‘‌রাজ্জাকের সম্মানে হলেও নিষিদ্ধ নিষিদ্ধ খেলা বন্ধ করুন’

‘আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে অনেক বাইরের লোক ঢুকে গিয়েছে, যারা আমাদের যুদ্ধে নামিয়ে দিয়ে তালি বাজিয়ে নিজেদের ফায়দা লুটতে চায়। আমরা আমাদের ইন্ডাস্ট্রিকে আবারও ফেরত পেতে চাই। আমাদের ইন্ডাস্ট্রি এখন ফিল্মের লোকের হাতে নেই, বাইরের লোকে হাতে।’
প্রয়াত নায়করাজ রাজ্জাকের স্মরণে আজ এফডিসিতে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিবার আয়োজিত স্মরণসভায় আবেগমথিত হয়ে পড়েছিলেন তাঁর ছেলে বাপ্পারাজ। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির বর্তমান অস্থিরতা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ক্ষোভ ঝরেছে একসময়কার জনপ্রিয় এ নায়কের কণ্ঠে। তাঁর বাবাকে আত্মার শান্তির জন্য, স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য হলেও সবাইকে এক ছাদের নিচে আসার অনুরোধ করেছেন। না হলে আর কখনোই এফডিসিতে পা রাখবেন না বলে জানিয়েছেন বাপ্পারাজ।
বাপ্পারাজ বলেন, ‘আমার বাবা চলে গেছে। তাঁর উসিলায়, তাঁর সম্মানে, আজকে থেকে আমরা এই নিষিদ্ধ খেলাটা বন্ধ করে দিই। আমরা আমাদের পরিবারের সদস্যকে বুকে নেওয়ার অভ্যাসটা গড়ে তুলি, যদি যুদ্ধ করতে হয় আমাদের বাইরের কোনো লোকের সঙ্গে যুদ্ধ করব, নিজেদের মধ্যে না।’
অভিমানভরা কণ্ঠে বাপ্পারাজ বলেন, ‘আজকে এটাই বলে গেলাম, হয়তো এটাই আমার শেষ আসা, আমি ফিল্মে আর কোনো দিনই আসব না। যদি আমি কালকে না শুনি যে হ্যাঁ আমরা আবার মিলে গেছি, নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে, তাহলে আসব।’
নিজেরা নিজেদের সম্মান দিতে না পারায় এই অবস্থা হয়েছে মন্তব্য করে বাপ্পারাজ বলেন ‌‘আমরা বলি আমরা পরিবার, কিন্তু সদস্যদের খালি বহিষ্কারই করে দিই। পরিবার কখনো তাঁর সদস্যকে বহিষ্কার করে না, শাসন করে। শাসন করবেন। একসঙ্গে থাকবেন। আমাদের মুরুব্বিরা এখনো আছেন। যাঁরা আমাদের শাসন করতে পারে, পথ দেখাতে পারে, এ জন্য আমাদের বেতের বাড়ি মারার দরকার নেই।’
আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব বলে মনে করেন বাপ্পারাজ, ‘আজকে সুচন্দা আন্টি সামনে আছেন, উনি যদি কালকে শাকিবকে ফোন করে বলে, তুমি এফডিসিতে পরিচালক সমিতিতে আসো, আমি তোমার সঙ্গে কথা বলব। ফারুক সাহেব, আলমগীর সাহেব যদি অফিসে বসে বলে, শাকিব আসো, তোমার সঙ্গে কথা বলব। শাকিব অবশ্যই আসবে। এটার জন্য নোটিশ করার দরকার হয় না। পুলিশ পাঠানোর দরকার হয় না।’
মঞ্চে চলছে নায়করাজের স্মৃতিচারণা। শুনছেন বাপ্পারাজ। পাশে রাজ্জাকের আরেক ছেলে সম্রাট এবং অভিনেতা ফারুক। ছবি: প্রথম আলোএ প্রজন্মের তারকাদের সিনিয়রদের প্রাপ্য সম্মান করারও অনুরোধ করলেন বাপ্পারাজ, ‌‘যারা বেঁচে আছেন, তাঁদেরকে সম্মান দেবেন। ছোটদের উচিত অগ্রজদের সম্মান দেওয়া। তাঁদের যে যোগ্যতা যে আসন, সেটা যেন আমরা দিতে পারি।’
সবাই মিলে-মিশে থাকলেই তাঁর বাবাকে সত্যিকারের শ্রদ্ধা জানানো হবে বলে মনে করেন বাপ্পারাজ, ‌‌‘আপনারা অনেকেই বলছেন, রাজ্জাক সাহেব এই , রাজ্জাক সাহেব সেই। রাজ্জাক সাহেব কিন্তু কখনোই বিভেদ করেন নাই, বিভাজন করেন নাই, কাউকে বহিষ্কারও করেন নাই, নিষিদ্ধও করেন নাই।’

Comments

Popular posts from this blog

অবিবাহিত মেয়ের বুকে দুধ, এই ভিডিওটি অবশ্যই একা একা দেখবেন !

টুইন টাওয়ারে ৯/১১ জঙ্গি হামলার ৫টি 'চমকপ্রদ' তথ্য

তৈরি করুন শীতের ভাপা পিঠা