বেনাপোলে ২ কোটি টাকার ক্যাপিটাল মেশিনারিজ আটক

  নিজস্ব প্রতিবেদক
 ০৮ আগস্ট ২০১৭, ২১:০৫ | আপডেট : ০৮ আগস্ট ২০১৭, ২১:২৩ | অনলাইন সংস্করণ
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শুল্ক গোয়েন্দা বেনাপোল জানতে পারে যে, ভারত থেকে মিথ্যা ঘোষণায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে ক্যাপিটাল মেশিনারিজের একটি চালান খালাস নেয়া হবে। চালানটির পণ্য ঘোষণায় ওজন ও এইচ এস কোডের ব্যাপক গরমিল রয়েছে। সে অনুযায়ী, শুল্ক গোয়েন্দা বন্দরে নজরদারি বৃদ্ধি করে। এক পর্যায়ে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইলেকট্রিক ফার্নেস ঘোষণায় আনা ক্যাপিটাল মেশিনারিজের উক্ত পণ্য চালানটি আটক করে।
পণ্যচালানটির মেনিফেস্ট নং- ৩৩৬৭৭/১১, তারিখ ১৩-০৭-২০১৭, বিল অব এন্ট্রি নং ৪১১৭৬, তারিখ ১৭-০৭-২০১৭। এটির আমদানিকারকঃ মোহাম্মদী স্টিল ওয়ার্কস, নারায়ণগঞ্জ এবং এর সিএন্ডএফ এজেন্টঃ গণি এন্ড সন্স, বেনাপোল।
কাস্টম হাউস বেনাপোল কর্তৃক আমদানিকারকের ঘোষণা অনুযায়ী পরীক্ষণ ও শুল্কায়ন কার্যক্রম সম্পন্ন করার খালাসের আদেশ দেয়া হয়। কিন্তু শুল্ক গোয়েন্দার হস্তক্ষেপে চালানটির খালাস কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। পরে শুল্ক গোয়েন্দা ও কাস্টম হাউসের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে পুনরায় চালানটির কায়িক পরীক্ষা করা হয়। পুনঃকায়িক পরীক্ষায় আমদানিকারকের ঘোষণা অনুযায়ী ২০০ কেজি ট্রান্সফরমার অয়েল এর স্থলে ৮৩৬ কেজি (৬৩৬ কেজি বেশি) এবং ৫০ কেজি লুব্রিকেন্ট (HS Code 27.10.1921) এর স্থলে ২৫০২০ কেজি গ্রিজ (HS Code 27.10.1934) পাওয়া যায়।
আটককৃত পণ্যের মূল্য প্রায় ১,১৬,৮৭,৮৭৮ টাকা এবং ফাঁকিকৃত শুল্ক করাদির পরিমাণ প্রায় ৬৮,২০,১৩২ টাকা।
চালানটিতে প্রাথমিকভাবে পরিশোধিত শুল্ক করাদির পরিমাণ ছিল প্রায় ১২ লক্ষ টাকা। কিন্তু শুল্ক গোয়েন্দার হস্তক্ষেপের কারণে জরিমানাসহ অতিরিক্ত রাজস্ব আদায় হবে প্রায় ৬৯ লক্ষ টাকা।
পণ্য চালানটি আটক করে দি কাস্টমস এ্যাক্ট ১৯৬৯ অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হয়েছে। অতিরিক্ত শুল্ক করাদি আদায়ের পাশাপাশি বেনাপোল বন্দরে এই পণ্য খালাসে যারা জড়িত ছিলেন, তাদের সংশ্লিষ্টতা খতিয়ে দেখছে শুল্ক গোয়েন্দা।

Comments

Popular posts from this blog

অবিবাহিত মেয়ের বুকে দুধ, এই ভিডিওটি অবশ্যই একা একা দেখবেন !

টুইন টাওয়ারে ৯/১১ জঙ্গি হামলার ৫টি 'চমকপ্রদ' তথ্য

তৈরি করুন শীতের ভাপা পিঠা