রায় নিয়ে মন্তব্যে নেতাদের ধৈর্য ধরতে বললেন কাদের
সমকাল প্রতিবেদক
সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় নিয়ে সংযত বক্তব্য দিতে আওয়ামী লীগ নেতাদের আহ্বান জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
এ রায় নিয়ে চলা তুমুল বিতর্কের মধ্যে রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন সেতুমন্ত্রী কাদের। তিনি বলেন, 'এই অবস্থায় আমাদেরকে ধৈর্য ধারণ করতে হবে। ঠাণ্ডা মাথায় কমেন্ট করা উচিত।'
১৯৯৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে বর্তমান প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহাকে 'রাজনৈতিক বিবেচনায়' হাইকোর্টে বিচারক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল বলে শনিবার খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের মন্তব্য প্রসঙ্গে কাদের বলেন, 'এগুলো তার একান্ত নিজস্ব বক্তব্য। তবে আমাদের আরও ধৈর্য ধরা উচিত।'
এদিকে, অধস্তন আদালতের বিচারকদের চাকরির বিধিমালা নিয়ে আলোচনার আহ্বানে সরকারের সাড়া না পেয়ে রোববার অসন্তোষ প্রকাশ করে প্রধান বিচারপতি বলেছেন, 'আদালত যথেষ্ট ধৈর্য ধরেছে।' প্রধান বিচারপতির এ মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'প্রধান বিচারপতি কী বক্তব্য দিয়েছেন, জানি না। বক্তব্য আগে জেনে নিই। মাথা ঠাণ্ডা রেখে কথা বলা উচিত, কাজ করা উচিত।'
গত ১ আগস্ট ষোড়শ সংধোধনী বাতিল সংক্রান্ত আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। এরপর থেকে রায় ও এর পর্যবেক্ষণ নিয়ে কড়া সমালোচনা করে আসছেন সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী। পর্যবেক্ষণে বঙ্গবন্ধুকে কটাক্ষ করার অভিযোগ তুলে প্রধান বিচারপতির পদত্যাগ-অপসারণও দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা। এসব বক্তব্যকে আদালত ও বিচার বিভাগের জন্য অবমাননাকর বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
আদালত ও বিচারপতিদের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ নেতাদের বক্তব্য নিয়ে প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, 'আমাদেরকে ধৈর্য ধারণ করতে হবে। ঠাণ্ডা মাথায় কমেন্ট করা উচিত।'
রায় নিয়ে আওয়ামী লীগের বক্তব্য জানাতে গত সপ্তাহে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে গিয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ওবায়দুল কাদের। পরে রাষ্ট্রপতির সঙ্গেও দেখা করেন তিনি। এর প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি বলেছে, রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতির সঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের সাক্ষাৎ রায় পরিবর্তনে চাপের শামিল।
বিএনপির ওই মন্তব্যের বিষয়ে কাদের বলেন, 'আওয়ামী লীগের (রায়) একটি অবস্থান রয়েছে, তা প্রধান বিচারপতিকে অবহিত করা অন্যায় নয়।' এতে দোষের কিছু দেখছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
ষোড়শ সংশোধনী রায়ের পর্যবেক্ষণে জিয়াউর রহমান ও অন্যান্য সামরিক শাসকদের ক্ষমতা দখলের সমালোচনা ও 'ব্যানানা রিপাবলিক' প্রসঙ্গ তুলে ধরে কাদের বলেন, "আমি তাকে (মির্জা ফখরুল) বলেছি, এটা নিয়ে আপনারা নীরব কেন? তিনি বলছেন, 'বিএনপি অবৈধ হলে আওয়ামী লীগও অবৈধ!' আপনারাই বলুন উত্তরটা কি সঠিক দিয়েছেন উনি?"
১৯৯৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে বর্তমান প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহাকে 'রাজনৈতিক বিবেচনায়' হাইকোর্টে বিচারক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল বলে শনিবার খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের মন্তব্য প্রসঙ্গে কাদের বলেন, 'এগুলো তার একান্ত নিজস্ব বক্তব্য। তবে আমাদের আরও ধৈর্য ধরা উচিত।'
এদিকে, অধস্তন আদালতের বিচারকদের চাকরির বিধিমালা নিয়ে আলোচনার আহ্বানে সরকারের সাড়া না পেয়ে রোববার অসন্তোষ প্রকাশ করে প্রধান বিচারপতি বলেছেন, 'আদালত যথেষ্ট ধৈর্য ধরেছে।' প্রধান বিচারপতির এ মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'প্রধান বিচারপতি কী বক্তব্য দিয়েছেন, জানি না। বক্তব্য আগে জেনে নিই। মাথা ঠাণ্ডা রেখে কথা বলা উচিত, কাজ করা উচিত।'
গত ১ আগস্ট ষোড়শ সংধোধনী বাতিল সংক্রান্ত আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। এরপর থেকে রায় ও এর পর্যবেক্ষণ নিয়ে কড়া সমালোচনা করে আসছেন সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী। পর্যবেক্ষণে বঙ্গবন্ধুকে কটাক্ষ করার অভিযোগ তুলে প্রধান বিচারপতির পদত্যাগ-অপসারণও দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা। এসব বক্তব্যকে আদালত ও বিচার বিভাগের জন্য অবমাননাকর বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
আদালত ও বিচারপতিদের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ নেতাদের বক্তব্য নিয়ে প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, 'আমাদেরকে ধৈর্য ধারণ করতে হবে। ঠাণ্ডা মাথায় কমেন্ট করা উচিত।'
রায় নিয়ে আওয়ামী লীগের বক্তব্য জানাতে গত সপ্তাহে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে গিয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ওবায়দুল কাদের। পরে রাষ্ট্রপতির সঙ্গেও দেখা করেন তিনি। এর প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি বলেছে, রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতির সঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের সাক্ষাৎ রায় পরিবর্তনে চাপের শামিল।
বিএনপির ওই মন্তব্যের বিষয়ে কাদের বলেন, 'আওয়ামী লীগের (রায়) একটি অবস্থান রয়েছে, তা প্রধান বিচারপতিকে অবহিত করা অন্যায় নয়।' এতে দোষের কিছু দেখছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
ষোড়শ সংশোধনী রায়ের পর্যবেক্ষণে জিয়াউর রহমান ও অন্যান্য সামরিক শাসকদের ক্ষমতা দখলের সমালোচনা ও 'ব্যানানা রিপাবলিক' প্রসঙ্গ তুলে ধরে কাদের বলেন, "আমি তাকে (মির্জা ফখরুল) বলেছি, এটা নিয়ে আপনারা নীরব কেন? তিনি বলছেন, 'বিএনপি অবৈধ হলে আওয়ামী লীগও অবৈধ!' আপনারাই বলুন উত্তরটা কি সঠিক দিয়েছেন উনি?"
Comments