আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
গত বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে ওই খসড়া প্রস্তাব পাঠানো হয়। ৪৭ সদস্যের জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের চলমান অধিবেশনে এ প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটির কথা রয়েছে।
ইইউর প্রস্তাবটি গৃহীত হলে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল জরুরি ভিত্তিতে মিয়ানমারে একটি স্বাধীন তদন্ত কমিশন পাঠাবে। ওই কমিশন সব ধরনের অভিযোগের তদন্ত করে অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনার পাশাপাশি নির্যাতিত লোকজনের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে।
- Get link
- X
- Other Apps
Comments