মুসলিম হবে বলাতে পুজাকে খুন না করে বাংলাদেশে নিয়ে এলো কালো পোশাকধারীরা: খুন করেছে পরিবারের ৫ সদস্য

এন এ নিউজ ডেস্ক: ২০১৩ সালে পূজা মল্লিক (২২) এর সাথে আশিষ মল্লিকের বিবাহ হয়।বর্তমানে রাজা নামে ৩ বছরের একটি শিশু রয়েছে তাদের। মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যের মংডুর রেইক্যা পাড়ার ফকিরা বাজারস্থ ছিল তাদের বাড়ী। ফকিরা বাজারে স্যালুন দোকান ছিল স্বামী আশিষ মল্লিকের। স্বামী, সন্তান, শ্বশুর,শ্বাশুড়ি সহ ৭ সদস্যকে নিয়ে ভালোই চলছিল পূজার সংসার।
কিন্তু গত ২৭ আগস্ট ভোররাতে হঠাৎ করে গুলির শব্দে ঘুম ভাঙ্গে সবার। বাইরে বেরোতেই দেখা যায় কালো পোশাকধারীর দল। ঘরের চার পাশের ঘর গুলোতে জ্বলছে দাউদাউ করে আগুন। আগুনের তাপ, ঘরবাড়ি পোড়ানো লেলিহান শিখা এবং গুলির শব্দ। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঘরের সব পুরুষকে বেঁধে ফেলে কালো পোষাকধারীরা। একে একে হত্যা করা হয় পূজার স্বামী আশিষ, শ্বশুর বলরাম, শাশুড়ি অনু বালা, দেবর খুশিস কুমার ও ননদ ঝুনু বালাকে। পরিবারের ৫ সদস্যকে হত্যার পর পুজার পালা। কিন্তু পুজাকে হত্যা না করে শর্ত দিয়ে থাকে কালো পোশাকধারীর দল। পুজা মল্লিক জীবন বাচাঁতে মেনে নেন তাদের শর্ত। কালো পোশাকধারীর দল জোর পূর্বক পুজার হাতের শাখাঁ ভেঙ্গে ফেলে এবং সিঁধুর মুছে ফেলে। পুজাকে নিয়ে করা হয় যৌন পুর্তি।
এরপর ভোরকা পরিয়ে প্রতিবেশী মুসলিম মহিলাদের সাথে বাংলাদেশে নিয়ে আসে পূজা মল্লিককে এবং রাখা হয়েছে কুতুপালং ক্যাম্পে ১৯৮২ সালে আসা এক রোহিঙ্গার তাবুতে।সে খানে পুজাকে দেয়া হয়েছে ইসলাম ধর্মের বই পড়তে। তাকে করা হয়েছে টানা ২০ দিন যৌন নির্যাতন।
১৬ সেপ্টেম্বর শনিবার কুতুপালং ক্যাম্পে ১৯৮২ সালে আসা হিন্দু রোহিঙ্গা রবিন্দ্র শীলের কাছে পুজা মল্লিকের বিষয়ে জানতে পারারেন হিন্দুদের জন্য নির্ধারিত ক্যাম্পের বাসিন্দারা।
এরপর পুলিশের সহযোগীতায় পুজা ও তার তিন বছরের শিশু রাজাকে নিয়ে আসে যুবলীগ নেতা বাবুল শর্মা। ১৮ সেপ্টেম্বর সরেজমিন গিয়ে পুজা মল্লিকের কাছ থেকে জানতে চাইলে দুর্বিসহ ঘটনার কাহীনিতে মনটাই দাবি করেছেন পূজা মল্লিক।
কিন্তু গত ২৭ আগস্ট ভোররাতে হঠাৎ করে গুলির শব্দে ঘুম ভাঙ্গে সবার। বাইরে বেরোতেই দেখা যায় কালো পোশাকধারীর দল। ঘরের চার পাশের ঘর গুলোতে জ্বলছে দাউদাউ করে আগুন। আগুনের তাপ, ঘরবাড়ি পোড়ানো লেলিহান শিখা এবং গুলির শব্দ। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঘরের সব পুরুষকে বেঁধে ফেলে কালো পোষাকধারীরা। একে একে হত্যা করা হয় পূজার স্বামী আশিষ, শ্বশুর বলরাম, শাশুড়ি অনু বালা, দেবর খুশিস কুমার ও ননদ ঝুনু বালাকে। পরিবারের ৫ সদস্যকে হত্যার পর পুজার পালা। কিন্তু পুজাকে হত্যা না করে শর্ত দিয়ে থাকে কালো পোশাকধারীর দল। পুজা মল্লিক জীবন বাচাঁতে মেনে নেন তাদের শর্ত। কালো পোশাকধারীর দল জোর পূর্বক পুজার হাতের শাখাঁ ভেঙ্গে ফেলে এবং সিঁধুর মুছে ফেলে। পুজাকে নিয়ে করা হয় যৌন পুর্তি।
এরপর ভোরকা পরিয়ে প্রতিবেশী মুসলিম মহিলাদের সাথে বাংলাদেশে নিয়ে আসে পূজা মল্লিককে এবং রাখা হয়েছে কুতুপালং ক্যাম্পে ১৯৮২ সালে আসা এক রোহিঙ্গার তাবুতে।সে খানে পুজাকে দেয়া হয়েছে ইসলাম ধর্মের বই পড়তে। তাকে করা হয়েছে টানা ২০ দিন যৌন নির্যাতন।
১৬ সেপ্টেম্বর শনিবার কুতুপালং ক্যাম্পে ১৯৮২ সালে আসা হিন্দু রোহিঙ্গা রবিন্দ্র শীলের কাছে পুজা মল্লিকের বিষয়ে জানতে পারারেন হিন্দুদের জন্য নির্ধারিত ক্যাম্পের বাসিন্দারা।
এরপর পুলিশের সহযোগীতায় পুজা ও তার তিন বছরের শিশু রাজাকে নিয়ে আসে যুবলীগ নেতা বাবুল শর্মা। ১৮ সেপ্টেম্বর সরেজমিন গিয়ে পুজা মল্লিকের কাছ থেকে জানতে চাইলে দুর্বিসহ ঘটনার কাহীনিতে মনটাই দাবি করেছেন পূজা মল্লিক।
কান্না করতে- করতে পুজা আরো বলেন, বাবা-মা ছাড়াও দুই ভাই ও দুই বোন ছিল আমার। ভাইদের নাম নির্মল ও বিমল। বোনদের নাম শিখা ও লালা। বাবা রাজ কুমার স্যালুন চালাতেন। মা সীতা রানী গৃহিনী। শুনছি বাবাকে মেরে ফেলা হয়েছে। ভাই-বোন বেঁচে আছে কিনা জানি না। তারা সবাই ছোট। আমিই পরিবারের বড় মেয়ে। বিয়ের পরই আমার ছেলের জন্ম হয়। ওর বাবা নাম রেখেছে রাজা।
Comments