নরসিংদীতে ড্রাগন ফলের চাষ, লাভবান হচ্ছে ফলচাষীরা

IMG

IMG

ড্রাগন ফলের গাছ অল্প জায়গায় স্বল্প খরচেই চাষ করা যায় ড্রাগন। সুস্বাদু এ ফলটি বিক্রি করেও বেশ ভালোই লাভ হয়। তাই নরসিংদীর উত্তর শিলমান্দী, রায়পুরাতে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে ওঠছে ড্রাগন ফলের চাষ। ফসলি জমি কিংবা বাড়ির ছাদের টবেও ড্রাগন ফলের গাছ লাগানো যায়।

নরসিংদীতে ২-৩ বছর আগেও ড্রাগন ফল পরিচিত ছিল না। এখন এটি বেশ পরিচিত। বিভিন্ন ধরনের ভেষজ গুণ থাকায় এ ফলের গাছটি রায়পুরার প্রায় বাড়ির আঙিনা ও ছাদে চাষ হচ্ছে। রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ছাড়াই ড্রাগন ফল চাষ করা যায়। শুধু একটু পরিচর্যা করলেই ড্রাগন গাছে ফল ধরে। তাই ড্রাগন ফলের চাষে দিন দিন আগ্রহী হয়ে উঠছে এখানকার লোকজন।
ড্রাগন ফলের গাছ দেখতে অনেকটা ক্যাকটাসের মতো। ২০১৩ সাল থেকে নরসিংদীতে পরীক্ষামূলকভাবে ড্রাগন ফলের চাষ শুরু হয়। প্রতি হেক্টর জমিতে ড্রাগন চাষের জন্য প্রয়োজন দেড় থেকে দুই লাখ টাকা। বছরে একটি ড্রাগন গাছ থেকে প্রায় ১৪০টি ফল পাওয়া যায়। এসব ফল আকার ভেদে ৪৫০-৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়।
জেলার শীলমান্দি গ্রামের ড্রাগন ফল চাষি সালাম জানান, তিনি তার ৫ শতাংশ ফসলি জমিতে ১০০টির বেশি ড্রাগন গাছ লাগিয়েছিলেন। প্রত্যেকটি গাছই এখন ফুলে ফলে ভরা। ইতোমধ্যে তিনি এক মণের বেশি ফল বিক্রি করেছেন। প্রতি কেজি ৪৫০টাকা দরে বিক্রি করেছেন। আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত ফল পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন তিনি। অনান্য ফসলের পাশাপাশি ড্রাগন চাষ অধিক লাভজনক বলে তিনি জানান।
জেলার রায়পুরার চর মরজালের সৌখিন ড্রাগন ফল চাষি রহিম বলেন, ‘প্রথমে ঢাকার একটি ফলের দোকান থেকে ড্রাগন ফল কিনে খাওয়ার পর থেকে নার্সারী থেকে গাছ সংগ্রহ করে বাড়ির ছাদে লাগাই। এ বছরও বেশ কিছু ফল ধরেছে।’
বাড়ির ছাদে বেশ কয়েকটি ড্রাগন ফলের গাছ লাগিয়েছেন আঃ সালাম। তিনি বলেন, ‘বাড়ির ছাদে টবে বা ড্রামের মধ্যে জৈব সারের মাটি ফেলে তাতে ড্রাগন চারা পুতে দিলেই হয়। ড্রাগন গাছ তিন ফুট উঁচু হলেই একটি শক্ত চিকন খুঁটির সঙ্গে সাইকেলের পুরাতন টায়ার ঝুঁলিয়ে দিলেই তাতে ডালপালা বিস্তার করে লতানো গাছটি। কয়েক মাস পরে ফুল ফোটে এবং ফল আসে। ড্রাগন ফল মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী।’
জেলা সদরের উপজেলা কৃষি সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, সব ধরনের মাটিতেই ড্রাগন ফল চাষ করা যায়। তবে জৈব পদার্থ সমৃদ্ধ বেলে-দোঁআশ মাটিই ড্রাগন চাষের জন্য উত্তম।
তিনি আরও জানান, যুব উন্নয়নের আর্থিক সহায়তা ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর কর্তৃক ড্রাগন চাষে আগ্রহী চাষীদেরকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। তাদের মাধ্যে প্রায় বেশ কিছু ড্রাগন ফলের চারা বিতরণ করা হয়েছে। সেই থেকেই এখন ফল হচ্ছে। তারা এখন বাণিজ্যিকভাবে এগুলো বিক্রি করছে।

Comments

Popular posts from this blog

অবিবাহিত মেয়ের বুকে দুধ, এই ভিডিওটি অবশ্যই একা একা দেখবেন !

টুইন টাওয়ারে ৯/১১ জঙ্গি হামলার ৫টি 'চমকপ্রদ' তথ্য

তৈরি করুন শীতের ভাপা পিঠা