দিনাজপুরে বজ্রপাতে চার নারীসহ নিহত ৯

দিনাজপুরের চার উপজেলায় পৃথক বজ্রপাতে চার নারীসহ নয় জনের মৃত্যু হয়েছে।
এর মধ্যে বিরল উপজেলায় ছয় জন, চিরিরবন্দর, বোচাগঞ্জ ও খানসামা উপজেলায় একজন করে মারা গেছেন
শনিবার পৃথক সময়ে বজ্রপাতের এসব ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, বিরলে জমিতে কাজ করার সময় শনিবার দুপুর ২টার দিকে বজ্রবৃষ্টি শুরু হলে জমির মাঠে বিশ্রাম নেয়ার খড়ের তৈরি ছোট একটি কুঁড়ে ঘরে আশ্রয় নেন ১২ কৃষি শ্রমিক। এসময় বজ্রপাত ঘটলে ঘরটি আগুন পুড়ে যায়। এতে ঘরে থাকা দুই নারীসহ পাঁচ শ্রমিক মারা যান। মৃতরা হলেন, দিনাজপুরের সদর উপজেলার মহাদেবপুর গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে মেসের আলী (৩৬), একই এলাকার মৃত মোস্তাক আহমেদের ছেলে শুকুউদ্দিন (৪০), বিরল উপজেলার আজিমপুর ইউনিয়নের রাজারামপুর এলাকার মৃত হরিপদ রায়ের ছেলে কুশন চন্দ্র রায় (১৭) ও তার বড় বোন বনিতা রায় (৩০) এবং একই এলাকার মুক্তি রানী রায় ((৪৭)।
এসময় আহত হন শুকুমার রায়, মল্লিক রায়, জ্যোৎস্না রানী, বলিরাম সাইদুল এবং ললিত। তাদের উদ্ধার করে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
একই উপজেলার মখলেসপুর জয়হার গ্রামে নদীতে মাছ ধরার সময় বজ্রপাতে সাকিবুল হাসান সোহাত (১২) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়। সে ওই এলাকার হেলাল উদ্দিনের ছেলে। দুপুরে নদীতে মাছ ধরার সময় এই ঘটনা ঘটে।
একই দিন ভোরে বৃষ্টি শুরু হলে গরু রক্ষা করার সময় চিরিরবন্দর উপজেলার সাইতালা ইউনিয়নের চকরামপুর গ্রামে বজ্রপাতে শহিদুল ইসলামের স্ত্রী হালিমা বেগম প্রাণ হারান।
বিরল থানার ওসি আব্দুল মজিদ ও চিরিরবন্দর থানার ওসি হারেকুল ইসলাম বজ্রপাতে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বোচাগঞ্জে বজ্রপাতে গীতা রানী (৫০) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। গীতা রানী উপজেলার মালতগাঁও এলাকার নারায়ন চন্দ্র রায়ের স্ত্রী। বোচাগঞ্জ থানার ওসি আরজু মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন জানান, দুপুরে স্বামী ও স্ত্রী মিলে মাঠে মাছ ধরছিল। এ সময় বৃষ্টির সাথে বজ্রপাতের ঘটনা ঘটলে ঘটনাস্থলেই গীতা রানী রায় মারা যান।
এছাড়া জেলার খানসামা উপজেলার কাশিমনগর এলাকায় বজ্রপাতে দ্বীনবন্ধু রায় (৪০) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। দ্বীনবন্ধু ওই এলাকার সত্যেন্দ্রনাথ রায়ের ছেলে। এলাকাবাসী জানান, সকালে গরু নিয়ে মাঠে যাবার সময় বজ্রপাতের ঘটনা ঘটলে সে মারা যায়।
সমকাল
Comments