চৌদ্দগ্রামে নাতনীকে ধর্ষণের অভিযোগ দাদার বিরুদ্ধে

  চৌদ্দগ্রাম প্রতিনিধি
 ০৮ আগস্ট ২০১৭, ১৯:০০ | অনলাইন সংস্করণ
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে দাদা কর্তৃক পাঁচ বছর বয়সী এক নাতনী ধর্ষিত হয়েছে। বর্তমানে মেয়েটি কুমিল্লার একটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। উপজেলার গুণবতী ইউনিয়নের কর্তাম গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। প্রভাবশালীদের হুমকির কারণে ধর্ষিতার পরিবার থানায় মামলা করতে না পারায় মঙ্গলবার কুমিল্লার বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে ধর্ষিতার মা।
আসামিরা হচ্ছে অভিযুক্ত ধর্ষক নারীলোভী আবদুল মালেক (৬০), তার ছেলে মাসুদ (২৯) ও রাজিব (২৮)।
মামলা সূত্রে জানা যায়, আবদুল মালেক ও শিশু মেয়েটি সম্পর্কে চাচাতো দাদা-নাতনী। গত ২৬ জুলাই বুধবার সন্ধ্যায় শিশুটিকে কৌশলে নিজ ঘরে নিয়ে যায় আবদুল মালেক। বেশ কিছুক্ষণ পর মেয়েটির চিৎকার শুনে ওই ঘরের দিকে যায় মেয়েটির মা। এ সময় শিশুটি কাঁদতে কাঁদতে মাকে জানায়, দাদা আবদুল মালেক জোরপূর্বক তার সাথে যৌন সম্পর্ক করেছে। তাৎক্ষনিক মেয়েটি অজ্ঞান হয়ে পড়লে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গুণবতী বাজারে নিয়ে যায়। বাজারের এক ডাক্তার বেশ কয়েকদিন প্রাথমিক চিকিৎসা ও ৭টি ইনজেকশন প্রদান করে। কিন্তু সামিয়ার অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ডাক্তার তাকে কুমিল্লায় প্রেরণের পরামর্শ দেয়।
ধর্ষিতার মা অভিযোগ করে জানান, ঘটনাটি নিজেদের মধ্যে হওয়ায় আবদুল মালেকের ছেলে মাসুদ ও রাজিব আপোষ মিমাংসার কথা বলে মামলা করা থেকে বিরত রাখে। এমনকি মেয়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখে তারা চৌদ্দগ্রাম কিংবা কুমিল্লার কোনো সরকারি হাসপাতালে ভর্তি না করে ফেনীর যে কোন বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করার জন্য চাপ সৃষ্টি করে।
সর্বশেষ গত ৪ আগষ্ট স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ঘটনাটি মিমাংসা করে দিবে বলে মেয়ের চিকিৎসাপত্রের কাগজের ফটোকপি নিয়ে যায়। এরপর প্রভাবশালীরা বলে, কাগজপত্র যেহেতু আছে সেহেতু ৫-৬ মাস পরেও মিমাংসা করা যাবে। এ সময় তারা আইনের আশ্রয় না নিতে এবং বিয়ষটি কাউকে না জানাতে চাপ সৃষ্টি করে। স্বামী বিদেশে থাকায় আমার একাকিত্বের সুযোগে আইনের আশ্রয় এবং এমনকি চিকিৎসা গ্রহণ থেকেও বঞ্চিত করে রাখে। মামলার খবর পেয়ে আসামিরা বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান করছে। বর্তমানে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে যাওয়া নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি আবুল ফয়সল জানান, ধর্ষণের ঘটনাটি কুমিল্লা কোতয়ালী থানা সূত্রে জানার পরে আমি নিজ থেকে মেয়ের মায়ের সাথে যোগাযোগ করি এবং হাসপাতালে পুলিশ পাঠাই। কিন্তু মেয়ের পরিবার থানায় আসবে বলেও কোনো ধরনের অভিযোগ কিংবা মামলা দায়ের করেনি। আজকেই শুনলাম আদালতের মাধ্যমে মামলা দায়ের হয়েছে। আদালতের কপি হাতে পেলে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Comments

Popular posts from this blog

অবিবাহিত মেয়ের বুকে দুধ, এই ভিডিওটি অবশ্যই একা একা দেখবেন !

টুইন টাওয়ারে ৯/১১ জঙ্গি হামলার ৫টি 'চমকপ্রদ' তথ্য

তৈরি করুন শীতের ভাপা পিঠা