আজো আবিষ্কার হয়নি বিখ্যাত এই গুপ্তধনগুলো


ফ্লোর ডে লা মারের গুপ্তধন: দ্য ফ্লোর ডে লা মার (সমুদ্রের ফুল) একটি পর্তুগিজ ক্যারাক যেটি তৈরি করা হয়েছিল ১৫০২ সালে, লিসবনে। জলপথের ইতিহাসে এই ক্যারাকের নানা গল্প প্রচলিত আছে এবং দিউ এর যুদ্ধে এই ক্যারাকটি অংশগ্রহণ করেছিল।
আলফোনসো দ্য আলবুকার্ক ছিলেন এই জাহাজের নাবিক। রাজা সিয়ামের জন্য প্রচুর ধনরত্ন নিয়ে এই ক্যারাকটি আলফোনসোর নেতৃত্বে মালাক্কা থেকে রওনা হয়েছিল। পর্তুগিজ নৌ ইতিহাসে এটিই হচ্ছে সবচেয়ে বড় জাহাজ যেটি এত বিপুল পরিমাণ ধনরত্ন নিয়ে সাগরের বুকে ভেসেছিল। আরো চারটি জাহাজের সঙ্গে ফ্লোর ডে লা মার রওনা হয়েছিল কিন্তু মালাক্কা জলপ্রণালির কাছাকাছি আসার পর এটি ভয়ঙ্কর ঝড়ের মুখোমুখি হয় এবং ১৫১১ সালের ২০ নভেম্বর সুমাত্রার কাছে এটি ডুবে যায়। জাহাজটি দুই টুকরো হয়ে যায় কিন্তু নাবিক আলফোনসো বেঁচে যায়। কিন্তু সমুদ্রের অতলে হারিয়ে যাওয়া ফ্লোর ডে লা মারের গুপ্তধন উদ্ধার করা কখনো সম্ভব হয়নি।
হারানো শহর পাইতিতির গুপ্তধন: আপনারা অনেকেই হয়ত এল ডোরাডোর গল্প শুনেছেন। এল ডোরাডো হচ্ছে দক্ষিণ আমেরিকার একটি শহর যেখানে প্রচুর পরিমাণে স্বর্ণ হারিয়ে গিয়েছিল। মূলত, এল ডোরাডো হচ্ছে একজন মুইস্কা চিফট্যানের কিংবদন্তির গল্প যিনি কোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আগে নিজের শরীরকে স্বর্ণ দিয়ে মুড়িয়ে নিতেন। প্রকৃত স্বর্ণের শহরের নাম হচ্ছে পাইতিতি। স্প্যানিশরা ইনকাদের সঙ্গে প্রায় চল্লিশ বছরের একটি যুদ্ধে লিপ্ত ছিল। ইনকারা ভিল্কাবাম্বা নামক উপত্যকায় পলায়ন করতে বাধ্য হয় এবং ১৫৭২ সাল পর্যন্ত তারা স্প্যানিশদের হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করতে সমর্থ ছিল। স্প্যানিশরা যখন ইনকাদের যুদ্ধে পরাস্ত করে, তখন তারা দেখতে পায় যে শহরে জনমানব বলতে আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। এটা মনে করা হয় যে, ইনকারা শহর ছেড়ে চলে যাওয়ার সময় তাদের সঙ্গে থাকা বিপুল পরিমাণে স্বর্ণ সরিয়ে ফেলতে সমর্থ হয়। ইনকাদের নিয়ে যাওয়া ওই স্বর্ণ আর কখনোই উদ্ধার করা সমর্থ হয়নি। ২০০৯ সালে একটি স্যাটেলাইটে সাহায্যে তোলা ছবিতে দেখা যায় ব্রাজিলের বোকো দো এক্রা নামক স্থানে প্রাচীন এক গোষ্ঠীর অবস্থানের নিশানা পাওয়া যাচ্ছে। বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন যে পাইতিতি নামক শহরটি আসলেই কোনো এক সময় ছিল এবং ইনকাদের বিপুল স্বর্ণের অংশটিও নেহাত মিথ নয়।
রাজা জনের গুপ্তধন: রাজা জন ‘দ্য ব্যাড’ এর একটি বেশ মজার স্বভাব ছিল। তবে তার এই স্বভাবটি অনেকের জন্য ছিল ক্ষতির কারণ। রাজা জন অলঙ্কার চুরি করতে পছন্দ করতেন। এর মাধ্যমে তিনি তার সংগ্রহশালা বাড়িয়ে তুলতেন। এসব অলঙ্কার বেশিরভাগই ছিল স্বর্ণে মোড়ানো নয়ত স্বর্ণের তৈরি। ১২১৬ সালে রাজা জন নর্থফোকের দিকে রওনা করেন। তিনি দ্য ওয়াশ নামক একটি জায়গায় পৌঁছে যান যেটি কুখ্যাত ছিল নানা ধরনের বিপদ সংকুলতার জন্য। জন একটি রাস্তা ধরে এগিয়ে যান যেটি তিনি মনে করেন তার জন্য খুব সহজ হবে। তার কাছে বেশ কিছু মূল্যবান সম্পদ ছিল। জার্মানির সম্রাজ্ঞীর দাদির একটি মুকুট ছিল তার কাছে। এছাড়াও নানা ধরনের স্বর্ণালঙ্কার ছিল তার কাছে। সাটন ব্রিজের কাছে এসে তারা একটি ফাঁদে পড়ে যান এবং ব্রিজ ভেঙে তারা নিচে পড়ে যান। হারিয়ে যায় মহামূল্যবান সম্পদগুলো। এগুলো আর কখনোই উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এর কিছুদিন পর ১২১৬ সালের ১৮ অক্টোবর রাজা জন মৃত্যুবরণ করেন।

Comments

Popular posts from this blog

অবিবাহিত মেয়ের বুকে দুধ, এই ভিডিওটি অবশ্যই একা একা দেখবেন !

টুইন টাওয়ারে ৯/১১ জঙ্গি হামলার ৫টি 'চমকপ্রদ' তথ্য

তৈরি করুন শীতের ভাপা পিঠা