প্রকাশ : ১ আগস্ট, ২০১৭ ১২:২৫ অনলাইন ভার্সন
আপডেট : ১ আগস্ট, ২০১৭ ১২:৩০
আপডেট : ১ আগস্ট, ২০১৭ ১২:৩০
কিমকে থামাতে ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’র পরিকল্পনা করছে সিউল
অনলাইন ডেস্ক
ফাইল ছবি
আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে উত্তর কোরিয়া। তাই কিমের কমান্ড, পরমাণু এবং ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ বা ‘আচমকা আক্রমণ’র পরিকল্পনা করছে দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী। সোমবার এক প্রতিবেদনে এমনটিই দাবি করেছে সিউলের সংবাদপত্র মুনওয়া ইলবো।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জরুরি পরিস্থিতিতে এ হামলা শুরু করবে প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইনের বিশেষ বাহিনী। দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা দফতর বা এনএসও এবং মরণাস্ত্র ধ্বংস দফতর বা ডব্লিউএমডির বদলে হামলা পরিকল্পনা করছে দেশটির জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ এবং দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
হামলার পরিকল্পনার ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সামরিক সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, ৩১ মার্চের দিকে এ হামলা পরিকল্পনার খসড়া করা হয়। উত্তর কোরিয়ার গুরুত্বপূর্ণ কমান্ড সেন্টারগুলোতে হামলার জন্য এফ-১৫ জঙ্গিবিমান বহর পাঠানো হবে। এছাড়া, দেশটির নেতা কিম জং-উনের দফতরসহ লেবার পার্টির সদর দফতরেও হামলা চালানো হবে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, বিশেষ বাহিনীর নতুন ব্রিগেড গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মুন। এ বাহিনীর সদস্য সংখ্যা হবে এক থেকে দুই হাজার। জরুরি পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে যুদ্ধে চালাতে সক্ষম উত্তর কোরিয়ার পুরো নেতৃত্বকে ধ্বংস করে দেবে তারা। পাশাপাশি নিষ্ক্রিয় করে দেবে দেশটির সকল কমান্ড স্থাপনা।
মূলত পিইয়ংইয়ংয়ের পুরো নেতৃত্বকে ধ্বংস করার লক্ষ্যেই এ হামলা পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবারের সর্বশেষ ওই ক্ষেপণাস্ত্রটি নিয়ে চলতি বছর এখন পর্যন্ত উত্তর কোরিয়া ১৭টি ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞদের ধারণা, দেশটি এখনো দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রে পারমাণবিক বোমা যুক্ত করার মতো সক্ষমতা অর্জন করতে পারেনি। অন্যদিকে অনেকেই আবার মনে করেন, পিয়ংইয়ং আগামী ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানতে সক্ষম এমন পারমাণবিক ওয়ারহেডযুক্ত ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করতে পারবে।
সূত্র: স্পুটনিক ইন্টারন্যাশনাল
বিডি-প্রতিদিন/০১ আগস্ট, ২০১৭/ওয়াসিফ
Comments