- Get link
- X
- Other Apps
উন্নয়ন অন্বেষণের পর্যালোচনা
মুদ্রানীতিকে চ্যালেঞ্জে ফেলবে খাদ্য মূল্যস্ফীতি
দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতির সাম্প্রতিক ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা নতুন মুদ্রানীতিকে চ্যালেঞ্জের মুখে ঠেলে দিতে পারে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সদ্যঘোষিত মুদ্রানীতি পর্যালোচনা করে এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান উন্নয়ন অন্বেষণ।
গবেষণা সংস্থাটি বলেছে, মূল্যস্ফীতি বর্তমানে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় রয়েছে। কিন্তু নতুন মুদ্রানীতিতে ঊর্ধ্বমুখী মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ‘বিচক্ষণ ও নমনীয়’ পদক্ষেপের কার্যকারিতা নিয়ে আশঙ্কা আছে। বর্তমান অর্থবছরের প্রথমার্ধের জন্য ঘোষিত নতুন মুদ্রানীতির সামনে একটি বড় চ্যালেঞ্জ হবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা। উদাহরণ দিয়ে তারা বলছে, সাধারণ মূল্যস্ফীতি গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের এপ্রিল মাসের ৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ থেকে বেড়ে জুনে ৫ দশমিক ৯৪ শতাংশে ওঠে। একই সময়ে খাদ্যমূল্যস্ফীতির হার ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ থেকে বেড়ে ৭ দশমিক ৫১ শতাংশে উন্নীত হয়।
এ ছাড়া মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রার (৭ দশমিক ৪ শতাংশ) চেয়ে কম হতে পারে বলে সতর্ক করেছে সংস্থাটি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক গত ২৬ জুলাই চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথমার্ধের (জুলাই-ডিসেম্বর) জন্য এই মুদ্রানীতি ঘোষণা করে।
উন্নয়ন অন্বেষণ বলেছে, বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের মার্চ মাসের ১৬ দশমিক ১ শতাংশ থেকে সামান্য বেড়ে এপ্রিলে ১৬ দশমিক ২ শতাংশে ওঠে। তবে পরবর্তী মে মাসেই তা আবার ১৬ শতাংশে নেমে যায়। বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধির এই ধারা বিবেচনা করলে আশঙ্কা জাগে যে বর্তমান অর্থবছরের প্রথমার্ধের জন্য ঘোষিত মুদ্রানীতিতে নির্ধারিত বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ১৬ দশমিক ৩ শতাংশ অর্জন করা সম্ভব না-ও হতে পারে। বরং তা বেসরকারি খাতে বিনিয়োগের স্থবিরতাকে আরও তীব্রতর করতে পারে।
বিনিয়োগ ঘাটতির কারণে দেশে কর্মসংস্থানের অভাব তীব্র হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছে গবেষণা সংস্থাটি। বলছে, ২০০০-২০১০ সালে বেকার মানুষের সংখ্যা প্রতিবছর গড়ে প্রায় ৫ দশমিক ২৯ শতাংশ হারে বেড়েছে।
উন্নয়ন অন্বেষণ জানায়, গত অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল সময়ে চলতি হিসাবের ভারসাম্যে ১৭৬ কোটি মার্কিন ডলার ঘাটতি হয়েছে। অথচ আগের অর্থবছরের একই সময়ে ৩৫৩ কোটি ডলার উদ্বৃত্ত ছিল।
সংস্থাটির মতে, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর আর্থিক ব্যবস্থাপনায় সাম্প্রতিক সময়ে অবনতি ঘটেছে। ব্যাংকিং কার্যক্রমে নজরদারির অভাব, আর্থিক কেলেঙ্কারি ও জালিয়াতির প্রকোপ, পরিচালনা ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় অদক্ষতা—এগুলো রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোতে বিদ্যমান অব্যবস্থাপনার কারণ।
- Get link
- X
- Other Apps
Comments