প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে কাননবালার পরিবারের অনশন
পটুয়াখালীর দশমিনার সংখ্যালঘু কাননবালার পরিবারের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে অনশন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে কাননবালার পরিবারের পক্ষ থেকে তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে দায়ের করা চাঁদাবাজি মামলা প্রত্যাহার ও তার পরিবারকে যে ভিটা ছাড়া করার ষড়যন্ত্রের তার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে এ অনশন কর্মসূচি পালন করেন।
সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলাকালে সংহতি জানায় হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্যপরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাংবাদিক বাসুদেব ধর, হিন্দু মহাজোটের পলাশ কান্তি দে, বাংলাদেশ বেদান্ত সাংস্কৃতিক মঞ্চের সভাপতি সাংবাদিক কিশোর কুমার সরকার, বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতির মহাসচিব, মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূইয়া, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান শহিদুর রহমান তামান্নাসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এ ছাড়া কাননবালার ছেলে অসীম দাস, স্ত্রী মাধবী রানী দাস, ৪ বছরের শিশু কন্যা অধরা ও তিন বছরের শিশু কন্যা অন্তরা অনশন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে।
বাসুদেব ধর বলেন, সারাদেশে সংখ্যলঘুদের ওপর নির্যাতন চলছে মূলত তাদের সম্পত্তি দখলের জন্য। তিনি বলেন, যেখানে কাননবালার জমি দখলের জন্য তার হাত-পা বেঁধে মারধর করা হলো সেখানে তারই বিরুদ্ধে আবার চাঁদাবাজি মামলা করা হলো। একজন ষাটোর্ধ মহিলা তার ছেলে, ছেলের স্ত্রীসহ পুরো পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা করা হয়। তাহলে বুঝতে হবে মামলাটি মূলত ওই সংখ্যালঘু পরিবারটির জায়গা, জমি থেকে উৎখাত করার জন্য করেছে। বাসুদেব ধর কাননবালার বিরুদ্ধে দায়ের করা চাঁদাবাজির মামলা থেকে অবিলম্বে প্রত্যাহার ও দরিদ্র সংখ্যালঘু পরিবারটিকে বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
উল্লেখ্য গত ৮ মে সকালে হোসেন প্যাদা কতিপয় সন্ত্রাসীসহ ধারাল অস্ত্র নিয়ে ষাটোর্ধ কানন বালাকে হাত-পা বেঁধে মারধর করে এবং তার জায়গা দখল করে ঘর তোলে। বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে পুলিশ হোসেন প্যাদাসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা নেয়। এর পরই ১৪ মে হোসেন প্যাদার স্ত্রী লাকি বেগমকে দিয়ে বৃদ্ধ কাননবালা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করে। আর সত্যতা যাচাই না করেই আদালত থেকে কানানবালাসহ পুরোপরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
ইত্তেফাক/ইউবি
Comments