নাফ নদী সীমান্তে ভাসমান ২২ রোহিঙ্গার মৃতদেহ উদ্ধার


কক্সবাজারের টেকনাফের মৌলভীবাজার ও শাহপরীর দ্বীপ নাফ নদী সীমান্তে একদিনে ভাসমান ২২ রোহিঙ্গার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে একের পর এক রোহিঙ্গার মৃতদেহ আসতে শুরু করেছে।  গত ৩ দিনে ৪৫ জন রোহিঙ্গার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এদিকে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর নির্যাতনের শিকার রোহিঙ্গা মুসলমানদের বাংলাদেশে অনু প্রবেশ অব্যাহত রয়েছে। বিজিবির কড়া নজরদারী উপেক্ষা করে এসব রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে দালালের মাধ্যমে অনুপ্রবেশ করছে। আজ দুপুরে টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে বিজিবি ৪ হাজার ৫৩৮ রোহিঙ্গাকে আটকের পর স্ব দেশে ফেরত পাঠিয়েছে।
১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকাল ৫ টার দিকে টেকনাফের হ্নীলা মৌলভী বাজার নাফনদী সীমান্ত থেকে ৩ জন রোহিঙ্গার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার মৃত দেহ তিন জনই যুবক বলে জানা গেছে। এছাড়া একইদিন সকালে নাফনদী সীমান্তের একই এলাকা থেকে ১৮ জন রোহিঙ্গার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে ৬ জন শিশু ও ১২ জন নারী ও পুরুষ রয়েছে।
তবে উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গা মৃতদেহের শরীরের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ওপারে এদের হত্যা করে মৃতদেহ গুলো নদীতে ভাসিয়ে দেয়া হয়েছে বলে ধারনা করছেন স্থানীয় বাসিন্ধারা।
তাছাড়া একইদিন সকালে শাহপরীর দ্বীপ বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকা থেকে এক নারীর মৃত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এটি নৌকা ডুবিতে নিখোঁজ রোহিঙ্গা নারীর মৃতদেহ বলে জানা গেছে। গত ২ দিনে একই পয়েন্ট থেকে আরো ২৩ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। সব মিলিয়ে গত তিন দিনে ৪৫ জন রোহিঙ্গার মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মো. মাইন উদ্দিন খান জানান, টেকনাফের হ্নীলা মৌলভী বাজার সীমান্ত থেকে বিকালে ৩ যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া সকালে  ১৮ জন রোহিঙ্গার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে ৬ জন শিশু, ১২ জন পুরুষ ও নারী রয়েছে। এসব মৃতদেহ পঁচা এবং আগে মারা গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাছাড়া শাহপরীর দ্বীপ এলাকা থেকে এক নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে উদ্ধার মৃতদেহ গুলো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন।
আজ নাফ নদীর দুটি পয়েন্ট থেকে পুলিশ ১৬ রোহিঙ্গার মৃত দেহ উদ্ধার করেছে। এ নিয়ে গত ৩ দিনে ৩৯ রোহিঙ্গার মৃত দেহ উদ্ধার করা হলো। আজ উদ্ধার হওয়া মৃত দেহ গুলোর শরিরে ক্ষত চিহ্ন রয়েছে বলে টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাইন উদ্দিন খান জানিয়েছেন। তিনি জানান,আজ সকালে টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের খারাংখালীর নাফ নদীর পয়েন্ট থেকে ১৫ জনের ও সাবরাং এর  শাহপরীর দ্বীপ থেক ১ জনের মৃত দেহ উদ্ধার করা হয়।
এ নিয়ে ৩ দিনে ৩৯ রোহিঙ্গার মৃত দেহ উদ্ধার হলো। এসব মৃত দেহ বিজিবির মাধ্যমে মিয়ানমারে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশের ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন। কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ আলী হোসেন জানান,সীমান্তে বিজিবির কড়া নজর দারীর পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ও সচেতন এবং সর্তক করা হয়েছে,যাতে কোন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করতে না পারে। তবে সীমান্ত এলাকার জন প্রতিনিধিরা বলছেন,এ পযন্ত ১ লাখ রোহিঙ্গা আসছে।

Comments

Popular posts from this blog

অবিবাহিত মেয়ের বুকে দুধ, এই ভিডিওটি অবশ্যই একা একা দেখবেন !

টুইন টাওয়ারে ৯/১১ জঙ্গি হামলার ৫টি 'চমকপ্রদ' তথ্য

তৈরি করুন শীতের ভাপা পিঠা