পাবনায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা

পাবনা অফিস
পদ্মা ও যমুনা নদী এবং এর শাখা নদী বড়াল,গুমানী চিকনাই নদীর পানি অব্যাহত বৃদ্ধির কারণে পাবনার ৫টি উপজেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে লক্ষাধিক মানুষ। জেলায় শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি উঠেছে। এর মধ্যে ২০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান জানান,এ উপজেলার দিলপাশার ও খান মরিচ ইউনিয়ন বড়াল ও গুমানী নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে প্লাবিত হয়েছে। চলনবিলের পানি অব্যাহত বৃদ্ধির ফলে প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।

চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেহেলী লায়লা জানান, উপজেলার নিমাইচড়া,হান্ডিয়াল এবং ছাইকোলা ইউনিয়ন বন্যা কবলিত হয়েছে। এ উপজেলার ৩২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকেছে। ৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

বেড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানান, যমুনা তীরবর্তী বেড়া উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে ৭টি বন্যা কবলিত হয়েছে।

বেড়া উপজেলার পুরানভারেঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এ এম রফিকউল্লাহ জানান, তার ইউনিয়নের একটি ওয়ার্ড বাদে সবগুলো ওয়ার্ড বন্যা কবলিত। যমুনা তীরবর্তী রঘুনাথপুর,মধুপুর, যদুপুর, খানপুরা, প্রতাপপুর এবং যমুনার ওপারে সবগুলো চর পানিতে ভাসছে।

ফরিদপুর উপজেলার বনওয়ারি নগর, ডেমরা, বিএলবাড়ি, পুঙ্গলী ইউয়িনের পুরো এলাকা বন্যা কবলিত হয়েছে। এ উপজেলায় ১৯টি প্রাথমিক, ৪টি মাদরাসা, ২টি হাই স্কুল বন্যা কবলিত হয়েছে। ইতোমধ্যে ৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

পাবনার সুজানগরে পদ্মা নদীর পানি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে নদীর পার্শ্ববর্তী চারটি ইউনিয়নের প্রায় পাঁচ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ফসলি জমি। পাশাপাশি বন্যার পানির তোড়ে ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে নতুন করে পাকা করা নাংহাটি-রাইপুর ডিসি সড়ক।

সুজানগর উপজেলার সাতবাড়ীয়া, মানিকহাট, নাজিরগঞ্জ ও সাগরকান্দী ইউনিয়নের ৮-১০টি পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানি প্রতিদিন ১০-১২ সেন্টিমিটার করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইতিমধ্যে পানি বৃদ্ধির ফলে সাতবাড়ীয়া ইউনিয়নের নারুহাটি, ফকিৎপুর, তারাবাড়ীয়া নতুনপাড়া, জামাইপাড়া, গুপিনপুর ও নিশ্চিন্তপুর, মানিকহাট ইউনিয়নের মাছপাড়া, রাইপুর ও মালিফা,নাজিরগঞ্জ ইউনিয়নের ইন্দ্রোজিতপুর, কামারহাট, নওগ্রাম, উদয়পুর, মহনপুর, মহব্বতপুর, হাসামপুর ও বরকাপুর এবং সাগরকান্দী ইউনিয়নের হুগলাডাঙ্গী, শ্রীপুর, গোবিন্দপুর, চরখলিলপুর, তালিমনগর ও মান্দিয়ারকান্দী এলাকার প্রায় ৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

গৃহপালিত পশু রাখার অসুবিধাসহ গো-খাদ্যের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। তাছাড়া বন্যার পানিতে সাগরকান্দী ও নাজিরগঞ্জ ইউনিয়নের চরাঞ্চলের শত শত একর বোনা আমন,আউশ ও সবজি তলিয়ে গেছে। বন্যার পানিতে সাগরকান্দী ইউনিয়নের তালিমনগর শাহ মাহতাব উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়,তালিমনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,সাগরকান্দী উচ্চ বিদ্যালয় এবং নাজিরগঞ্জ ইউনিয়নের নওগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নরসিংহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মহব্বতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ডুবে গেছে।

পাবনার জেলা প্রশাসক রেখা রানী বালো বলেন,বন্যা মোকাবেলায় আমাদের সকল প্রস্তুতি আছে। 

Comments

Popular posts from this blog

অবিবাহিত মেয়ের বুকে দুধ, এই ভিডিওটি অবশ্যই একা একা দেখবেন !

তৈরি করুন শীতের ভাপা পিঠা

টুইন টাওয়ারে ৯/১১ জঙ্গি হামলার ৫টি 'চমকপ্রদ' তথ্য